বকুল ফুলের মালা

২০০৬ সালের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র

বকুল ফুলের মালা এটি ২০০৬ এর একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র[] ছবিটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশী বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।[] ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ব্যানারে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের প্রথম রানারআপ তানজিকা আমিন।[] পরিচালক দরিদ্র শিশুশিক্ষার উপর প্রধান্য দিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছেন গ্রাম বাংলার পটভূমিতে। শিশুশিক্ষা মূলক এই ছবিতে অভিনয় করেছেন রিয়াজ, তানজিকা, ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, প্রবীর মিত্র ও সাইমুম জাহান। টিভি অভিনেত্রী তানজিকা এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন।[]

বকুল ফুলের মালা
চলচ্চিত্রের ভিসিডি কভার
পরিচালকদেলোয়ার জাহান ঝন্টু
প্রযোজকফরিদুর রেজা সাগর
ইবনে হাসান খান (ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)
শ্রেষ্ঠাংশেরিয়াজ
তানজিকা
ওয়াসিম
আনোয়ার হোসেন
প্রবীর মিত্র
সাইমুম জাহান
সুরকারআনোয়ার জাহান নান্টু
চিত্রগ্রাহকহান্নান সেরনিয়াবাদ
সম্পাদকদিলদার হাসান
পরিবেশকইমপ্রেস টেলিফিল্ম
মুক্তি২০০৬
স্থিতিকাল১৩৭ মিনিট
দেশ বাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ

সম্পাদনা

গ্রামের প্রভাবশালী মাতব্বর (ওয়াসিম)। নিরীহ কৃষক-মজুরদের জায়গা-জমির দলিল জমা রেখে তাদের ঋণ দেন। একসময় জমির মালিক দলিল ফেরত নিতে আসলে মাতব্বর বলেন সুদে-আসলে টাকার পরিমাণ যা হয়েছে সব দিতে হবে অন্যথায় জমির মালিক আমি। পাশের গ্রামের দারিদ্র পরিবারের স্কুল পড়ুয়া ছোট্ট ছেলে বকুল ও মাতব্বরের একমাত্র মেয়ে মালা একই স্কুলে পড়ালেখা করে। মতব্বর সেই স্কুলের সভাপতি। সহপাঠি হিসেবে তাদের মধ্যে দারুন বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। মাতব্বর তা টের পেয়ে নিজের ক্ষমতাবলে বকুলের বই খাতা ছিড়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক (প্রবির মিত্র) প্রতিবাদ করলেও মাতব্বর-স্কুল সভাপতির ক্ষমতার সাথে পেরে উঠে না। বকুলের মা এর প্রতিবাদ করতে গেলে মাতব্বর মায়ের মাথায় আঘাত করে। আহত মাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে মা। মৃত্যুর আগে মা বকুলকে বলে যান এই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে এবং অন্য কোথাও থেকে পড়ালেখা করে গ্রামের সুযোগ সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র ছেলে-মেয়েদেরকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে।

বকুল, মালা ও স্কুল শিক্ষকসহ গ্রামের লোকজনের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। অন্যত্রে এবং সেখানে একটি এতিমখানায় থেকে বি.এ। পাস করে একযুগেরও বেশি সময় পর আবার গ্রামে আসে বকুল (রিয়াজ)। গ্রামে এসে ছোট বেলার মালার (তানজিকা) সাথে যোগাযোগ হয় এবং ওরা একে-অন্যের হাত ধরে গ্রামের খেঁটে খাওয়া মানুষগুলোকে বুঝিয়ে তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে দেয়। একদিকে বকুল-মালার এই শিশুশিক্ষার সংগ্রাম অন্যদিকে মাতব্বরের লাঠিয়ালদের ক্ষমতার মাঝখানে পড়ে ওদের অবুঝ ভালবাসা। নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে কি মালার ভালবাসা বকুকে বিসর্জন দিতে হবে...!।

শ্রেষ্ঠাংশে

সম্পাদনা

সম্মাননা

সম্পাদনা

সঙ্গীত

সম্পাদনা
বকুল ফুলের মালা
আনোয়ার জাহান নান্টু
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ২০০৬
ঘরানাচলচ্চিত্রের গান
প্রযোজকজি-সিরিজ

বকুল ফুলের মালা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আনোয়ার জাহান নান্টু।

গানের তালিকা

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বিনোদন (২০১০)। "'সবাই তো ভালোবাসা চায়' দেলোয়ার জাহান ঝন্টু"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০১ আগস্ট ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. ফারাহ্ দিবা (২২ জুলাই ২০১০)। "পদ্মাপারের মেয়ে..."দৈনিক কালের কণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ০১ আগস্ট ২০১২  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা