বাংলাদেশ বিমান বাহিনী

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিমান শাখা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আকাশ যুদ্ধ শাখা। বিমান বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের আকাশ সীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। পাশাপাশি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীবাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিমান সহায়তা প্রদান করাও বিমান বাহিনীর অন্যতম দায়িত্ব। এছাড়াও বিমান বাহিনী দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন দুর্যোগে মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে এবং বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সাথেও যুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতীক
সক্রিয়১৯৭১ - বর্তমান
দেশ বাংলাদেশ
আনুগত্যবাংলাদেশের সংবিধান
ধরনবিমান বাহিনী
ভূমিকাআকাশ যুদ্ধ
আকার১৩,৬৯৪[১]
অংশীদারবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
বিমান সদরঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা
ডাকনামবিএএফ
পৃষ্ঠপোষকবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
নীতিবাক্যবাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত[২]
রংহালকা আকাশি, গাঢ় আকাশি         
মাস্কটউড়ন্ত ঈগল
বার্ষিকীবিমান বাহিনী দিবস (২৮ সেপ্টেম্বর)
সশস্ত্র বাহিনী দিবস (২১ নভেম্বর)
যুদ্ধসমূহবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
উপসাগরীয় যুদ্ধ
পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত
ওয়েবসাইটwww.baf.mil.bd
কমান্ডার
প্রধান সেনাপতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
বিমান বাহিনী প্রধানএয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান[৩]
প্রতীকসমূহ
বিমান বাহিনীর পতাকা
পরিচয়সূচক চক্র
বিমানবহর
আক্রমণইয়াক-১৩০ এমআই-১৭১এসএইচ
জঙ্গী বিমানমিগ-২৯, এফ-৭,
হেলিকপ্টারবেল ২০৬, বেল-২১২, এমআই-১৭১, এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯, এডব্লিউ-১১৯
প্রশিক্ষণ বিমানপিটি-৬, বেল ২০৬, এডব্লিউ-১১৯, এল-৩৯, কে-৮, ইয়াক-১৩০, এল-৪১০
পরিবহন বিমানসি-১৩০বি, এএন-৩২, এল-৪১০, সি-১৩০জে

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭১: স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্ম সম্পাদনা

 
২০১৬ সালের বিজয় দিবসে উড্ডয়ন কৌশল প্রদর্শনরত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ ও মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান

১৯৭১ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমান বাহিনীর বৈমানিকরা ওতপ্ৰোতভাবে জড়িত ছিলেন এবং স্থল যুদ্ধের প্ৰস্তুতি ও পরিচালনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালের জুলাইয়ে সেক্টর অধিনায়কদের সম্মেলনের সময় বিমান বাহিনী গঠন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। কারণ সেই সময় তা সম্ভবপর এবং যুক্তি সংগত ছিলনা। ফলে আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্তে পৌছায়নি প্ৰবাসী সরকার। কিন্ত যুদ্ধের শুরু থেকেই বেশ কিছু বিমান বাহিনীর কৰ্মকৰ্তা ও সদস্য সক্ৰিয় ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উইং কমান্ডার খাদেমুল বাশার ও স্কোয়াড্ৰন লিডার এম হামিদুল্লাহ্ খান ছিলেন যথাক্রমে ৬ ও ১১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক। এছাড়াও জেড ফোৰ্সে আশরাফ, রউফ, লিয়াকত প্ৰমুখও যুদ্ধ ময়দানে বিভিন্ন গুরুত্বপূৰ্ণ পদে দায়িত্বরত ছিলেন। [৪] অবশেষে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতের ডিমাপুরে গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। শুরুতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জনবল ছিলেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর পক্ষত্যাগী বাঙালি কর্মকর্তা ও বিমানসেনারা।[৪] সে সময় ভারতে আশ্ৰয় নিয়ে যুদ্ধ সমাপ্ত পৰ্যন্ত থেকে যাওয়া বেশ কিছু বিমান কৰ্মকৰ্তা ছিলেন; যেমন বদরুল আলম, এ কে খন্দকার, সুলতান মাহমুদ, পিআইএ পাইলট ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক পিআইএ পাইলট ক্যাপ্টেন সাত্তার, সাবেক পিআইএ পাইলট ক্যাপ্টেন সরফুদ্দিন এবং সাবেক কৃষিবিভাগের পাইলট ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ প্রমুখ। তাঁদের মধ্যে বিশেষ করে ২/৩ জনের দাবি অনুযায়ী "বাংলাদেশ বিমান বাহিনী" নাম করণ করা হয় এবং তাঁদের প্ৰশিক্ষণ দেয়া হয়। মূলত তাঁরাই ভারত থেকে বাংলাদেশে উড়ে এসে বিভিন্ন দুঃসাহসিক অভিযান চালান। এই অপারেশন তাঁরাই কিলো ফ্লাইট নাম দেন। ভারত উপহার হিসেবে কিলো ফ্লাইটের সাফল্যর জন্য ছোট তিনটি পুরাতন বিমান দেয় - একটি ডাকোটা ডিসি-৩ পরিবহন বিমান, একটি ডি.এইচ.সি-৩ টুইন অটার পর্যবেক্ষণ বিমান ও একটি ঔষধ নিক্ষেপের কাজে ব্যবহৃত অ্যালুয়েট থ্রি হেলিকপ্টার। [৫] ডিমাপুরের একটি পরিত্যক্ত রানওয়েতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর টেকনিশিয়ানরা উপহার পাওয়া বিমানগুলো রূপান্তর ও আক্রমণ উপযোগী করে তোলার কাজ শুরু করেন। ডাকোটা বিমানটিকে ৫০০ পাউন্ড বোমা বহনের উপযোগী করে তোলা হয়। টুইন অটারটির প্রতি পাখার নিচে ৭টি করে রকেট যুক্ত করা হয়। পাশাপাশি এটি ১০টি ২৫ পাউন্ড ওজনের বোমাও বহন করতে পারত যা একটি দরজা দিয়ে হাত দিয়ে নিক্ষেপ করতে হত। আর অ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের সামনে একটি .৩০৩ ব্রাউনিং মেশিন গান এবং দুই পাইলন থেকে ১৪টি রকেট নিক্ষেপের ব্যবস্থা করা হয়। এই ছোট বাহিনীকে কিলো ফ্লাইট নামকরণ করা হয়। স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদকে কিলো ফ্লাইটের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়।[৬][৭]

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমান বাহিনী অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে।[৮] ওইদিন ক্যাপ্টেন আকরাম কর্তৃক পরিচালিত আক্রমণে চট্টগ্রামের ইস্টার্ন রিফাইনারির তেল ডিপো ধ্বংস হয়ে যায়।[৯] ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিমান বাহিনী মৌলভীবাজারে অবস্থিত পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যারাকে হামলা চালায়। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পাকিস্তানিদের ঘাঁটিতে অনেকগুলো আক্রমণ পরিচালনা করে। [৯]

১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল থেকে সরকারি ঘোষণায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কার্যক্রম শুরু হয়।

১৯৭১ পরবর্তী: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিকাশ সম্পাদনা

 
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘরে একটি এফ-৮৬ স্যাবর যুদ্ধবিমান
 
বিমান বাহিনীর দুইজন নারী বৈমানিক

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত অনেক বাংলাদেশী কর্মকর্তা ও বিমান সেনা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। যার ফলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সূচনালগ্নেই এক দল প্রশিক্ষিত জনবল পেয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৩~৭৪ সালে পাকিস্তান ফেরত জনবল বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়।[৪]

স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণের ফলে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর বহু বিমান মিয়ানমার হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যায়। ভূমিতে আটকা পরা বিমান ভারত নিয়ে যায়। আত্মসমর্পণের পরে পাকিস্তানি বাহিনীর এসব বিমানের বেশিরভাগই ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত বিমান রয়ে যায়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিবিদরা কিছু বিমানকে মেরামত করে উড্ডয়ন সক্ষম করে তোলে। স্বাধীনতার পর বিমান বাহিনী তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বড় ধরনের অনুদান পায় যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ১০টি মিগ-২১এমএফ এবং ২টি মিগ-২১ইউএম যুদ্ধ বিমান।[৫]

১৯৭৭ সালে জাপান এয়ারলাইন্স ভারত থেকে ঢাকায় হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনাৱ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে বিদ্রোহ দেখা দেয়। যেটা দমনে অনেক কর্মকর্তা ও বিমানসেনা নিহত হয়। বিদ্রোহ পরবর্তী বিচারে আরও বহু সংখ্যক কর্মকর্তা ও বিমানসেনার মৃত্যুদণ্ড হয় যার ফলে বিমান বাহিনীর জনবল ভয়াবহ হ্রাস পায়।[১০] বিদ্রোহ পরবর্তী বিমান বাহিনীতে জনবল সংকটে দৈনন্দিন কাজকর্ম চালানো কঠিন হয়ে পড়ে যা একটি সদ্যসৃষ্ট বিমান বাহিনীর বিকাশে বড় ধরনের বাধার সৃষ্টি করে।

 
উড্ডয়নের পূর্ব মুহূর্তে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি যুদ্ধ বিমান

জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর শাসনামলে পাকিস্তানের সাথে সামরিক সহযোগিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। যার ফলস্বরূপ ১৯৮০ এর দশকের শেষ দিকে পাকিস্তান কয়েক স্কোয়াড্রন এফ-৬ যুদ্ধবিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে উপহার হিসেবে প্রদান করে।[৫] ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়া থেকে ৮টি চতুর্থ প্রজন্মের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ক্রয় করে।[১১]

২০০৩ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিকে জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা হয়।[১২]

ফোর্সেস গোল ২০৩০ সম্পাদনা

 
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ বিমান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বর্তমানে ফোর্সেস গোল ২০৩০ নামক একটি উচ্চাভিলাষী আধুনিকায়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠছে। এই পরিকল্পনার অধীনে বিমান সক্ষমতা এবং ভূমি-ভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুইটিই শক্তিশালিতা করা হচ্ছে। ২০১১ সালে কক্সবাজারে নতুন বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ২০১৩ সালে ঢাকায় স্থাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিমানঘাঁটি। ঘাঁটি প্রতিরক্ষা ও পাইলট উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে বিশেষায়িত ইউনিট স্কোয়াড্রন ৪১

২০১০ সাল থেকে বিমান বাহিনীতে ১৬টি এফ-৭বিজিআই যুদ্ধ বিমান, ১৬ টি উচ্চতর জেট প্রশিক্ষণ বিমান, ৯টি কে-৮ প্রাথমিক জেট প্রশিক্ষণ বিমান, ৩টি এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান[১৩] এবং ২৩টি পিটি-৬ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ বিমান[১৪] যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে আরও যুক্ত হয়েছে ১৬টি এমআই-১৭১এসএইচ যুদ্ধ হেলিকপ্টার,[১৫][১৬] ২টি এডব্লিউ-১৩৯ সামুদ্রিক উদ্ধার ও অনুসন্ধান হেলিকপ্টার[১৭] এবং ২টি এডব্লিউ-১১৯কেএক্স প্রশিক্ষণ হেলিকপ্টার।

২০১১ সালে এফএম-৯০ স্বল্প পাল্লার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের মধ্য দিয়ে বিমান বাহিনী ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জন করে।[১৮] এখন পর্যন্ত বিমান বাহিনী দুই রেজিমেন্ট এই ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করেছে। ইতোমধ্যে বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে জেওয়াই-১১বি, জেএইচ-১৬, ওয়াইএলসি-৬ এবং ওয়াইএলসি-২ রাডার ব্যবস্থা।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অবদান সম্পাদনা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিসার ও বিমানসেনা মিলিয়ে ৬০০ এর অধিক জনবল, ১২টি হেলিকপ্টার ও ১টি পরিবহন বিমান বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে হাইতিতে ৩টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার, মালিতে ৩টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার এবং কঙ্গোতে ৬টি এমআই-১৭১এসএইচ হেলিকপ্টার ও ১টি সি-১৩০বি পরিবহন বিমান মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া লাইবেরিয়া, আইভরি কোস্ট প্রভৃতি দেশেও বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট মোতায়েন রয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে নারী সম্পাদনা

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে প্রথমবারের মতো ৬৪ জন নারী বিমানসেনা হিসেবে প্রাথমিক রিক্রুট প্রশিক্ষণ শেষ করে।[১৯] পুরুষদের মতো নারীদেরকে বিমানসেনা হিসেবে সকল ট্রেডে নেওয়া হয়না; নারীদেরকে টেকনিক্যাল ট্রেডে, প্রভোস্ট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মিউজিক ট্রেড এবং ফিজিক্যাল ফিটনেস অ্যান্ড ড্রিল ইন্সট্রাক্টর (পিএফঅ্যান্ডডিআই) ট্রেডে নেওয়া হয়। নারীরা কর্মকর্তা হিসেবে ২০০০-এর দশক থেকেই যোগ দিতে পারেন তবে তাদের বৈমানিক হওয়ার অনুমতি ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত ছিলোনা, ২০১৪ সালে দুইজন নারী কর্মকর্তা বৈমানিক হওয়ার প্রশিক্ষণ অর্জন করেন।[২০]

বিমান বাহিনী প্রধানগণের তালিকা সম্পাদনা

সংগঠন সম্পাদনা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান হচ্ছেন একজন চার তারকা এয়ার চিফ মার্শাল পদমর্যাদার কর্মকর্তা।[২১] বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের চারটি শাখা রয়েছে: অপারেশন্স, প্লানস, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং মেইনটেনেন্স। প্রত্যেক শাখার প্রধান হিসেবে রয়েছেন একজন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান। প্রত্যেক সহকারী বিমান প্রধানের অধীনে রয়েছে একাধিক পরিদপ্তর যার পরিচালক হিসেবে থাকেন একজন এয়ার কমোডোর বা গ্রুপ ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার কর্মকর্তা। প্রত্যেক পরিচালকের অধিনে থাকেন সহকারী পরিচালক এবং স্টাফ অফিসার পদের কর্মকর্তাগণ।

গুরুত্বপূর্ণ পদধারী কর্মকর্তা:

  • বিমান বাহিনী প্রধান: এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান[২২]
  • সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (অপারেশন্স): এয়ার ভাইস মার্শাল নাঈম হাসান এনডিইউ, পিএসসি, জিডি(পি)
  • সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্লানস): এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক ওএসপি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জিডি(পি)
  • সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন): এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ আবুল বাশার বিবিপি, ওএসপি, এনডিসি, এসিএসসি, পিএসসি
  • সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (মেইনটেনেন্স): এয়ার ভাইস মার্শাল এম কামরুল এহসান বিইউপি, এনডিসি, পিএসসি

আঞ্চলিক নেতৃত্ব সম্পাদনা

দায়িত্ব পদবি ও নাম
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি খাদেমুল বাশার এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, ওএসপি, জিইউপি, এনডিইউ, পিএসসি
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মাদ শফিকুল আলম, বিএসপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এয়ার কমোডোর মুর্শেদ হাসান সিদ্দিকি, পিএসসি, জিডি(পি)
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি মতিউর রহমান এয়ার ভাইস মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি, জিডি(পি)
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর এয়ার কমোডোর মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি, জিডি(পি)
এয়ার অফিসার কমান্ডিং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার এয়ার কমোডোর এম ইউসুফ আলি, জিইউপি, এনডিসি, পিএসসি, জিডি(পি)

অফিসার-বিমানসেনাদের শাখা/ট্রেড সম্পাদনা

পদবিন্যাস সম্পাদনা

কমিশন্ড অফিসার সম্পাদনা

সমমানের ন্যাটো পদ ওএফ ১০ ওএফ ৯ ওএফ ৮ ওএফ ৭ ওএফ ৬ ওএফ ৫ ওএফ ৪ ওএফ ৩ ওএফ ২ ওএফ ১ ওএফ ১ ওএফ ০
  বাংলাদেশ সমমানের পদ নেই  

 
 

 
 

 
 

 
             
এয়ার চিফ মার্শাল এয়ার মার্শাল এয়ার ভাইস মার্শাল এয়ার কমোডোর গ্রুপ ক্যাপ্টেন উইং কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ফ্লাইং অফিসার পাইলট অফিসার অফিসার ক্যাডেট

জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) সম্পাদনা

সমমানের ন্যাটো পদ ডব্লিউও-৩ ডব্লিউও-২ ডব্লিউও-১
  বাংলাদেশ      
মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়ারেন্ট অফিসার

নন-কমিশন্ড অফিসার (এনসিও) এবং বিমানসেনা সম্পাদনা

সমমানের ন্যাটো পদ ওআর-৬ ওআর-৪ ওআর-৩ ওআর-১
  বাংলাদেশ  
     
সার্জেন্ট কর্পোরাল লিডিং এয়ারক্রাফটমম্যান এয়ারক্রাফটম্যান ১

বিমান ঘাঁটি সম্পাদনা

  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি খাদেমুল বাশার, ঢাকা
  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু, ঢাকা
  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রাম
  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি মতিউর রহমান, যশোর
  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি পাহাড়কাঞ্চনপুর, সখিপুর, টাঙ্গাইল
  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার
  • মৌলভীবাজার রাডার ইউনিট
  • বগুড়া রাডার ইউনিট
  • তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, লালমনিরহাট
  • তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, শমসেরনগর

প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পাদনা

  • বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি, যশোর
  • ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টরস স্কুল (এফআইএস), বগুড়া
  • কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (সিএসটিআই)
  • ফ্লাইট সেফটি ইন্সটিটিউট (এফআইএস), ঢাকা
  • অফিসারস ট্রেনিং স্কুল (ওটিএস), যশোর
  • অ্যারোমেডিক্যাল ইন্সটিটিউট (এএমআই), কুর্মিটোলা, ঢাকা
  • ফাইটার কন্ট্রোলার ট্রেনিং ইউনিট (এফসিটিইউ), ঢাকা
  • স্কুল অফ ফিজিক্যাল ফিটনেস (এসওপিএফ), কুর্মিটোলা, ঢাকা
  • রিক্রুটস ট্রেনিং স্কুল (আরটিএস), শমসেরনগর, মৌলভীবাজার
  • ট্রেনিং উইং, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম
  • মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট ড্রাইভিং স্কুল, শমসেরনগর, মৌলভীবাজার

সরঞ্জাম সম্পাদনা

 
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এমআই-১৭সি হেলিকপ্টার
 
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭এমবি যুদ্ধবিমানের অবতরণ

বিমান সম্পাদনা

ভবিষ্যৎ আধুনিকায়ন পরিকল্পনা সম্পাদনা

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালনের জন্য বিমান বাহিনীকে দক্ষিণ বিমান কমান্ড ও উত্তর বিমান কমান্ড নামক দুইটি কমান্ডে ভাগ করা হচ্ছে। দক্ষিণ বিমান কমান্ডের অধীনে একটি মেরটাইম এয়ার সাপোর্ট অপারেশন সেন্টার (এমএএসওসি) স্থাপন করা হবে। সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার জন্য দক্ষিণ বিমান কমান্ডের অধীনে বরিশালে একটি বিমান ঘাঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। একই সাথে কক্সবাজার বিমানঘাঁটির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে।[১৪] সিলেটে আরেকটি বিমান ঘাঁটি স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।[২৩] ঢাকার বাশার বিমান ঘাঁটি, চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমান ঘাঁটি, যশোরে মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি ও কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে এয়ার ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স (এটিএস) রাডার স্থাপনের কাজ চলছে।[২৪] বিমান বাহিনী ১০৫ অ্যাডভান্সড জেট ট্রেনিং ইউনিট নামক একটি উন্নত প্রশিক্ষণ ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে। এই ইউনিটটি যুদ্ধবিমানের পাইলট দের উন্নত প্রশিক্ষণের কাজ করবে। এই ইউনিটের অধীনে থাকবে তিনটি প্রশিক্ষণ স্কোয়াড্রন।[২৫]

২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যুক্তরাজ্য বিমান বাহিনীর ব্যবহৃত দুইটি সি-১৩০জে এমকে৫ পরিবহন বিমান ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে।[২৬] ২০১৯ সালের জুন মাসে এরকম আরও তিনটি বিমান ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।[২৭] ২০২০ সালের মে অনুযায়ী, এর দুইটি বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে।[২৮]

২০১৮ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী চীনের চায়না ন্যাশনাল এ্যারো টেকনোলজি ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন এর সাথে ৭টি কে-৮ জেট প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে।[২৯]

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর ইতালীয় কোম্পানি লিওনার্দো বাংলাদেশের কাছে অজানা সংখ্যক ক্রোনস ল্যান্ড রাডার বিক্রির চুক্তি করার ঘোষণা দেয়। সি-ব্যান্ডের এই ত্রিমাত্রিক রাডারের পাল্লা ২৫০ কিমি।[৩০]

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বিমান বাহিনী একটি মনুষ্যবিহীন আকাশযান ব্যবস্থা ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করে। এই ব্যবস্থায় ৩/৪টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান এবং ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।[৩১]

২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সংসদে প্রতিরক্ষা কার্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক জানান বিমান বাহিনীর জন্য ১৬টি মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট (এমআরসিএ), ৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার, তিনটি ভিভিআইপি হেলিকপ্টার, দু’টি এয়ার ডিফেন্স রাডার ইউনিট, ২৪টি প্রাথমিক প্রশিক্ষণ বিমান, দুইটি হালকা বিমান, একটি কে-৮ ডাব্লিউ সিমুলেটর, চারটি এমআরএপি যান, একটি এডব্লিউ-১১৯ সিমুলেটর, দু’টি কাউন্টার ড্রোন সার্ভেইল্যান্স রাডার সিস্টেম এবং একটি মোবাইল এটিসি টাওয়ার ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।[৩২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ২ লাখ ৪ হাজার ৫৯৬ জন"banglanews24.com। ৭ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৭ 
  2. "Bangladesh Air Force motto in English"। ৯ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৮ 
  3. "Air vice marshal Shaikh Abdul Hannan takes over BAF command"Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২১ 
  4. সৈয়দ মোহাম্মদ সালেহ্ উদ্দিন (২০১২)। "বাংলাদেশ বিমানবাহিনী"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  5. "Scramble"। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫ 
  6. Parveen, Jahanara (ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬)। "The birth of Bangladesh Air Force"theindependentbd.com। The Independent। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৩ 
  7. "Freedom Fighters – Bangladesh Air Force"www.baf.mil.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৩ 
  8. "BAF History – Bangladesh Air Force"www.baf.mil.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৩ 
  9. Habib, Haroon। "1971 wartime Dakota handed over to Bangladesh"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৩ 
  10. "United Red Army: 1977 Forever"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৫-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৪ 
  11. "5 acquitted in MiG-29 graft case"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৬-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৩ 
  12. "Air Force, 15 personalities get Independence Award"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৪ 
  13. "BD to build fighter planes one day, hopes PM"। UNB। ২০১৫। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  14. "বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র"। মানব জমিন। ৭ জুলাই ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭ 
  15. "New Base for Bangladesh Air Force (BAF)"Security-risks.com। ২৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৫ 
  16. "Russia to deliver 5 transport combat helicopters to Bangladesh"TASS। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  17. "Self-confidence to take nation forward: PM"। Newagebd.com। ৭ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ 
  18. "BAF inducts FM-90 missile system"airforce-technology.com 
  19. "বিমান বাহিনীতে প্রথমবারের মতো ৬৪ জন নারী রিক্রুট"বাংলা ট্রিবিউন। ২৫ নভেম্বর ২০২০। ২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২১ 
  20. "বাংলাদেশের প্রথম দুই নারী যুদ্ধবিমান পাইলট"bbc.com। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪। 
  21. "BN, BAF chiefs rank upgraded"Bangladesh Sangbad Sangstha। ২০১৬-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০১৬ 
  22. "বিমান বাহিনীর প্রধান হলেন শেখ আব্দুল হান্নান"banglatribune.com/। ১ জুন ২০২১। ২ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০২১ 
  23. "Hasina announces new air bases to strengthen air force"Bdnews24.com। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮ 
  24. "তিন বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম"। কালের কন্ঠ। ২৩ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  25. "Special training unit for BAF jet fighter pilots on the cards"। The Independent। ৭ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৭ 
  26. "বিমান বাহিনী ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সামরিক পরিবহন বিমান ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর"। আইএসপিআর। ১০ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৮ 
  27. "Marshall Aerospace and Defence signs new multi-million-pound support contract for Bangladesh C-130J fleet"। Marshall ADG। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৯ 
  28. "Second C-130J Super Hercules aircraft arrived in Bangladesh"Air Recognition। ২৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২০ 
  29. "বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও চীনের মধ্যে কে-৮ ডব্লিউ জেট ট্রেইনার বিমান ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর"। আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। ২০ জুন ২০১৮। ২৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুন ২০১৮ 
  30. "Bangladesh Air Force orders Leonardo's Kronos Land radar | Jane's 360"www.janes.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৯ 
  31. "Tender specification for the Unmanned Aerial Vehicle for Bangladesh Air Force" (পিডিএফ)। DGDP। ২২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  32. "বিমানবাহিনীর জন্য অত্যাধুনিক সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে : আইনমন্ত্রী"কালের কন্ঠ। ৩১ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা