বর্শা নিক্ষেপ ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের একটি ক্রীড়াবিভাগ যাতে হাল্কা নকশার তৈরি বর্শা ব্যবহৃত হয়। এ ক্রীড়াবিভাগের প্রধান উপকরণ হিসেবে রয়েছে বর্শা। এটি ২.৫ মি (৮ ফু ২ ইঞ্চি) দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে। যিনি বা যে ক্রীড়াবিদ এ বর্শা ব্যবহার করে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন, তিনি বর্শানিক্ষেপকারক নামে পরিচিতি পান। বর্শা নিক্ষেপকারী দৌঁড়ের সাহায্যে গতিপ্রাপ্ত হয়ে পূর্ব-নির্ধারিত ও নির্দিষ্ট স্থানে বর্শাটিকে নিক্ষেপ করে থাকেন। পুরুষদের ডেকাথলন ও মহিলাদের হেপ্টাথলন বিভাগে বর্শা নিক্ষেপ ক্রীড়াবিষয় হিসেবে রয়েছে।

A women's and a men's javelin

ইতিহাস

সম্পাদনা
 

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ খেকেই বর্শা এক ধরনের অস্ত্র ছিল। কিন্তু প্রাচীন গ্রীকরা এটিকে ক্রীড়ায় ব্যবহার করতো যা অদ্যাবধি ক্রীড়াক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্শা সর্বদাই হাতে নিক্ষেপ করা হয়ে থাকে। বর্শা নিক্ষেপ এক ধরনের ক্রীড়া বিষয় যা অলিম্পিক ক্রীড়ার সূচনালগ্ন থেকে অদ্যাবধি টিকে রয়েছে।

দীর্ঘ লম্ফ, চাকতি নিক্ষেপ, স্ট্যাডিয়ন ফুট রেস এবং শৌখিন কুস্তি খেলার পাশাপাশি এটিও প্রাচীন অলিম্পিক ক্রীড়ার পেন্টাথলন বা পঞ্চ-ক্রীড়ার অন্যতম বিষয় ছিল।

একজন ক্রীড়াবিদ বর্শাকে একহাতে ধরে ক্ষীপ্রগতিতে দৌঁড়ুতে থাকেন ও যথাসম্ভব বর্শাটিকে নিক্ষেপ করে সুদুরে প্রেরণে সচেষ্ট হন। অলিম্পিক ক্রীড়ায় এ ক্রীড়াটি প্রাতিষ্ঠানিক ক্রীড়া হিসেবে বিবেচিত।[] অন্যান্য নিক্ষেপক ক্রীড়াবিষয়ের ন্যায় বর্শা নিক্ষেপও প্রতিযোগী কর্তৃক সর্বোচ্চ গতিতে দৌঁড়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে অতিক্রম করতে সক্ষম। এরফলে বর্শাকে ১১৩ কিমি/ঘ গতিবেগে নিক্ষেপ করলে এটি সর্বোচ্চ ১০৪.৮০ মিটার দূরত্বে যেতে সক্ষম।[]

ব্যবহার

সম্পাদনা

পুরুষদের আধুনিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বর্শা দণ্ডে কাঠ কিংবা ধাতব পদার্থের ব্যবহার করা হয় যাতে একটি ধারালো ও তীক্ষ্ণ অংশ রয়েছে। আইএএএফ কর্তৃক বর্শার জন্য আরোপিত শর্তাদির কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে বর্শার দৈর্ঘ্য ২.৬ এবং ২.৭ মি (৮ ফু ৬ ইঞ্চি এবং ৮ ফু ১০ ইঞ্চি) এবং ওজন ৮০০ গ্রাম (২৮ আউন্স) এর মধ্যে হতে হবে।

মহিলাদের ক্ষেত্রে বর্শা কিছুটা ছোট ও হাল্কা ধরনের হয়। এটি দৈর্ঘ্যে ২.২ এবং ২.৩ মি (৭ ফু ৩ ইঞ্চি এবং ৭ ফু ৭ ইঞ্চি) এবং ওজনে ৬০০ গ্রাম (২১ আউন্স) এর মধ্যে হতে হবে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. The Ancient Olympic Games by Judith Swaddling
  2. "databaseOlympics.com"। ২২ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা