ফেন ক্রেসওয়েল

ক্রিকেটার

জর্জ ফেনউইক ক্রেসওয়েল (ইংরেজি: Fen Cresswell; জন্ম: ২২ মার্চ, ১৯১৫ - মৃত্যু: ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬) হোয়াঙ্গানুই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪০-এর দশকের শেষদিক থেকে ১৯৫০-এর সূচনাকাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ফেন ক্রেসওয়েল
ফেন ক্রেসওয়েল
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯১৫-০৩-২২)২২ মার্চ ১৯১৫
হোয়াঙ্গানুই, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু১০ জানুয়ারি ১৯৬৬(1966-01-10) (বয়স ৫০)
ব্ল্যানহেইম, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি স্লো-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কআর্থার ক্রেসওয়েল (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫০)
১৩ আগস্ট ১৯৪৯ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৪ মার্চ ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৩
রানের সংখ্যা ১৪ ৮৯
ব্যাটিং গড় ৭.০০ ৫.২৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১২* ১২*
বল করেছে ৬৫০ ৮১০৭
উইকেট ১৩ ১২৪
বোলিং গড় ২২.৪৬ ২২.৫৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/১৬৮ ৮/১০০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/- ১১/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ মার্চ ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন ও সেন্ট্রাল প্রভিন্স দলের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি স্লো-মিডিয়াম বোলার ছিলেন। এছাড়াও বামহাতে ব্যাটিংয়ে সবিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন ফেন ক্রেসওয়েল

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ওয়াঙ্গানুইয়ে জন্মগ্রহণকারী ফেন ক্রেসওয়েল, আর্থার ক্রেসওয়েলের বড় ভাই। মার্লবোরা বয়েজ কলেজে অধ্যয়ন করেন। ঐ কলেজের প্রথম একাদশে খেলেছেন তিনি।[]

নিখুঁত স্লো-মিডিয়াম বোলিং করতেন তিনি। বেশ দেরীতে ৩৩ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। মাত্র একটি খেলায় অংশ নেয়ার পরই ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে যাবার জন্য দলের সদস্য মনোনীত হন। ঐ সফরে ১৯ খেলায় অংশ নিয়ে ২৬.০৯ গড়ে ৬২ উইকেট তুলে নেন। তবে সফরের শেষদিকে চূড়ান্ত সফলতা আসে তার। ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ৫/৩০ ও গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৬/২১ লাভ করেন ক্রেসওয়েল।

১৯৪৯-৫০ মৌসুমে ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলেন। নিউজিল্যান্ড একাদশের সদস্যরূপে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ৮/১০০ লাভ করেন। পরবর্তীতে ১১ নম্বরে ওয়াল্টার হ্যাডলি’র সাথে নয় রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ইনিংস পরাজয় রুখে দেন।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ড সফরে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে খেলার সুযোগ পান ও ওভাল টেস্টের মাধ্যমে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। জ্যাক কাউয়ি’র সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেমে ইংল্যান্ডের একমাত্র ও প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেট নেন ১৬৮ রান খরচায়।[][][][] প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় বোলার হিসেবে তিনি এ সম্মাননায় অভিষিক্ত হন। এছাড়াও, প্রথম নিউজিল্যান্ডীয় বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট দখল করেছিলেন। পরবর্তীতে অ্যালেক্স মইরকলিন ডি গ্র্যান্ডহোম অভিষেক টেস্টে ছয় উইকেট পেয়েছিলেন।[] এছাড়াও, নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ও অপরাজিত ১২* তোলেন যা তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে অংশ নেন। ১৭.৭১ গড়ে ৭ উইকেট পান তিনি।

পিঠের আঘাতের কারণে পরবর্তী চার মৌসুমে তিনি মাত্র তিনটি খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন।[] ফলশ্রুতিতে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিতে বাধ্য হন।

১৯৬৬ সালে তাকে ব্লেনহেইম শহরে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। একটি আগ্নেয়াস্ত্র তার পিছনে তাক করানো ছিল।[] তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. R.T. Brittenden, New Zealand Cricketers, A.H. & A.W. Reed, Wellington, 1961, p. 54.
  2. Wisden 1951, pp. 833-34.
  3. "4th Test: England v New Zealand at The Oval, Aug 13-16, 1949"ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 
  4. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / By year of match start"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. "4th Test: England v New Zealand at The Oval, Aug 13–16, 1949"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  6. "Statistics / Statsguru / Test matches / Bowling records / By year of match start"। ESPNcricinfo। ১০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  7. "Bowling records: Test matches (New Zealand)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬ 
  8. Brittenden, p. 55.
  9. "Fen Cresswell"ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 
  10. "Mental health help there for NZ cricketers"stuff.co.nz (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা