ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ
ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ (ইংরেজি: FIFA Women's World Cup) হলো মহিলাদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক আসর। ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফা'র সদস্যভূক্ত রাষ্ট্রের জাতীয় মহিলা ফুটবল দলসমূহ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে।
চূড়ান্ত অবস্থান | |
---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ![]() |
রানার-আপ | ![]() ![]() (৩ বার করে) |
পুরুষদের বিশ্বকাপ ফুটবলের অনুরূপভাবে এটিও প্রতি চার বছর অন্তর এই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মহিলাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা নামের প্রথম বিশ্বকাপটি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের প্রতিযোগিতায় জাপান পেনাল্টি শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে ট্রফি লাভ করে। বর্তমানে প্রতি আসরের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৬টি দল খেলে থাকে।
প্রতিযোগিতার ফরম্যাটসম্পাদনা
আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা - ওশেনিয়া ফুটবল ফেডারেশন, উয়েফা, কনক্যাকাফ, কনমেবল, এএফসি এবং সিএএফ আয়োজিত স্থানীয় বাছাই পর্বে বিভিন্ন দেশের জাতীয় মহিলা ফুটবল দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলতে পারে।
চুড়ান্ত প্রতিযোগিতাটি ৩ সপ্তাহ ধরে চলে। গ্রুপ পর্যায়ে ১৬টি দল চারটি গ্রুপে (এ, বি, সি এবং ডি) বিভক্ত হয়ে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে খেলে থাকে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় ২টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী চারটি দল সেমিফাইনালে যায় এবং সেখানকার বিজয়ী দল দু'টি ফাইনালে খেলে। সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল দু'টি ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলে থাকে।
মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল, ২০১১ইংসম্পাদনা
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ২০১১ সালে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে মেক্সিকো জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেছিলেন জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক হোমারে সাওয়া।
ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় জাপান জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। পিছিয়ে পড়া অবস্থায় থেকে ১১৭তম মিনিটে সাওয়া'র গোলে জাপান ২-২ গোলে খেলায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে টাইব্রেকারে পেনাল্টি শ্যুটআউটের মাধ্যমে ৩-১ ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র দলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় দলটি।
ঐ প্রতিযোগিতায় সাওয়া অধিনায়ক হিসেবে ফিফা মহিলা বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করেন। পাশাপাশি ৫ গোল করে গোল্ডেন বুট এবং প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বল জয় করেন।
সামগ্রিক ফলাফলসম্পাদনা
সাল | স্বাগতিক দেশ | চ্যাম্পিয়ন | ফলাফল | রানার্স-আপ | ৩য় স্থান | ফলাফল | ৪র্থ স্থান | দলের সংখ্যা | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯৯১ | চীন | যুক্তরাষ্ট্র | ২-১ | নরওয়ে | সুইডেন | ৪-০ | জার্মানি | ১২ | |||
১৯৯৫ | সুইডেন | নরওয়ে | ২-০ | জার্মানি | যুক্তরাষ্ট্র | ২-০ | চীন | ১২ | |||
১৯৯৯ | যুক্তরাষ্ট্র | যুক্তরাষ্ট্র | ০-০ (৫-৪) |
চীন | ব্রাজিল | ০-০ (৫–৪) |
নরওয়ে | ১৬ | |||
২০০৩ | যুক্তরাষ্ট্র | জার্মানি | ২-১ | সুইডেন | যুক্তরাষ্ট্র | ৩-১ | কানাডা | ১৬ | |||
২০০৭ | চীন | জার্মানি | ২-০ | ব্রাজিল | যুক্তরাষ্ট্র | ৪-১ | নরওয়ে | ১৬ | |||
২০১১ | জার্মানি | জাপান | ২–২ (৩–২) |
যুক্তরাষ্ট্র | সুইডেন | ২-১ | ফ্রান্স | ১৬ | |||
২০১৫ | কানাডা |
২৪ |
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- FIFA official site
- UEFA's page on the FIFA Women's World Cup
- Photos: FIFA Women's World Cup China 2007 on Time.com
- RSSSF's pages
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |