বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন
বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন বাংলাদেশের বিচারকগণের সংগঠন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী গঠিত বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত সকল বিচারকগণের সমন্বয়ে এই এসোসিয়েশন গঠিত হয়েছে।
ধরন | পেশাজীবী সংগঠন |
---|---|
সদরদপ্তর | বাড়ি নং ৭, সড়ক নং ৮, ভাষাসৈনিক গাজীউল হক সড়ক, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা |
অবস্থান | |
সভাপতি | এ.এইচ.এম. হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া[১] |
মহাসচিব | মোঃ মজিবর রহমান[১] |
ওয়েবসাইট | bjsa |
ইতিহাস সম্পাদনা
১৯৪৭ সালের ১৩ অক্টোবর গৃহীত গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে 'ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস (জুডিসিয়াল) এসোসিয়েশন'। পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জুডিসিয়াল ক্যাডার বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত হয়। সংগঠনের নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় 'বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জুডিসিয়াল) এসোসিয়েশন'। ১৯৯০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সংগঠনের সদস্যদের বার্ষিক সাধারণ সভায় পূর্বের গঠনতন্ত্র বাতিলপূর্বক নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও গ্রহণ করা হয়। মাসদার হোসেন মামলায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০০২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন'। [২]
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পাদনা
অরাজনৈতিক ও কল্যাণমুখী সংগঠন হিসাবে এই এসোসিয়েশনের কার্যবিধি নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্য সাধনের পরিচালিত হয়।
ক) এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও একাত্ববোধ জাগ্রতকরণ এবং বিচার বিভাগের সুমহান ঐতিহ্য ও মান মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য সদস্যদের দেশ ও জাতির কল্যাণে দেশপ্রেম, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, নিরপেক্ষতা ও একাগ্রতার সঙ্গে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে উদ্বুদ্ধকরণ,
খ) সদস্যদের আইনানুগ ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার যথা- চাকরির কাঠামো, বেতন, পদমর্যাদা ইত্যাদি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল দাবীসমূহ ন্যায় নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ,
গ) সংগঠনের স্বার্থে এবং সদস্যদের কল্যাণের জন্য তহবিল গঠন, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি অর্জন,
ঘ) সংগঠনের স্বার্থে সভা, সম্মেলন ও সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রম গ্রহণ,
ঙ) বিচার ও বিচার প্রশাসনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের অনুমতিক্রমে সম্পর্ক স্থাপন ও বিস্তার এবং
চ) উল্লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়ক সকল কার্যক্রম গ্রহণ। [২]