বনু খাযরাজ
বনু খাযরাজ (আরবি: بنو الخزرج) মুহাম্মদ (সা.)-এর যুগের একটি আরব গোত্র।[১][২] তারা তাদের উদারতা ও আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত।
ইতিহাস
সম্পাদনাপ্রাকইতিহাস
সম্পাদনাআবু মুহাম্মদ আল হাসান ইবনে আহমাদ আল হামদানির মতে বনু খাযরাজ ২য় শতব্দীতে ইসলাম পূর্ব ইয়েমেন থেকে বনু আউসের সাথে ইয়াসরিবে বসতি স্থাপন করেছিল। তবে সময় পরিক্রমায় দুই গোত্র পরস্পর শত্রু হয়ে উঠে।
ইহুদি ভাষ্যকারদের মতে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] হিজরতের কয়েকবছর আগে দুই গোত্র বুতাসের যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল।[২] এসময় মদিনায় বনু কায়নুকা, বনু নাদির ও বনু কুরাইজা নামে তিনটি ইহুদি গোত্র ছিল। যুদ্ধের সময় নাদির ও কুরাইজা বনু আউসের পক্ষে এবং কায়নুকা বনু খাযরাজের পক্ষে যোগ দেয়। দীর্ঘ যুদ্ধের পর দ্বিতীয় পক্ষ পরাজিত হয়।[২]
সম্পাদনাজেরুজালেমের চার্চ অব দ্য হলি সেপালকারের তত্ত্বাবধায়ক নুসাইবা গোত্র বনু খাযরাজ বংশোদ্ভূত। ৭ম শতাব্দীতে মুসলিম বিজয়ের সময় তারা জেরুজালেম আসে।
হিজরত
সম্পাদনামুহাম্মাদ মদিনায় হিজরত করার পর তিনি বনু আউস ও বনু খাযরাজের বিরোধ মীমাংসা করেন। দুই গোত্র মুসলিম সমাজের অংশ হয়। এরপর থেকে তাদের আনসার বলে অবিহিত করা হতে থাকে।
তবে বনু আউসের এক প্রধান ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে উবাই মুহাম্মদ-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল। তাকে মুনাফিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
সামরিক অভিযান
সম্পাদনা৬২৪ সালে মুহাম্মাদ কাব বিন আশরাফের হত্যার নির্দেশ দেন। কাব বিন আশরাফ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। বদরের পর কাব মক্কা গিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেখানকার বিরোধীপক্ষকে উস্কানি প্রদান করে। এছাড়াও কাব তার কবিতায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিতে থাকে। এসব কারণে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিল। বনু আউস গোত্র তার দন্ড কার্যকর করে।[৩][৪]
বনু আউস কর্তৃক কাব বিন আশরাফের হত্যার পর বনু খাযরাজ সালাম ইবনে আবুল হুকায়ককে (আবু রাফে বলে পরিচিত) হত্যার অনুমতি প্রার্থনা করে। আবু রাফেও একইরকম কর্মকাণ্ড চালাত। মুসলিম বিরোধী পক্ষকে আবু রাফে অর্থ ও রসদ দিয়ে সাহায্য করেছিল। তাই তাকেও হত্যার নির্দেশ দেয়া হয় এবং বনু খাযরাজ কর্তৃক এই দন্ড কার্যকর করা হয়।
গ্রানাডার নাসরি রাজবংশ
সম্পাদনা১২২৮ সালে ইবনে আলাহমার গ্রানাডার মুসলিমদের একত্রিত করে আলমামলিকা আলনাসরিয়া গঠন করেন। তারা মদিনার আনসারদের বংশধর বলে দাবি করতেন।
ব্যক্তিবর্গ
সম্পাদনা- সাদ ইবনে উবাদা - গোত্রনেতা ও প্রধান গোত্রপতি বা শায়েখ
- মুয়াজ ইবনে জাবাল
- আবদুল্লাহ ইবনে উবাই
- হাসসান ইবনে সাবিত
- উবাই ইবনে কাব
- আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা
- আসাদ বিন জুরারাহ বিন আদস
- হাবাব ইবনে মুনজির
- আনাস ইবনে মালিক
- আল বারা ইবনে মালিক
- সাদ বিন আর রাবি বিন আমর
- রাফি বিন মালিক বিন আল আজলান
- আল বারা বিন মারুর বিন শাখার
- আবদুল্লাহ বিন আমর বিন হারাম
- উবাদা বিন আস সাবিত বিন কায়েস
- আল মুনজির বিন আমর বিন খুনাইস
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ jewishencyclopedia.com [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ jewishencyclopedia.com [২][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Uri Rubin, The Assassination of Kaʿb b. al-Ashraf, Oriens, Vol. 32. (1990), pp. 65-71.
- ↑ Mubarakpuri, The Sealed Nectar, pp.151-153. (online)