ফ্রেড কার্নো
ফ্রেড কার্নো (ইংরেজি: Fred Karno) নামে পরিচিত ফ্রেডেরিক জন ওয়েস্টকট (ইংরেজি: Frederick John Westcott; ২৬শে মার্চ, ১৮৬৬ - ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪১) ছিলেন একজন ব্রিটিশ গীতিমঞ্চ পরিচালক। স্ল্যাপস্টিক কৌতুকাভিনেতা হিসেবে তিনি কাস্টার্ড-পাই-ইন-দ্য-ফেস গ্যাগ ধারাটিকে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রাখেন।[১] ১৮৯০ এর দশকে মঞ্চে সেন্সরশিপের কারণে কার্নো সংলাপহীন এক ধরনের স্কেচ কৌতুকাভিনয়ের উদ্ভব ঘটান।
ফ্রেড কার্নো | |
---|---|
Fred Karno | |
জন্ম | ফ্রেডেরিক জন ওয়েস্টকট ২৬ মার্চ ১৮৬৬ |
মৃত্যু | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ লিলিপুট, ডোরসেট, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭৫)
পেশা | গীতিমঞ্চের পরিচালক |
পরিচিতির কারণ | স্ল্যাপস্টিক, তার কোম্পানিতে চার্লি চ্যাপলিন ও স্ট্যান লরেলের মত কৌতুকাভিনেতাগণ অভিনয় করেছেন |
গীতিমঞ্চে তার অধীনে কাজ করা উল্লেখযোগ্য কৌতুকাভিনেতাগণ হলেন চার্লি চ্যাপলিন ও তার শিক্ষানবিশ আর্থার জেফারসন, যিনি পরবর্তীতে স্ট্যান লরেল নাম গ্রহণ করেন। তারা "ফ্রেড কার্নোর সৈন্য" বলে পরিচিত ছিলেন, এই বাক্যাংশটি এখনো যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন দল বা সংগঠনকে বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়। ব্রিটিশ সেনারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই বাক্যাংশটি ব্যঙ্গ বা সুর হিসেবে "দ্য চার্চস ওয়ান ফাউন্ডেশন" নামে একটি যুদ্ধের গানে ব্যবহার করে।[২]
জীবনী
সম্পাদনাফ্রেডেরিক জন ওয়েস্টকট ১৮৬৬ সালের ২৬শে মার্চ ডেভনের এক্সেটারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওয়াটারবির স্ট্রিটের একটি কর্মশালায় কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। তিনি এডিথকে বিয়ে করেন। ১৮৯৬ সালে তাদের পুত্র ফ্রেড কার্নো জুনিয়র জন্মগ্রহণ করেন।[৩] চলচ্চিত্রের বিকাশের ফলে গীতিমঞ্চের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে এবং এর ফলে ১৯২৫ সালে তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হন।
১৯২৭ সালের ২৪শে মে তার স্ত্রী এডিথ মারা যান। ১৯০৪ সাল থেকে তারা আলাদা ছিলেন। তার মৃত্যুর তিন সপ্তাহ পরে, কার্নো দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী মারি মুর। ১৯২৯ সালে কার্নো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যান, সেখানে হাল রোচ স্টুডিওজ তাকে লেখক ও পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন এবং তিনি তার পূর্বের অধীনস্থ অভিনেতা স্ট্যান লরেলের সাথে পুনর্মিলিত হন। এই স্টুডিওজে তার কাজ স্বল্পকাল স্থায়ী এবং অসফল ছিল। তিনি ১৯৩০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রচনা ও প্রযোজনা করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি মঞ্চে ফিরে আসেন।[৪]
কার্নোর শেষ দিনগুলো কাটে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ডোরসেটের লিলিপুট গ্রামে,[৫] তিনি ডায়বেটিকে আক্রান্ত হয়ে ১৯৪১ সালে ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৬]
উত্তরাধিকার
সম্পাদনামিডলসেক্সের হ্যাম্পটনে টেমস নদীতে অবস্থিত কার্নোর হাউজবোট আস্টোরিয়া বর্তমানে ডেভিড গিলমোরের পিঙ্ক ফ্লয়েড তাদের গানের রেকর্ডিংয়ের জন্য ব্যবহার করে।[৭]
২০১২ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর মিউজিক হল গিল্ড অব গ্রেট ব্রিটেন অ্যান্ড আমেরিকা দক্ষিণ লন্ডনের ক্যাম্বারওয়েলের ৩৮ সাউথওয়েল রোডে কার্নোকে উৎসর্গ করে একটি স্মারক ব্লু প্লাকের উদ্বোধন করে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Leslie Halliwell, John Walker (2001). "Halliwell's Who's who in the Movies". p. 240. HarperCollinsEntertainment, 2001
- ↑ "'Trench Songs', The First World War Poetry Digital Archive" (ইংরেজি ভাষায়)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Fred Karno, Jr."। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
Fred Karno, Jr., British comedian, died at his home today in Marg'ate, Kent. He was 69 years old. Mr. Karno, as a young man, appeared in "Humming Birds," one;...
- ↑ Book-Stan and Ollie: The Roots of Comedy (Faber and Faber Ltd.) Author-Simon Louvish. Publishing Date-2001.
- ↑ David Robinson (২০০৪)। "Filming City Lights" (ইংরেজি ভাষায়)। CharlieChaplin.com। ২২ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "Fred Karno"। United Press in the New York Times। ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪১। পৃষ্ঠা 23।
Westcott, an old-time comedian and veteran of the English vaudeville circuit known to show business as Fred Karno, died yesterday১৯৪১ সালে ৭৫ বছর বয়সে
- ↑ Winn, p. 141
- ↑ "Fred Karno Commemorated" (ইংরেজি ভাষায়)। The Music Hall Guild of Great Britain and America। ১৮ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Midwinter, Eric (জানুয়ারি ২০১১) [First published 2004]। "Karno, Fred (1866–1941)"। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৯।(Subscription required.)
- "Death of Fred Karno"। The Times। ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪১। (Available through The Times archive ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে. Subscription required.)
- Farnes, Derek (১ জুলাই ১৯৫০)। "Fred Karno: Immortal Comic Who Recruited Laughter"। The Age। পৃষ্ঠা 2। ২৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০০৯।
- Winn, Christopher (২০১০)। I Never Knew That About the River Thames। London: Ebury Press। আইএসবিএন 978-0-09-193357-9।