বতসোয়ানায় ইসলাম

বতসোয়ানায় ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ধর্ম, যেখানে বেশিরভাগ লোক খ্রিস্টান ও আদিম বিশ্বাসকে অনুসরণ করে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপনকারী দক্ষিণ এশিয়া থেকে আসা মুসলিম অভিবাসীদের মাধ্যমে দেশটি ইসলাম এসেছিল। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বতসোয়ানায় প্রায় ৫০,০০০ মুসলমান আছে,[১] যা জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও কম। আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান আন্তঃ-ধর্মীয় উত্তেজনা সত্ত্বেও এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্ক শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ রয়েছে।

ইতিহাস সম্পাদনা

১৮৯০-এর দশকে ভারতীয় মুসলমানরা বতসোয়ানায় প্রথম ইসলামি জনগোষ্ঠী ছিল। ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ এই ভারতীয় মুসলমানদের শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ রেখেছিল। কিছু সময়ের মধ্যেই, মুসলমানরা শহর ও মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে একের পর এক শহরে ইসলামি কেন্দ্র স্থাপন করেছিল।[২]

১৯৫০ এর দশকের দিকে ফ্রান্সিসটাউনে মালাউই এর মুসলমানদের দেখা যাওয়া শুরু হয়। তারা মূলত খননের মতো কাজের সুযোগে এসেছিল।[২]

১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত খুব কম সংখ্যক লোক ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। গায়ানার শায়খ আলী মুস্তাফা ১৯৭০-এর দশক থেকে বতসোয়ানায় ধর্মান্তরিত করেছেন। সেসময় শহর ও কারাগারগুলিতে মিশনগুলো মনোনিবেশ করেছিল।[২]

১৯৮২ সালে নির্মিত মসজিদটি আধুনিকীকৃত হওয়ায় আজ গ্যাবোরোনকে বতসোয়ানার ইসলামের কেন্দ্রস্থল হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।[২]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Botswana. International Religious Freedom Report 2007"U.S. Department of State। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৯ 
  2. Tayob, Abdulkader (১৯৯৯)। "Southern Africa"। Westerlund, David; Svanberg, Ingvar। Islam Outside the Arab World। London: Routledge। পৃষ্ঠা 113। আইএসবিএন 0-7007-1124-4