বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

স্বায়ত্তশাসিত প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান

বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সংক্ষেপে: বিপিএটিসি) একটি সংবিধিবদ্ধ প্রশিক্ষণমূলক প্রতিষ্ঠান যা সরকারি, বেসরকারি ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এটি ঢাকা জেলার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এছাড়া এর প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সদর দপ্তরে চারটি আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।[১]

বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
গঠিত১৯৮৪
সদরদপ্তরসাভার, বাংলাদেশ
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা
রেক্টর (সচিব)
আশরাফ উদ্দিন
ওয়েবসাইটbpatc.portal.gov.bd

প্রতিষ্ঠা সম্পাদনা

 
বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রবেশ পথ

প্রতিষ্ঠানটি ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অধ্যাদেশ ১৯৮৪ দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত।[১]

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অবকাঠামো সম্পাদনা

১৯৮৪ সালের ২৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় লোকপ্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি সমন্বিত জাতীয় সংবিধিবদ্ধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারের একজন সচিব এর প্রধান কর্মকর্তা। তার পদবী রেক্টর। রেক্টরের অধীনে পাঁচটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব পর্যায়ে রয়েছে পাঁচজন এমডিএস। বিভাগগুলো হলো: ব্যবস্থাপনা ও লোকপ্রশাসন, কর্মসূচি প্রণয়ন ও পর্যবেক্ষণ, উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি, গবেষণা ও নির্দেশনা এবং প্রকল্প প্রণয়ন। একজন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১২-সদস্য বিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নরস প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ নীতিমালা নির্ধারণ করে।

কার্যক্রম সম্পাদনা

এ প্রতিষ্ঠানের বিশেষ উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে লোকপ্রশাসনের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের জন্য সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও কলাকৌশল শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাঁদের উন্নয়ন সাধন করা। সে উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নবনিযুক্ত ক্যাডারদের মৌলিক প্রশিক্ষণ, মধ্যম স্তরের ও সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাদের চাকুরিকালীন প্রশিক্ষণ এবং পাবলিক করপোরেশন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান। এছাড়া উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মদ্যে রয়েচেহ লোকপ্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা, প্রশাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সমস্যা সমাধানে সরকারকে পরামর্শ দান, প্রশাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক বই, সাময়িকী ও প্রতিবেদন প্রকাশ, গ্রন্থাগার ও পাঠকক্ষ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা এবং অধ্যাদেশে বর্ণিত অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়ন করা। সরকার লোকপ্রশাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পর্কিত অন্যান্য কাজ সম্পাদনের জন্যও বিপিএটিসি-কে নির্দেশ দিতে পারে।

ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভুক্ত সকল সরকারি কর্মকর্তা বিপিএটিসি-র প্রশিক্ষণের আওতাধীন। নবনিযুক্ত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা থেকে ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারক এর অন্তর্ভুক্ত। বিপিএটিসি-র প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সার্বিকভাবে দুই শ্রেণিতে বিভক্ত: একটি মৌলিক কোর্স, অন্যটি স্বল্পমেয়াদি বিশেষ কোর্স। স্বল্পমেয়াদি কোর্সের মেয়াদ ১-৪ সপ্তাহ মেয়াদের এবং মৌলিক কোর্সের মেয়াদ ১০-১৬ সপ্তাহ।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা