বন বিড়াল

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

বন বিড়াল[৩] বা জংলীবিড়াল (Felis chaus), আরোও পরিচিত খাগড়া বিড়ালজলাভূমির বিড়াল, মাঝারি আকারের একটি বিড়াল, যা এশিয়ার দক্ষিণ চীন, মধ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে নীল নদ উপত্যকায় দেখতে পাওয়া যায়।[২] বন বিড়াল CITES Appendix II এর তালিকাভুক্ত।

বনবিড়াল[১]
Felis-chaus-Sofia-Zoo-20120125-cropped.jpg
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন্যপায়ী
বর্গ: শ্বাপদ
পরিবার: ফেলিডি
গণ: Felis
প্রজাতি: F. chaus
দ্বিপদী নাম
Felis chaus
Schreber, 1777
Jungle Cat area.png
জংলীবিড়ালের বিচরণ এলাকা

স্থানীয় নামসম্পাদনা

একে জংলিবিড়াল, খাগড়াবিড়াল প্রভৃতি নামেও অভিহিত করা হয়।

খাবারসম্পাদনা

বনবিড়ালের খাবারের বড় অংশই হচ্ছে ঘাসফড়িং জাতীয় বড় পোকা এবং ইঁদুর। যেগুলো আমাদের ক্ষেতখামারে থাকে এবং ফসলের ক্ষতিসাধন করে। তাই বনবিড়াল গৃহপালিত মুরগি-কবুতর ধরে নিয়ে খেয়ে যতটুকু ক্ষতি করে তার থেকে অনেক বেশি উপকার সাধন করে থাকে পার্শ্ববর্তী কৃষিজমিগুলোর। এরা নিশাচর। গাছে উপর উঠে রাতের আধারে এরা ছোট পাখি বা পাখির ডিম, ছানা প্রভৃতি শিকার করে খায়। এক লাফে কয়েক ফুট পৌঁছে যেতে পারে। দিনের বেলায় এরা লতাপাতাঘেরা বড় গাছের কোটরে ঘুমায় বা তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। প্রজনন মৌসুমে গাছের কোটরে দু’ থেকে চারটি ছানা প্রসব করে। [৪]

সংরক্ষণসম্পাদনা

বাংলাদেশের ১৯৭৪[৫] ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৩]

জংলীবিড়াল শিকার বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইসরায়েল, মায়ানমার, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, এবং তুরস্কে নিষিদ্ধ, কিন্তু ভুটান, জর্জিয়া, লাওস, লেবানন, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কাভিয়েতনামের মধ্যে সুরক্ষিত এলাকার বাইরে আইনি সুরক্ষা নেই।[৬]

বিপন্নপ্রায়সম্পাদনা

গ্রামগঞ্জ থেকেও প্রাকৃতিক জঙ্গল, জলাভূমিগুলো ধ্বংস হবার কারণেও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে ওখানে বসবাসরত ছোট-মাঝারি আকারের প্রাণীরা। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) বনবিড়ালকে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্থ’ বলে তালিকাভুক্ত করেছে। [৪]

চিত্রসমূহসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. ওজনক্র্যাফট, ডাব্লু.সি. (২০০৫)। "Order Carnivora"উইলসন, ডি.ই.; রিডার, ডি.এম। Mammal Species of the World: A Taxonomic and Geographic Reference (৩য় সংস্করণ)। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৫৩২–৬২৮। আইএসবিএন 978-0-8018-8221-0ওসিএলসি 62265494 
  2. Duckworth, J.W., Steinmetz, R., Sanderson, J., Mukherjee, S. (২০০৮)। "Felis chaus"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2014.3প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন 
  3. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৫
  4. "কৃষির উপকারী 'বন বিড়াল'"banglanews24.com। ২০১৬-১১-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১৮ 
  5. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: স্তন্যপায়ী, খণ্ড: ২৭ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১১৩-১১৪।
  6. Nowell, K. and Jackson, P. (1996). Jungle Cat Felis chaus. in: Wild Cats. Status Survey and Conservation Action Plan. IUCN/SSC Cat Specialist Group, Gland, Switzerland and Cambridge, UK.

বহিঃসংযোগসম্পাদনা