ফ্রেডরিক জেমস হালিডে

স্যার ফ্রেডরিক জেমস হালিডে কেজিবি (২৫ ডিসেম্বর ১৮০৬ - ২২ অক্টোবর ১৯০১) ছিলেন একজন ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তা এবং বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর[১] তিনি ১৮৫৪ সাল থেকে ১৮৫৯ সাল পর্যন্ত বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]

স্যার ফ্রেডরিক জেমস হালিডে

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

ফ্রেডরিক জেমস হালিডে ২৫ ডিসেম্বর ১৮০৬ সালে সুরের এওয়েলে জন্মগ্রহণ করেন। অক্সফোর্ড ডিকসনারি অফ ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি গ্রন্থ অনুসারে তিনি রাগবি স্কুলে লেখাপড়া করেন। যাইহোক ১৯০১ সালের একটি প্রকাশনা অনুসারে, যদিও তিনি ১৮১৪ সালে রাগবি স্কুলে গিয়েছিলেন[৩] কিন্তু তিনি ১৮১৫ সালে লন্ডনের সেন্ট পল’স স্কুলে ভর্তি হন ও সেখানে তিনি সাত বছর কাটান। সেক্ষেত্রে তাকে সেন্ট পলের ছাত্র হিসেবে বলা যেতে পারে।[৪] এছাড়া সেন্ট পলের ইতিহাসবিদ মাইকেল ম্যাকডুনেল বলেন জন স্লিথ নামে একজন প্রধান শিক্ষকের জন্য তিনি রাগবি স্কুলে ভর্তি হন এবং স্লিথ বদলি হয়ে সেন্ট পলে চলে আসলে হালিডেও সেন্ট পলে চলে আসেন।[৫] ১৮২৪ সালে বাংলার সিভিল সার্ভেন হিসেবে যোগদানের পূর্বে তিনি হ্যালিবেরির ইস্ট ইন্ডিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেন।[৩] পরবর্তীতে তিনি কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগ দেন, সেখানে তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছাত্র ছিলেন।[৬] সরকারি কর্মকতা হিসেবে তার প্রথম অফিস ছিল সুপ্রীম কোর্টের সহকারী হিসেবে যোগদান ১৮২৫ সালে।[৩]

১৮৩৬ সালে তিনি বোর্ড অফ রেভিনিউর সচিব হিসেবে মনোনীত হন ও ১৮৪৯ সালে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে যোগদান করেন। জুলাই ১৮৫২ থেকে নভেম্বর ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইংল্যান্ডে ছুটি কাটান যদিও এই সময়ে তাকে মাঝে মাঝেই সংসদে তথ্য সরবরাহের জন্য ভারতে আসতে হত।[৩]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

১৮৬০ সালে তিনি নাইট কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য বাথ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ভারতের কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে ১৮৬৮ থেকে ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত কাজ করেন।[৩]

হালিডের সঙ্গীতের প্রতি মারাত্বক ঝোক ছিলো। তিনি এলিজা বারবারা ম্যাকগ্রেগর নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের মেয়েকে বিয়ে করেন ২৫ ডিসেম্বর ১৮৩৪ সালে। তার স্ত্রী ১৮৮৬ সালে তার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেন। তাদের কয়েকটি সন্তান রয়েছে[৩] যাদের মধ্যে জর্জ থমাস হালিডে পরবর্তীতে বেঙ্গল ক্যাভলরির লেফট্যানান্ট-জেনারেল হন।[৩][৭]

তিনি ৯৫ বছর বয়সে ২২ অক্টোবর ১৯০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন ও তাকে লন্ডনের ব্রোমটন সমাধিতে সমাধিস্থ করা হয়।[৩]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সিরাজুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক। লেফটেন্যান্ট গভর্নরঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. সিরাজুল ইসলাম (জানুয়ারি ২০০৩)। সিরাজুল ইসলাম, সম্পাদক। হ্যালিডে, স্যার ফ্রেডারিক জেমসঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  3. "Halliday, Sir Frederick James (1806–1901), administrator in India"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/33660  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
  4. Minchin, James George Cotton (১৯০১)। Our Public Schools, Their Influence on English History। London: S. Sonnenschein & Co। পৃষ্ঠা 271–272। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-১৪ 
  5. McDonnell, Michael Francis Joseph (১৯০৯)। A History of St. Paul's School। London: Chapman & Hall। পৃষ্ঠা 379, 395। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-১৪ 
  6. Haldar, Gopal. (১৯৯৮) [1982]। "I. C. Vidyasagar: Realist and Humanist"। Bishop, Donald H.। Thinkers Of The Indian Renaissance (Second সংস্করণ)। New Delhi: New Age International। পৃষ্ঠা 81। আইএসবিএন 978-81-224-1122-5। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-১৪ 
  7. Rao, C. Hayavadana (১৯১৫)। Indian Biographical Dictionary। Madras: Pillar & Co। পৃষ্ঠা 174 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

সরকারি দফতর
পূর্বসূরী
অফিস স্থাপন
বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর
১৮৫৪–১৮৫৯
উত্তরসূরী
স্যার জন পিটার গ্রান্ট

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা