বাংলাদেশ ডাক জাদুঘর

ঢাকা জেনারেল ডাকঘর (জিপিও)-তে অবস্থিত একটি জাদুঘর, বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ডাক জাদুঘর ঢাকা জেনারেল ডাকঘর (জিপিও)-তে অবস্থিত একটি জাদুঘর। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘরে নানা সময়ে ডাক বিভাগের ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি স্থান পেয়েছে।[১]

বাংলাদেশ ডাক জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত৯ অক্টোবর ১৯৬৬ (1966-10-09)
অবস্থানপুরানা পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ
ধরনজাতীয় ইতিহাস জাদুঘর
সংগ্রহনানান সময়ে ডাক বিভাগ কর্তৃক ব্যবহৃত সরঞ্জাম
মালিকবাংলাদেশ ডাক বিভাগ

ইতিহাস সম্পাদনা

জাদুঘরটি প্রথম শুরু হয় ১৯৬৬ সালের ৯ অক্টোবর। সে সময় এটি ছিল ঢাকা জিপিও'র কাউন্টারের পাশে একটি সাধারণ প্রদর্শনী। পরে ১৯৮৫ সালে তা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলার দুইটি কক্ষে স্থানান্তরিত হয়। কক্ষ দুইটির মোট আয়তন ২,১৬০ বর্গফুট।

বিবরণ সম্পাদনা

জাদুঘরের মোট ২,১৬০ বর্গফুট আয়তনের কক্ষ দুটির একটিতে ডাক বিভাগের কার্যক্রমে ব্যবহূত বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে উর্দি পরিহিত, বর্শা ও লণ্ঠন হাতে এবং কাঁধে চিঠির ব্যাগসহ একটি পূর্ণ মাপের ডাকপিয়নের অবয়ব এবং রানী ভিক্টোরিয়া আমলের একটি বিশালাকৃতির ডাকবাক্স উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত ডাকবাক্স এবং বিদেশের বিভিন্ন দেশে ব্যবহূত আধুনিক ডাকবাক্স, বিভিন্ন সময়ে ব্যবহূত চিঠিপত্রে ডাকমাশুল বসানোর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হস্ত ও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র, খুলনা ও বরিশালের নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যবহূত পরিভ্রমণকারী ডাকঘরের ক্ষুদ্রাকৃতি নমুনাও এখানে আছে। পার্সেল করার কাজে ব্যবহূত সাত মণ পর্যন্ত ওজন মাপার তুলাদন্ড, ডাকঘরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহূত সিলমোহর, হাত ও টেবিলঘড়ি, রানার ও পিয়নদের বেল্টে ব্যবহূত ব্যাজ, উর্দি ও পোশাক, বিভিন্ন প্রকার ডাকসামগ্রী বহনের উপযোগী বিভিন্ন মাপের ব্যাগ ও ডাকঘরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহূত অন্যান্য দ্রব্যাদি, যার অধিকাংশই শত বছরের পুরাতন। দ্বিতীয় ঘরের দেয়ালে বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৯১টি সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রেরিত সে সকল দেশের বিভিন্ন প্রকার ডাকটিকিট একটি কাঁচঘেরা তাকে রাখা আছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ডাক জাদুঘরের বাঁকে বাঁকে ইতিহাসের স্মারক"দৈনিক সমকাল। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা