বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

বাংলাদেশের ব্যাংক

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) একটি শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক। বাংলাদেশের কৃষির মতো প্রকৃতি নির্ভর অনিশ্চিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ খাতে অর্থায়নের জন্য ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ প্রতিষ্ঠা লাভ করে দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত এই ব্যাংক। আমানত, ঋণ, বৈদেশিক বাণিজ্যসহ সব ধরনের আধুনিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।১০৩৮ টি অনলাইন শাখা।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
ধরনশতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক
শিল্পব্যাঙ্কিং, আর্থিক পরিষেবা
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭৩ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সদরদপ্তর৮৩-৮৫, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রধান ব্যক্তি
মো: নাসিরুজ্জামান (চেয়ারম্যান)
মো:শওকত আলী খান (ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
পণ্যসমূহফাইন্যান্স ও বীমা
কনসুমার ব্যাঙ্কিং
যৌথ ব্যাঙ্কিং
ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং
বিনিয়োগ ব্যবস্থাপন
ওয়েবসাইটবাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক

ইতিহাস সম্পাদনা

এই ব্যাংকটি ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অধ্যাদেশের (President's Order No 27 of 1973) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২]

লক্ষ্য সম্পাদনা

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঋণ সুবিধা প্রদান।

উদ্দেশ্য সম্পাদনা

দেশের জনসাধারণের দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সুবিধা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কৃষি, এসএমই ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে ঋণ প্রদান।

কার্যাবলী সম্পাদনা

  • শস্য, মৎস্য, প্রানীসম্পদ, গাভীপালন, কৃষি যন্ত্রপাতি, শস্য গুদামজাত ও বাজারজাতকরন,দারিদ্র বিমোচন,কৃষি ভিত্তিক শিল্প
  • প্রকল্প ও চলমান ঋণ এবং এসএমই খাতে ঋণ বিতরণ।
  • চলতি,সঞ্চয়ী,এসএনডি ও মেয়াদীসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প বাস্তবায়ন।
  • বিভিন্ন প্রকার সরকারি সঞ্চয়পত্র বিক্রয় ও প্রাইজবন্ড ক্রয়বিক্রয়।
  • দেশের বাহিরে কর্মরত প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ তাদের স্বজনদের নিকট দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দেয়া।
  • সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা ভাতা,বয়স্কভাতা,বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলা
  • ভাতা,অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা,উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ এবং অবসর প্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পেনশন সুবিধা প্রদান।
  • সরকারী ধান/চাউল/খাদ্য সংগ্রহের বিল পরিশোধ,ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও অন্যান্যয ব্যাংকিং সেবা প্রদান।

পরিচালনা পদ্ধতি সম্পাদনা

কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি পরিচালনা পর্ষদ যার প্রধান একজন চেয়ারম্যান; বর্তমানে (প্রেক্ষিত ২০২১) এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাঈল

বিস্তৃতি সম্পাদনা

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই ব্যাংকের ১১টি পরিষদ অফিস, ২৪টি বিভাগের হেড অফিস, ১০৩৮ টি শাখা রয়েছে।[৩]

অর্জন ও পুরস্কার সম্পাদনা

অনিয়ম ও সমালোচনা সম্পাদনা

২০১৫ সালে ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখায় ডাকাতি হয়।[৪] ব্যাংক কর্মকর্তারা বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন।[৫]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  2. "প্রতিষ্ঠা" 
  3. "শাখা"। ১৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৭ 
  4. Correspondent, Moulvibazar; bdnews24.com। "Moulvibazar Krishi Bank branch robbed"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০২ 
  5. "ACC grills 4 Krishi Bank officials over embezzlement"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-১২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা