বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট । এই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং” প্রোগ্রামে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও গ্লাস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু রয়েছে। আরো ৪টি বিভাগ মন্ত্রীসভায় অনুমোদন পেয়েছে যা খুব শীঘ্রই চালু হবে।[১]
নীতিবাক্য | প্রযুক্তিই প্রগতি |
---|---|
ধরন | পাবলিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট/প্রকৌশল কলেজ |
স্থাপিত | ১৯৫১ |
অধ্যক্ষ | প্রকৌশলী মোঃ সামসাদ খলিল (ডুয়েট) |
ডিন | 2 |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৩০ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫০+ |
শিক্ষার্থী | ১২০০ |
স্নাতক | ৮০০০ |
অবস্থান | ৯৫, শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ সরনী, তেজগাঁও শিল্পএলাকা , ঢাকা - ১২০৮ , ২৩°৪৫′২৯″ উত্তর ৯০°২৩′৫৮″ পূর্ব / ২৩.৭৫৭৯৭৯° উত্তর ৯০.৩৯৯৩৪১° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে ২০ একর (৮.১ হেক্টর) |
পোশাকের রঙ | সাদা |
অধিভুক্তি | বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড |
ওয়েবসাইট | www |
প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান
সম্পাদনারাজধানী ঢাকার ৯৫, শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ সরনী, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এর উত্তরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, পশ্চিমে ঢাকা-টংগী মহাসড়ক।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯৫১ সালের ১১ মার্চ "ইস্ট বেঙ্গল সিরামিকস ইনস্টিটিউট" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়, পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম কয়েক দফায় পরিবর্তন হয়। ১৯৬০ সালে "ইস্ট পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস" নামে এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আলাদা হওয়ার পর তা ১৯৭২ সালে পুনরায় পরিবর্তিত হয়, বর্তমান "বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকস" নামে। [১]
শিক্ষাব্যবস্থা
সম্পাদনা১৯৭৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকার ওকলাহামা স্টেট ইউনিভার্সিটির কারিকুলাম অনুসরনে পরিচালিত তিন বৎসর মেয়াদি ডিপ্লোমা স্তরের প্রোগ্রামটি সিরামিক প্রকৌশল বিষয়ে Associate in Engineering নামে প্রত্যয়ন হতো। ২০০০ সালে “ডিপ্লোমা ইন গ্লাস ইঞ্জিনিয়ারিং” প্রোগ্রাম চালু করা হয়। আবার ২০০০ সাল থেকেই “ডিপ্লোমা ইন গ্লাস এন্ড সিরামিকস” ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেয়াদ পরিবর্তন করে চার বছর মেয়াদী করা হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের আবশ্যিকভাবে পাঠ্য বাংলা, ইংরেজি,উচ্চতর গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, ব্যবসায় শিক্ষা, সমাজ বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদানের জন্য একটি অকারিগরি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সকাল ও দুপুর এই দুই শিফটে পাঠদান করা হয়।
প্রযুক্তি / বিভাগসমূহ
সম্পাদনাছাত্র সংগঠনসমূহ
সম্পাদনাবিজ্ঞান সংগঠন
সম্পাদনা- বিজ্ঞান ক্লাব
- ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব
- এনার্জি ক্লাব
স্থাপত্যসমূহ
সম্পাদনা- শহীদ মিনার
সুযোগ সুবিধাসমূহ
সম্পাদনা- ৪০০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কবি নজরুল ছাত্রাবাস রয়েছে।
- প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে প্রজেক্টরের ও কম্পিউটারের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও পুরো ক্যাম্পাস ওয়াইফাই'র অন্তর্ভুক্ত।
মিলনায়তন
সম্পাদনাইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে ২০০ আসনের শেখ ওয়াহেদ আলী কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান।
গ্রন্থাগার
সম্পাদনাপশ্চিম পাশ্বের প্রসাসনিক ভবনের নিচ তলায় একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রন্থাগারে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। সুন্দর পরিবেশে একসাথে প্রায় ৫০ জন ছাত্রের একসাথে পড়ার ব্যবস্থা আছে। গ্রন্থাগারে রেফারেন্স ও জার্নালের একটি বিশাল সংগ্রহ রয়েছে।
উচ্চ শিক্ষা
সম্পাদনা- অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে গ্লাস ও সিরামিক বিভাগ থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণ হবার পর একজন ছাত্র ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডুয়েটে কেমিক্যাল এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, মেটেরিয়ালস ও মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ আছে। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অনুষদের উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠান টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজে বিএসসি ইন টেকনিক্যাল এডুকেশন (সিভিল/ইইই/মেকানিক্যাল) ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ আছে। এছাড়াও দেশের সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ছাড়ের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিক্স এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট"। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে