ফারুয়া ইউনিয়ন
ফারুয়া বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার অন্তর্গত বিলাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন।
ফারুয়া | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
৩নং ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে ফারুয়া ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১৮′৫৩″ উত্তর ৯২°২৯′৫″ পূর্ব / ২২.৩১৪৭২° উত্তর ৯২.৪৮৪৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | রাঙ্গামাটি জেলা |
উপজেলা | বিলাইছড়ি উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা |
আয়তন | |
• মোট | ৫৫৬.৮৫ বর্গকিমি (২১৫.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৪,১৭৫ |
• জনঘনত্ব | ২৫/বর্গকিমি (৬৬/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ১৫.০৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৫৫০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
আয়তন
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়নের আয়তন ১৩৭,৬০০ একর (৫৫৬.৮৫ বর্গ কিলোমিটার)।[১]
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনা২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউনিয়নের জনসংখ্যা ১১,৩৮৫জন। এর মধ্যে ৯,৭৩৫জন বৌদ্ধ, ১,০৪৫জন খ্রিস্টান ৫০৩জন মুসলিম, ১০২জন হিন্দু।[২]
অবস্থান ও সীমানা
সম্পাদনাবিলাইছড়ি উপজেলার উত্তর-মধ্যাংশ জুড়ে ফারুয়া ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বড়থলি ইউনিয়ন, দক্ষিণ-পশ্চিমে বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন ও নোয়াপতং ইউনিয়ন, পশ্চিমে রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন, উত্তর-পশ্চিমে বিলাইছড়ি ইউনিয়ন ও জুরাছড়ি উপজেলার মৈদং ইউনিয়ন, উত্তরে জুরাছড়ি উপজেলার জুরাছড়ি ইউনিয়ন ও দুমদুম্যা ইউনিয়ন এবং পূর্বে ভারতের মিজোরাম প্রদেশ অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনাবিলাইছড়ি উপজেলায় এক সময় প্রায়ই উপজাতীয় বিদ্রোহ দেখা দিত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের পরাজয়ের পর প্রায় দু'হাজার পাহাড়ি রাজাকার বিদ্রোহী মিজোদের সঙ্গে যোগ দেয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং শান্তিবাহিনীর গোড়াপত্তন করেন। শান্তিবাহিনী দমনের জন্য সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় ফারুয়া থানা। পরে শান্তিবাহিনী ও জনসংহতি সমিতি তাদের মূল ঘাঁটি ত্রিপুরায় স্থানান্তর করে। ফলে ফারুয়া থানার গুরুত্ব কমে যায় এবং থানাটি বিলাইছড়ির অন্তর্ভুক্ত হয়।[১]
প্রশাসনিক কাঠামো
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়ন বিলাইছড়ি উপজেলার আওতাধীন ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বিলাইছড়ি থানার আওতাধীন। এ ইউনিয়ন জাতীয় সংসদের ২৯৯নং নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য রাঙ্গামাটি এর অংশ। এটি ফারুয়া মৌজা নিয়ে গঠিত।[৩] এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:
- গো-ছড়া
- ছাবাতলী
- জামুছড়া
- তক্তানালা
- মন্দিরাছড়া
- ফারুয়া
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ১৫.০৭%।[১] এ ইউনিয়নে ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৩]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- তক্তানালা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- ফারুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- প্রাথমিক বিদ্যালয়
- গো-ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ছাবাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- জামুছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- তক্তানালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- পশ্চিম মন্দিরাছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ফারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়নে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ইঞ্জিন চালিত নৌকা অথবা পায়ে হেঁটে।[৬]
খাল ও নদী
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে রাইংখ্যং নদী।[৭]
হাট-বাজার
সম্পাদনাফারুয়া ইউনিয়নের প্রধান হাট-বাজার হল ফারুয়া বাজার।[৮]
দর্শনীয় স্থান
সম্পাদনা- রাইংখ্যং পুকুর[৯]
জনপ্রতিনিধি
সম্পাদনা- বর্তমান চেয়ারম্যান: বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা[১০]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "বিলাইছড়ি উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org।
- ↑ "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো"। bbs.portal.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৪।
- ↑ ক খ "এক নজরে ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- ↑ http://180.211.137.51:321/DashboardunionN.aspx?div=4&dis=414&thana=41410&union=03[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "যোগাযোগ ব্যবস্থা - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "খাল ও নদী - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "হাট বাজারের তালিকা - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।
- ↑ "দর্শনীয়স্থান - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন - ৩ নং ফারুয়া ইউনিয়ন"। faruaup.rangamati.gov.bd।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "নির্মাণের ৬ বছরেই ধসে পড়েছে ফারুয়া ইউপি ভবন"। এস এন এন ২৪।