বসন্ত কুমারী পটনায়েক

ভারতীয় ওডিয়াভাষী লেখক

বসন্ত কুমারী পটনায়েক (১৫ই ডিসেম্বর ১৯২৩ - ২৯শে মার্চ ২০১৩) ছিলেন ওড়িয়া ভাষার ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, নাট্যকার, কবি এবং প্রাবন্ধিক; ওড়িয়া সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ হিসাবে বিবেচিত। তিনি তাঁর তিনটি উপন্যাসের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন: আমাদা বাটা (আক্ষরিক অর্থে, অপদস্পৃষ্ট পথ), চোরাবালি ও 'আলিভা চিতা', যার মধ্যে আমাদা বাটা উপন্যাসটি থেকে একই নামে একটি ওড়িয়া ছবিতে করা হয়েছে।

বসন্ত কুমারী পটনায়েক
জন্ম(১৯২৩-১২-১৫)১৫ ডিসেম্বর ১৯২৩
ভঞ্জনগর, গঞ্জাম জেলা, ওড়িশা
মৃত্যু২৯ মার্চ ২০১৩(2013-03-29) (বয়স ৮৯)
পেশাঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, নাট্যকার, কবি ও প্রাবন্ধিক
ভাষাওড়িয়া
জাতীয়তাভারতীয়
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
  • আমাদা বাটা
  • চোরাবালি
  • আলিভা চিতা
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারআতিবাদী জগন্নাথ দাস পুরস্কার
আত্মীয়রাজকিশোর পটনায়েক (ভাই)
হেমন্ত কুমারী নন্দ (বোন)

স্বাক্ষর

জীবনী সম্পাদনা

বসন্ত কুমারী ১৯৩৩ সালের ১৫ই ডিসেম্বর ওড়িশা রাজ্যের গঞ্জাম জেলার ভঞ্জনগর শহরতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কটক শহরে অতিবাহিত করেছিলেন[১] তিনি কটকের রাভেনশো কলেজ থেকে অর্থনীতি নিয়ে এমএ পাস করেছিলেন।[২]

তাঁর ভাই রাজকিশোর পটনায়েকের সাথে,[৩] তিনি শান্তি নিবাস বাণী মন্দির নামে পরিচিত একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৯৫৯ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল।[২]

তিনি ২০১৩ সালের ২৯ শে মার্চ পরলোক গমন করেন।[১] বসন্ত কুমারী সর্বদাই চেয়েছিলেন নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। তিনি তাঁর অনুভূতি এবং জীবনের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন ওড়িয়া কবিতায় লিখে গেছেন। এমনকি ৮৪ বছর বয়সেও তাঁর লেখার প্রতি ভালবাসা কখনই ম্লান হয় নি।[৪]

লেখনী সম্পাদনা

বসন্ত কুমারী ওড়িয়া সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ বলে বিবেচিত।[৫]

১৯৫০ সালে, বসন্ত কুমারী তাঁর প্রথম উপন্যাস আমাদা বাটা প্রকাশ করেছিলেন (আক্ষরিক অর্থে, অপদস্পৃষ্ট পথ), পাঠকেরা এই উপন্যাসটি ভালভাবে গ্রহণ করেছিলেন। এর পরে চোরাবালি (১৯৭৩), আলিভা চিতা এবং অন্যান্য আরো চারটি উপন্যাস তিনি লিখেছিলেন। সভ্যতার সাজা (১৯৫০; সভ্যতার প্রবর্তক), পটলা ঢেউ (১৯৫২) এবং জীবনচিহ্ন (১৯৫৯) তাঁর ছোটগল্পের সংগ্রহ। তিনি দুটি কবিতা সংকলন প্রকাশ করেছিলেন: চিন্তনালা (১৯৫৬) এবং তরঙ্গ । তিনি দুটি নাটক লিখেছিলেন: জওরা ভাটা (১৯৫২) এবং মৃগ তৃষ্ণা (১৯৫৬)। তাঁর উপন্যাস আমাদা বাটা , যাকে তাঁর মহান কাজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই উপন্যাস দিয়ে একই নামে একটি ওড়িয়া ছবি করা হয়েছিল।[৩][৬][৭] এটি কটকের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের এবং তাদের মেয়েকে বিবাহ দেবার চেষ্টা করার গল্প।[৮] আমাদা বাটা মহিলাদের চরিত্রের বাস্তব চিত্রায়নের জন্য খ্যাতিযুক্ত।[৯]

তাঁর লেখাগুলি বিশ শতকের ওড়িশার ঘরোয়া ও সামাজিক জীবনকে প্রতিফলিত করেছে।[২] তিনি তাঁর বোন হেমন্ত কুমারী নন্দার সাথে জিদ্দু কৃষ্ণমূর্তির দার্শনিক রচনার সহ-অনুবাদ করেছিলেন।[১]

স্বীকৃতি সম্পাদনা

ওড়িয়া সাহিত্য আকাদেমি তাকে আতিবাদী জগন্নাথ দাস পুরস্কার প্রদান করেছেন।[১] তিনি আদিবাদী জগন্নাথ দাস পুরস্কার প্রাপ্ত প্রথম ও একমাত্র উড়িয়া মহিলা লেখিকা। [২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Mahapatra, Animesh (মে–জুন ২০১৩)। "Chronicle of a Death Untold: Basanta Kumari Patnaik"। Indian Literature। New Delhi: Sahitya Akademi। 57 (3): 12–16। জেস্টোর 43856319  
  2. Henitiuk, Valerie; Kar, Supriya, সম্পাদকগণ (২০১৬)। Spark of Light: Short Stories by Women Writers of Odisha। Athabasca University Press। পৃষ্ঠা 235আইএসবিএন 978-1-77199-167-4 
  3. Ganeswar Mishra (১৯৮১)। Voices against the stone: a brief survey of Oriya fiction। Agradut। পৃষ্ঠা 32। 
  4. "BASANTA KUMARI PATNAIK The Power Of Words"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. Nagendra Kr Singh (২০০১)। Encyclopaedia of women biography: India, Pakistan, Bangladesh। A.P.H. Pub. Corp.। পৃষ্ঠা 44। আইএসবিএন 978-81-7648-264-6 
  6. Amaresh Datta; Mohan Lal (২০০৭)। Encyclopaedia of Indian Literature: Vol 4. Navaratri-Sarvasena (4th সংস্করণ)। New Delhi: Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 3165। আইএসবিএন 9780836422832 
  7. Mohanty, Sachidanandan (২০০৪)। Early Women's Writings in Orissa, 1898-1950: A Lost Tradition। SAGE Publications। পৃষ্ঠা 221। আইএসবিএন 978-81-321-0195-6 
  8. K. M. George (১৯৯২)। Modern Indian Literature, an Anthology: Surveys and poems। New Delhi: Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 317। আইএসবিএন 978-81-7201-324-0 
  9. Das, Kunja Behari (অক্টোবর–ডিসেম্বর ১৯৬৭)। "Oriya: Only Poetry's Dignified Position"। Indian Literature। New Delhi: Sahitya Akademi। 10 (4): 58। জেস্টোর 23329094  

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা