বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর
বাংলাদেশ রেলওয়ে জাদুঘর বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত দেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘর।[১][২] এছাড়াও এটি দেশের একমাত্র জাদুঘর, যেখানে শত বর্ষের পুরনো বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবর্তন ও আধুনিকায়নের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে।[৩]
.jpg) জাদুঘর ভবন | |
 | |
| স্থাপিত | ১৫ নভেম্বর ২০০৩ |
|---|---|
| অবস্থান | আমবাগান, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম |
| স্থানাঙ্ক | ২২°২১′১৫″ উত্তর ৯১°৪৮′০৫″ পূর্ব / ২২.৩৫৪২৮৮° উত্তর ৯১.৮০১৩৯৩০৩° পূর্ব |
| ধরন | পাবলিক |
| সংগ্রহ | নিদর্শনাদি |
| পরিদর্শক | ১৫০+ (২০১২)[১] |
| প্রতিষ্ঠাতা | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
| মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
অবস্থান সম্পাদনা
জাদুঘরটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার অন্তর্গত আমবাগানের বাংলাদেশ রেলওয়ে কেরিজ ও ওয়াগন কারখানার সম্মুখে প্রায় ১২ একর পাহাড়ী এলাকা জুড়ে অবস্থিত।[১] জাদুঘরের কাঠের তৈরি দোতলা বাংলোটি যা প্রায় ৪২০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।[৪]
ইতিহাস সম্পাদনা
১৫ নভেম্বর ২০০৩ সালে দেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘরে পরিণত হবার পূর্ব পর্যন্ত এটি রেলওয়ের বাংলো হিসেবে ব্যবহৃত হত। ২০১৬ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জাদুঘরটির সংস্কার কাজ শুরু করে।[৩]
সংরক্ষণ সম্পাদনা
.jpg)
জাদুঘরে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ববর্তী সংস্থা আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে (১৯৪২), ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে (১৯৪৭) এবং পাকিস্তান রেলওয়ে (১৯৬১) কর্তৃক ব্যবহৃত বিভিন্ন নিদর্শন এবং বস্তুর সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে। সংরক্ষিত শিল্পকর্মগুলি প্রধানত বাংলাদেশ রেলওয়ের যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক, টেলিযোগাযোগ, সংকেত, ট্রাফিক ও প্রকৌশল বিভাগের অন্তর্গত। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাতি ও আলো, পাকা ও ঘণ্টা, স্টেশন মাস্টারের পোশাক এবং আনুষঙ্গিক, সিগন্যাল সরঞ্জাম, ট্রান্সমিটার, অ্যানালগ টেলিফোন, মনোগ্রাম, ট্র্যাক সুইচ এবং রেলওয়ে স্লিপার রয়েছে জাদুঘরের সংরক্ষণে।[১]
আরো দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ Hossain, Shahadat (২৮ ডিসেম্বর ২০১২)। "Country's sole railway museum in a shambles"। চট্টগ্রাম: দ্য ডেইলি স্টার। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "Age-old 'State Saloon' bears witness to history" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৪ জানুয়ারি ২০১৬। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ ক খ বড়ুয়া, শুভ্রজিৎ (২১ জানুয়ারি ২০১৮)। "রেলওয়ে জাদুঘর : অযত্ন অবহেলায়, বখাটেদের আস্তানা"। দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "ঘুরে আসুন পাহাড়তলী রেলওয়ে জাদুঘর"। railnewsbd। রেলওয়ে নিউজ। ২৯ অক্টোবর ২০১৭। ২৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০১৯।