ফেনী সদর উপজেলা
ফেনী সদর উপজেলা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
ফেনী সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ফেনী সদর উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°০′৫২″ উত্তর ৯১°২৩′৩৯″ পূর্ব / ২৩.০১৪৪৪° উত্তর ৯১.৩৯৪১৭° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°০′৫২″ উত্তর ৯১°২৩′৩৯″ পূর্ব / ২৩.০১৪৪৪° উত্তর ৯১.৩৯৪১৭° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | ফেনী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২২৬.১৯ বর্গকিমি (৮৭.৩৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৫,১২,৬৪৬ |
• জনঘনত্ব | ২,৩০০/বর্গকিমি (৫,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬২.৮০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৩৯০০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ৩০ ২৯ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
সদর উপজেলাটি ফেনী ট্রাংক রোড হতে ৩.০০ কিঃমিঃ পূর্বে অবস্থিত। এ উপজেলার উত্তর-পূর্বে ফুলগাজী উপজেলা ও ছাগলনাইয়া উপজেলা, পূর্বে মুহুরী নদী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা, দক্ষিণ-পূর্বে ফেনী নদী ও চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলা, দক্ষিণ-পশ্চিমে সোনাগাজী উপজেলা, পশ্চিমে দাগনভূঞা উপজেলা এবং উত্তরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত। বাংলাদেশের লাইফ-লাইন নামে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি মাত্র ১৯৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলার মধ্য দিয়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতিতে এই উপজেলার গুরত্ব অনেক।
ইতিহাসসম্পাদনা
ফেনী জেলার আদি নাম শামসের নগর, পরে ফেনী নদীর নাম অনুসারে নামকরণ করা হয় ফেনী।
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
ফেনী সদর উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম ফেনী সদর থানার আওতাধীন।
- ১নং শর্শদি
- ২নং পাঁচগাছিয়া
- ৩নং বরাহীপুর (বরাহীপুর ইউনিয়নের সম্পূর্ণ অংশ ফেনী পৌরসভার আওতাধীন হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যক্রম বর্তমানে বিলুপ্ত)
- ৪নং ধর্মপুর
- ৫নং কাজিরবাগ
- ৬নং কালিদহ
- ৭নং বালিগাঁও
- ৮নং ধলিয়া
- ৯নং লেমুয়া
- ১০নং ছনুয়া
- ১১নং মোটবী
- ১২নং ফাজিলপুর
- ১৩নং ফরহাদনগর
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১১ সালে আদমশুমারী অনুসারে ফেনী সদর উপজেলা মোট জনসংখ্যা ৪,০০,৮৮৮ জন; যার মধ্যে পুরুষ ২,০০,৪৮০ জন এবং মহিলা ২,০০,৪০৮ জন। প্রতি বর্গ কিলো মিটারে এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব ২,০৩২ জন।
শিক্ষাসম্পাদনা
- ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ
- ফেনী সরকারি কলেজ
- ফেনী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- ফেনী কম্পিউটার ইন্সটিটিউট
- মহিপাল সরকারি কলেজ
- সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ
- ফেনী মডেল কলেজ
- ফেনী ভিক্টোরিয়া কলেজ
- ফেনী সিটি কলেজ
- ধর্মপুর আমিন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়
- ধর্মপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা
- মধুপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- ধর্মপুর আমিন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সুলতানপুর আমিন উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ধর্মপুর আইডিয়াল একাডেমি
- মটুয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা
- ধর্মপুর মদিনাতুল উলুম নুরানি মাদরাসা
- ফেনী ভিক্টোরিয়া কলেজ
- কমপেক্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- ইন্সটিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি
- ফেনী ন্যাশনাল কলেজ
- ফেনী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট
- সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
- আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা
- ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসা
- জয়নাল হাজারি কলেজ
- সাউথ-ইস্ট ডিগ্রী কলেজ
- মহিপাল তৈয়বিয়া নূরিয়া দাখিল মাদরাসা
- গোবিন্দপুর ছিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদরাসা
- দৌলতপুর ছালামতিয়া আলিম মাদরাসা
- ,পাঁচগাছিয়া এ.জেড খান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়
- মোটবী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
- ফেনী প্রিপারেটরি স্কুল
- কবি নজরুল একাডেমি(জিকুর দখলে)
- মঠবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- পূর্বকাছাড় তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়
- দৌলতপুর হক বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয়
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
- ফেনী রাজাঝির দীঘি
- বিজয়সিংহ দীঘি
- শের শাহের আমলে নির্মিত গ্র্যান্ড ট্রাংক রোড
- ফেনী বিমানবন্দর
- তৃপ্তি এগ্রো পার্ক
অর্থনীতিসম্পাদনা
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলিসম্পাদনা
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে তিন দিক থেকে ফেনীর রয়েছে সীমান্ত।
১মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষনার সাথে সাথে সারা দেশের মতো ফেনীও ফুঁসে ওঠে । বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চভাষণের পরপরই ফেনীতে শুরু হয়ে যায় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণের কাজ। জননেতা খাজা আহমদ ও জননেতা মালেক সাহেবের নেতৃত্বে গঠিত হয় ২টি সংগ্রাম কমিটি । একটি আওয়ামী লীগ সংগ্রাম কমিটি ও অপরটি যুব ও ছাত্র সংগ্রাম কমিটি । ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে একটি সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয় যা পরবর্তীতে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির অন্তর্ভূক্ত হয়ে একত্রে কাজ করে । এরই ধারাবাহিকতায় জননেতা খাজা আহমদের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ সকাল থেকে ফেনীর পূর্বউকিল পাড়াসহ হাজী মনির উদ্দিন সওদাগর বাড়ির রফিকুল হকের বাসায় কর্মনির্ধারনী বৈঠকে ১১ জন সংগঠক পবিত্র কুরআন ছুঁয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গের শপথ নেন । মূলত ঐদিন থেকেই শুরু হয় ফেনীর মুক্তযুদ্ধের পথচলা। যুব ও ছাত্র সংগ্রাম কমিটিতে ছিলেন জয়নাল হাজারী, জয়নালয় আবদীন(ভিপি জয়নাল), আব্দুল মোতালেব (কমান্ডার), জহির উদ্দিন বাবর, হাফেজ আহমদ, নূর মোহম্মদ হাজারী, জাফর উল্ল্যাহ খান, খোন্দকার মোজাম্মেল, মোহাম্মদ মুছা, কাজী নূরুন নবী সহ আরো কয়েক জন।
২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনীঘুমন্ত বাংগালীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ বিকেলে জননেতা খাজা আহমদ ও জননেতা মালেক সাহেবের নেতৃতেব বৈঠকে বসেন সংগঠকবৃন্দসহ অপরাপর নেতৃবৃন্দ। বৈঠকের সিদ্ধান্তানুযায়ী ফেনী পিটিআই'র মাঠে শুরু হয় প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। ৩০ মার্চ সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ, সামরিক, আধা-সামরিকবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সৈনিক এবং যুব ও ছাত্রদের নিয়ে মিশ্রবাহিনী । তৎপূর্ব হতেই ৩০০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে পিটিআই মাঠে শুরুহয় সামরিক প্রশিক্ষণ । প্রথম থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন সুবেদার মেজর(অবঃ) আবু আহম্মদ (খাজুরিয়া ইব্রাহিম মৌলবী বাড়ি), ফ্লাইট সার্জেণ্ট (অবঃ) নূরুল ইসলাম(কালিদহ), সার্জেণ্ট সামছুল হক(ফরহাদ নগর), সুবেদার সিদ্দিকুর রহমান, ব্যাটেলিয়ান সামছু(উকিল পাড়া), ক্যাপ্টেন আবদুররৌফ(সোনাপুর) সহ আরো কয়েকজন ।
২৩ এপ্রিল সংগঠকগনসহ হাজার হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন জনতা সীমানা অতিক্রম করে বিলোনিয়া সহ ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং ফেনীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এইসময় বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স - বি এল এফ (বিলোনিয়া ) প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন জননেতা আব্দুল মালেক ।
ফেনী সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে শুভপুর ও বিলোনিয়া যুদ্ধ অন্যতম। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুল মালেক (যুদ্ধকালীন সময়ে বি এল এফ এর প্রেসিডেন্ট) ও খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দেরাদুন ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সাব-সেক্টর কমান্ডার জাফর ইমামের নেতৃত্বে বিলোনিয়া যুদ্ধ একটি অনন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
৬ ডিসেম্বর ফেনী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীকে মুক্ত করেন। প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর দিনটিকে ফেনী জেলাবাসী ফেনী মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়া হয়। খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জন বীর উত্তম, ৭ জন বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- শহীদ বুদ্ধজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার
- জহির রায়হান
- শহীদ বুদ্ধিজীবী সেলিনা পারভীন
- জননেতা খাজা আহমদ সাহেব
- আব্দুল মালেক সাহেব
জনপ্রতিনিধিসম্পাদনা
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[২] | সংসদ সদস্য[৩][৪][৫][৬][৭] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬৬ ফেনী-২ | ফেনী সদর উপজেলা | নিজাম উদ্দিন হাজারী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ফেনী সদর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Election Commission Bangladesh - Home page"। www.ecs.org.bd।
- ↑ "বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জানুয়ারি ১, ২০১৯" (PDF)। ecs.gov.bd। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। ১ জানুয়ারি ২০১৯। ২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ "সংসদ নির্বাচন ২০১৮ ফলাফল"। বিবিসি বাংলা। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল"। প্রথম আলো। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "জয় পেলেন যারা"। দৈনিক আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "আওয়ামী লীগের হ্যাটট্রিক জয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- বাংলাপিডিয়ায় ফেনী সদর উপজেলা
- ফেনী সদর উপজেলা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |