বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা দ্বারা বাংলাদেশভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৬ মাইল) দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানায়[৬] মূলত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বিএসএফ কর্তৃক সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিকদের উপর সংগঠিত নিয়মিত নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডকে বোঝানো হয়ে থাকে।[৭] সীমান্তে চোরাচালান ও বাংলাদেশ থেকে কথিত অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিতর্কিত শ্যূট-অন-সাইট (দেখামাত্র গুলি) নীতি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বহাল আছে, যার প্রেক্ষিতে বিএসএফ কারণে কিংবা অকারণে বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করতে পারে।[৮] আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া, হাট-বাজারে বেচাকেনা করা, এবং কাজ খোঁজার জন্য অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে সীমান্ত পারাপার করে। এছাড়াও সীমান্তের শূন্যরেখার কাছে কৃষিজমিতে কৃষিকাজ কিংবা নদীতটে মৎস্য আহরণের জন্যও অনেক মানুষকে সীমান্তপথ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন ছোটখাটো এবং গুরুতর আন্তঃসীমান্ত অপরাধে নিয়োজিত। সীমান্ত বাহিনী অবৈধ কার্যক্রম মোকাবেলার বাধ্যতামূলক করা হয়, বিশেষ করে মাদক চোরাচালান, যৌন কাজের জন্য মানব পাচার, এবং জাল মুদ্রা ও বিস্ফোরক পরিবহন।[৭] কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ সাধারণ ও বেসামরিক বাংলাদেশি হত্যার অভিযোগ আছে।[৮] অধিকার, একটি বাংলাদেশি এনজিও, ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী দ্বারা কমপক্ষে ১৭ বাংলাদেশি হত্যা ও বিভিন্ন নির্যাতনের দৃষ্টান্ত নথিভুক্ত করে। মাসুম, একটি কলকাতা ভিত্তিক এনজিও যারা সীমান্ত এলাকার তথ্য উদ্‌ঘাটন করে, তাদের তথ্যমতে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় গুলি চালনার হার কমলেও বিএসএফ সন্দেহভাজনদের আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শন, নিষ্ঠুরভাবে প্রহার এবং নির্যাতন করে।[৭]

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা
Bg-map.png
অবস্থান
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যা
অবস্থা চলমান
বিবাদমান পক্ষ
 ভারত  বাংলাদেশ
জড়িত ইউনিট
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
  • ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৮০+ বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক নিহত[১]
  • ২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১,০০০+ বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক নিহত[২][৩][৪]
  • ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৪৬ জন বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক নিহত[৫]

২০১১ সালের জুলাইয়ে হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ সীমান্ত হত্যা নিয়ে বলে, "ভারত সরকারের বাংলাদেশের সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) দ্বারা হত্যা, নির্যাতন, ও অন্যান্য অনাচারের নতুন অভিযোগ একটি, দ্রুত পরিষ্কার, এবং স্বচ্ছ অপরাধের তদন্ত দায়িত্বগ্রহণ করা উচিত।" হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক, মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, "সীমান্তে মানুষের উপর অত্যধিক বল ব্যবহার ও নির্বিচারে প্রহার অসমর্থনীয়। এইসব নির্যাতনের ঘটনা ভারতের আইনের শাসনের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রশ্নবিদ্ধ করে।"[৭]

বিগত ১০ বছরে প্রায় ১,০০০ মানুষ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক নিহত হয়, যার বেশিরভাগই বাংলাদেশি। সীমান্ত এলাকাকে একটি দক্ষিণ এশিয়ার হত্যার ক্ষেত্রে পরিণত করে। অনেক ক্ষেত্রে নিরস্ত্র এবং অসহায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকাণ্ডের পরিষ্কার প্রমাণ সত্ত্বেও, এখন পর্যন্ত কাঊকেই হত্যাকাণ্ডের জন্য অভিযুক্ত করা হয়নি।[৮]

মানবাধিকার সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছরের মধ্যে (২০০১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত) ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে প্রায় ১০০০ বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।.[২][৩] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনী নিয়মিত হুমকি দেয়, নির্যাতন করে এবং সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিকদের আটক করে নির্যাতন করে এবং বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী সাধারণত বাংলাদেশী বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করে না।[২][৩][৪] অধিকার, বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে যে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ধর্ষণ ও লুটপাটের শিকার হয়েছে।[৯]

ব্যাড এডামস, হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচের এশিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক, সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বলেন,

"Routinely shooting poor, unarmed villagers is not how the world's largest democracy should behave."[৮]

ভারতীয় কর্মকর্তারা বিএসএফ-এর আচরণের পরিবর্তন এবং শ্যূট-অন-সাইট নীতি বাতিল করতে নতুন আদেশ পাঠাতে অঙ্গীকার করেছেন। তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারকারী বা পাচারকারীদের ধরতে অহিংস উপায় ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।[৮] যদিও তা এখনোও বাস্তবে কার্যকর হয়নি।

বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের শ্যূট-অন-সাইট নীতি অভিযোগের প্রতিক্রিয়া বিভ্রান্তিকর: "আমরা অবৈধ সীমান্ত পারাপারকারীদের গুলি করি যেহেতু তারা আইনভঙ্গকারী; আমরা সীমান্ত পারাপারকারীদের গুলি করি না; আমরা কেবল আত্মরক্ষাতে গুলি করি; আমরা হত্যা করতে গুলি করি না।"[৮]

বিএসএফ-এর মত কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের দ্বারা সংঘটিত একটি অপরাধের তদন্ত শুরু করার জন্য একটি ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তার অনুমতি প্রয়োজন, যা খুব কমই ঘটে।[৮]

ভারতে একটি কার্যকরী আদালত থাকলেও, সীমান্তের এসব অপরাধের ক্ষেত্রে দৃশ্যতঃ বিএসএফ একইসাথে বিচারক, জুরি এবং ঘাতক হিসাবে কাজ করতে পারে।[৮]

ভারত তার সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ভারতে প্রাণঘাতী বল ব্যবহার করার অধিকার নেই। তবুও কিছু ভারতীয় কর্মকর্তা প্রকাশ্যে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।[৮]

বিএসএফ-এর প্রাক্তন প্রধান রমণ শ্রীবাস্তব বলেন যে, কোনও মানুষের উচিত নয় এই শিকারগ্রস্তদের জন্য দুঃখ বোধ করা। তিনি দাবি করেন যে, যেহেতু এইসব ব্যক্তি প্রায়শই রাতে, অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করছিল, তাই তারা মোটেই "নির্দোষ" ছিল না এবং এ কারণেই এরা বৈধ লক্ষ্য ছিল।[৮]

পটভূমিসম্পাদনা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তসম্পাদনা

স্থল সীমান্তসম্পাদনা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমান্ত ৪,০৯৬ কিলোমিটার (২,৫৪৫ মাইল)।

হত্যাকান্ডের পরিসংখ্যানসম্পাদনা

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের রেকর্ড অনুযায়ী ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১০৬৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে বিএসএফ। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে বিএসএফ গুলি ও শারীরিক নির্যাতনে হত্যা করেছে ৪২ জন বাংলাদেশিকে। অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সীমান্তে ৩শ ১২ বার হামলা চালানো হয়। এতে ১২৪ জন বাংলাদেশী নিহত হয়। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত, ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১ জন, ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩ জন, ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩ জন, ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুসারে ২০১২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিএসএফ হত্যা করেছে ৩৫ জনকে। এ সময় বিএসএফ ২২ বাংলাদেশীকে গুলি ও নির্যাতন করে আহত করেছে আর অপহরণ করেছে ৫৮ জনকে ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে মাত্র ৭ দিনের ব্যাবধানে ভারতীয়রা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ৩ বাংলাদেশীকে জোর-জবরদস্তি অপহরণ করে নিয়ে গেছে।[১০][১১][১২]

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে মোট ২৭ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ সদস্যরা৷ ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জন বাংলাদেশিকে৷ আহত হয়েছেন ৬৮ জন৷ এছাড়া বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে ৫৯ জনকে৷ তিন বছরে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যায় ২০১৫ সাল শীর্ষে অবস্থান করছে৷ [১০] ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫জন বাংলাদেশিকে৷[৫][১৩][১৪]

বছর নিহত আহত অপহৃত নিখোঁজ ধর্ষণ ছিনতাই পুশ ইন অন্যান্য মোট সূত্র
১৯৭২ ১৫ ১৫ [১৫][১৬]
১৯৭৩ ২০ ২০ [১৫][১৬]
১৯৭৪ ২৩ ২৩ [১৫][১৬]
১৯৭৫ ১১ ১১ [১৫][১৬]
১৯৭৬ ১৬ ১৬ [১৫][১৬]
১৯৭৭ ২৭ ২৭ [১৫][১৬]
১৯৭৮ ১২ ১২ [১৫][১৬]
১৯৭৯ ২২ ২২ [১৫][১৬]
১৯৮০ ১৮ ১৮ [১৫][১৬]
১৯৮১ ১২ ১২ [১৫][১৬]
১৯৮২ ১৯ ১৯ [১৫][১৬]
১৯৮৩ ১৬ ১৬ [১৫][১৬]
১৯৮৪ ২৩ ২৩ [১৫][১৬]
১৯৮৫ ২৭ ২৭ [১৫][১৬]
১৯৮৬ ৩০ ৩০ [১৫][১৬]
১৯৮৭ ১৭ ১৭ [১৫][১৬]
১৯৮৮ ১৩ ১৩ [১৫][১৬]
১৯৮৯ ১৭ ১৭ [১৫][১৬]
১৯৯০ ১৮ ১৮ [১৫][১৬]
১৯৯১ ১৫ ১৫ [১৫][১৬]
১৯৯২ ১৬ ১৬ [১৫][১৬]
১৯৯৩ ২৩ ২৩ [১৫][১৬]
১৯৯৪ ৩৯ ৩৯ [১৫][১৬]
১৯৯৫ ৩৬ ৩৬ [১৫][১৬]
১৯৯৬ ৩১ ৩১ [১৫][১৬]
১৯৯৭ ৩৩ ৩৩ [১৫][১৬]
১৯৯৮ ৩৭ ৩৭ [১৫][১৬]
১৯৯৯ ৩৮ ৩৮ [১৫][১৬][১৭][১৮]
২০০০ ৩১ ১৭ ১০৬ ১৩ ১৬৯ [১৯][২০][২১]
২০০১ ৮৪ ২৯ ৫৫ ১০ ১৭৯ [১৯][২০][২১]
২০০২ ৯৪ ৪২ ১১৮ ৩০ ১২ ২৯৬ [১৯][২০][২১]
২০০৩ ২৭ ৪১ ১২০ ২০৫ [১৯][২০][২১]
২০০৪ ৭২ ৩০ ৭৩ ১৮০ [১৯][২০][২১]
২০০৫ ৮৮ ৫৩ ৭৮ ১৪ ২৪০ [১৯][২০][২১]
২০০৬ ১৫৫ ১২১ ১৬০ ৩২ ৪৭৯ [১৯][২০][২১]
২০০৭ ১১৮ ৮২ ৯২ ১৯৮ ৫০৭ [১৯][২০][২১]
২০০৮ ৬১ ৪৬ ৮১ ২০ ২১১ [১৯][২২]
২০০৯ ৯৮ ৭৭ ২৫ ১৩ ৯০ ৩০৮ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১০ ৭৪ ৭২ ৪৩ ১৯৭ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১১ ৩১ ৬২ ২৩ ১২৫ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১২ ৩৮ ১০০ ৭৪ ১৬ ২৩৮ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৩ ২৯ ৭৯ ১২৭ ৭৭ ৪১ ৩৫৪ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৪ ৩৫ ৬৮ ৯৯ ২০৯ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৫ ৪৪ ৬০ ২৭ ১৩২ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৬ ২৯ ৩৬ ২২ ৮৭ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৭ ২৫ ৩৯ ২৮ ৯২ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৮ ১১ ২৪ ১৬ ৫১ [১৫][১৭][১৮][১৯]
২০১৯ ৪১ ৪০ ৩৪ ১১৫ [১৯][২৩]
২০২০ ৫২ ২৭ ৮৬ [১৫][১৭][১৮][১৯]
সর্বমোট ১৮৬০ ১১৪৫ ১৪০৮ ১১১ ১৫ ১৫৭ ৩৫৪ ৩৪ ৫০৮৪

১৯৯৬ - বর্তমানসম্পাদনা

  • ১৯৯৬ সালে ১৩০টি হামলায় ১৩ জন নিহত।[২৪]
  • ১৯৯৭ সালে ৩৯টি ঘটনায় ১১ জন।
  • ১৯৯৮ সালে ৫৬টি ঘটনায় ২৩ জন।
  • ১৯৯৯ সালে ৪৩টি ঘটনায় ৩৩ জন।
  • ২০০০ সালে ৪২টি ঘটনায় ৩৯ জন নিহত হয়।
  • ২০০১ সালে ৯৪ জন নিহত হন।
  • ২০০২ সালে ১০৫ জন নিহত হন।
  • ২০০৩ সালে ৪৩ জন নিহত হন।
  • ২০০৫ সালে ১০৪ জন নিহত হন।
  • ২০০৬ সালে ১৪৬ জন নিহত হন।
  • ২০০৭ সালে ১২০ জন নিহত হন।
  • ২০০৮ সালে ৬২ জন নিহত হন।
  • ২০০৯ সালে ৯৬ জন নিহত হন।
  • ২০১০ সালে বিএসএফ ৭৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করে।[২৫]
  • ২০১১ সালে হত্যার শিকার হন ৩১ জন।
  • ২০১২ সালে হত্যার শিকার হন ৩৮ জন।
  • ২০১৩ সালে হত্যার শিকার হন ২৯ জন।
  • ২০১৪ সালে হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জনকে।
  • ২০১৫ সালে বিএসএফ হত্যা করেছে ৪৫ জনকে৷[১৩]

হত্যাকান্ডের উল্লেখযোগ্য ঘটনাসম্পাদনা

ফেলানিসম্পাদনা

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি[২৬] এলাকায় ০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন (জন্ম:১৯৯৬ সাল)[২৬] নামের এক কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে।[২৭] বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল।[২৮] বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে সে দেশে ফিরছিল।[২৯][৩০] এর ফলে বাংলাদেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।[৩১] ২০১৫ সালে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারত সরকারকে তার পরিবারকে ৫০০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে।[৩২][৩৩]

আরোও দেখুনসম্পাদনা

বহিঃসংযোগসম্পাদনা

  1. India-Bangladesh border shooting (http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/4197680.stm)

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Cover report at Shaptahik 2000, 13 January 2001 
  2. "BSF kills 1000 Bangladeshis in 10yrs"BDnews24। ১৩ ডিসেম্বর ২০১২। 
  3. "'1,000 killed in a decade along Bangladesh border'"The Hindu। ১০ ডিসেম্বর ২০১০। 
  4. "Bangladesh anger over India torture video"BBC News। ১৯ জানুয়ারি ২০১২। 
  5. "146 Bangladeshis killed by BSF, Indian civilians in past 4 yrs, says home minister"BDNews24। ২৫ এপ্রিল ২০১৬। ২৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২১ 
  6. "Border Management: Dilemma of Guarding the India-Bangladesh Border"IDSA। জানুয়ারি ২০০৪। 
  7. "India: New Killings, Torture at Bangladeshi Border"হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ। নিউ ইয়র্ক: হিউম্যান রাইটস্‌ ওয়াচ। ২০১১-০৭-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-১২ 
  8. Adams, Brad (২০১১-০১-২৩)। "India's shoot-to-kill policy on the Bangladesh border"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-১২ 
  9. "Indian Border Security Force (BSF) and Indian miscreants kill 607 Bangladeshis in 7 years"Odhikar। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  10. ডয়েচে ভেলে
  11. বিবিসি
  12. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সীমান্ত হত্যা এবং বন্ধুরাষ্ট্রের সংজ্ঞা"DailyInqilabOnline। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৬ 
  13. "বিজিবির প্রতিবেদন সীমান্তে হত্যা বাড়ছে- দৈনিক সমকাল"। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  14. "Killing, harbouring, kayaking and dog training"The Daily Star। ২০১৭-০২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৭ 
  15. ড় ঢ় য় কক কখ কগ "294 Bangladeshis killed by BSF along border in 10yrs: Home Minister"The Dhaka Tribune। ১১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  16. "1,391 Bangladeshis killed by Indians"The Independent। ২০১৭-০২-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৮ 
  17. "294 Bangladeshis killed by BSF in last 10yrs: Home minister"The Daily Star। ১১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  18. "Kamal: 294 Bangladeshis killed by BSF in 10yrs"The Dhaka Tribune। ১১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  19. "IHuman Rights Violation by Indian Border Security Force (BSF) against Bangladeshi Citizens" (পিডিএফ)odhikar.org/Odhikar। ৭ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  20. "India-Bangladesh border killing"southasiajournal.net। ৩ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০ 
  21. "Indian Border Security Force (BSF) and Indian miscreants kill 607 Bangladeshis in 7 years"odhikar.org/। ৩১ ডিসেম্বর ২০০৬। ২৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০২০ 
  22. "India says 59 killed over last six months on Bangladesh border"Reuters। ২৪ আগস্ট ২০০৮। 
  23. "Threefold rise in border killing in 2019"The Dhaka Tribune। ১১ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯ 
  24. ‌‌সাপ্তাহিক ২০০০: প্রচ্ছদ প্রতিবেদন ১৩ জানুয়ারি ২০১১
  25. সীমান্ত হত্যা এবং বন্ধুরাষ্ট্রের সংজ্ঞা-দৈনিক ইনকিলাব[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  26. আড়াই বছর পরে শুরু হল বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে।
  27. "Felani killing: Justice denied, border killings continue"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০১-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৬ 
  28. "Felani, the BSF and the elusive zero target"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৬ 
  29. শুরু হচ্ছে ফেলানী হত্যার বিচার
  30. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "শুরু হচ্ছে ফেলানী হত্যার বিচার"bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৬ 
  31. ""NO ONE KILLED FELANI""The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৭-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২৬ 
  32. "Indian govt asked to pay Rs 5 lakh to Felani's family"The Daily Star। ২০১৫-০৮-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৭ 
  33. "One death, many questions"The Daily Star। ২০১১-০৫-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-১৭ 

বহিঃসংযোগসম্পাদনা