বনু আবদুল কায়েস ( আরবি: بنو عبد القيس ) উত্তর আরব গোত্রের রবী'আ শাখা থেকে আগত একটি প্রাচীন আরব গোত্র। প্রাক ইসলামী সময়ে, আবদ আল কায়স প্রায়ই ইরান আক্রমণ করতো । [১] তখন তিনি বয়সে পরিণত হয়েছেন, শাপুর দ্বিতীয় আব্দুল কায়সকে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রথম আদেশ দেন। [১] তিনি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে একটি সেনা অভিযানের নেতৃত্ব দেন এবং পূর্ব আরব ও সিরিয়ার বৃহত্তর অংশকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এবং পথে আব্দ আল-কায়েসের অধিকাংশ লোককে হত্যা করেছিলেন। [১] পরবর্তীকালে তার শাসনামলে, শাপুর ইরানের কারমান প্রদেশে অনেক আব্দ আল-কায়েসকে সরিয়ে নিয়ে যান। [১]

বনু আব্দুল কায়স
(আরবি: بنو عبد القيس)
Banu Rabi'ah, আদনানীয়
A family tree depicting the ancestry of the Banu Abdul Qays.
অবস্থানপূর্বাঞ্চলীয় আরব
এর বংশআব্দুল কায়স ইবন কুরায়্য ইবন আফসা
ধর্মখ্রিস্টান , পরে ইসলাম

ইরানের আরব বিজয় লাভের সময়, আবদ আল-কায়েসের বিপুল সংখ্যক সদস্য ইরানে স্থানান্তরিত হয় এবং দক্ষিণ ইরানে ব্যাপক অভিযান চালায়। [১] তাদের বড় অংশ বুশেহর প্রদেশের দালাকির কাছে তাভভাজে বসতি স্থাপন করে। [১] ৮ম শতকের প্রথম দিকে, ৪০০০ আব্দুল কায়স যোদ্ধা ইরানের খোরসান শহরে আক্রমনের সময় কোটায়বের সঙ্গে ছিলেন। [১]

বাহরাইন দ্বীপ সহ পূর্ব আরব উপকূলের অন্যতম অধিবাসী ছিলো আব্দ আল-কায়েস। [১] বাহরাইনের আব্দ আল-কায়সের বংশধরদের মধ্যে অনেক ফাঁক ও বৈপরীত্য ছিলো। বাহরনা সম্ভবত জাতিগতভাবে মিশ্র জনসংখ্যার বংশধর। [২] বাহরাইনী সমাজ ঐতিহ্যগতভাবে তিনটি বংশোদ্ভূত শ্রেণীতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে: "আনসাব" (স্পষ্ট বংশানুক্রম), "লা আন্সাব " (অস্পষ্ট বংশানুক্রম) এবং "বনি খুদীর" (বিদেশী)। [৩] এক লেখকের মতে, বাহারনা সম্ভবত "লা আনসাব" ছিল কারণ তাদের অস্পষ্ট বংশানুক্রম আছে। [৩]

ধর্ম সম্পাদনা

ইসলামের আগমনের পূর্বে আব্দুল কায়স বেশিরভাগ লোক খ্রিস্টান ছিলো।

গোত্রের অবশিষ্টাংশ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ʿABD-AL-QAYS Encyclopaedia Iranica.
  2. Brian John Ulrich (২০০৭)। Constructing Al-Azd: Tribal Identity and Society in the Early Islamic Centuries। পৃষ্ঠা 107। 
  3. "Iranians in Bahrain and the United Arab Emirates"Eric Andrew McCoy। পৃষ্ঠা 70–71।