ফাতেমা জিন্নাহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ফাতেমা জিন্নাহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (উর্দু: جامعہ طبی فاطمہ جناح), ফাতেমা জিন্নাহর নামে নামকরণ করা হয়, এটি পাঞ্জাবের লাহোর শহরে অবস্থিত একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় । ফাতিমা জিন্নাহ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাদানকারী হাসপাতাল স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল, একটি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান যা মহিলা ডাক্তার ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং বিশেষ করে লাহোর এবং দেশের নাগরিকদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে । মহিলা জনসংখ্যায় দেশে এটি এখন একটি তৃতীয় স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট।
ধরন | সরকারী |
---|---|
স্থাপিত | মার্চ ১৯৪৮ |
অধ্যক্ষ | ড. সরদার ফখর ইমাম |
শিক্ষার্থী | ১৫০০ |
অবস্থান | , , |
ওয়েবসাইট | www |
স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল ১৯২১ সালে লাহোরে দার্শনিক স্যার গঙ্গা রাম প্রতিষ্ঠা করেন, যিনি হাসপাতালের জন্য জমি দান করেন । চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলা করার জন্য হাসপাতালটি ১৯৪৩ সালে তার বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
৩০ শে জুন, ২০১৫ তারিখে পাকিস্তান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করে এবং বর্তমান নীতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ তৈরি হয়। [১]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৬ সালে স্যার গঙ্গা রামের পরিবারের সদস্যরা বালাক রাম মেডিকেল কলেজ নামে স্যার গঙ্গা রামের পুত্রের নামকরণ করে একটি মেডিকেল কলেজ চালু করেন। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর, কলেজটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তার প্রাঙ্গণটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে । তবে, মেডিক্যাল পেশাজীবী প্রফেসর সুজাত আলী তার সহকর্মীদের সহায়তায় মহিলা ডাক্তারদের শিক্ষার জন্য ওই একই স্থানে একটি মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান স্থাপনের ধারণাটি উদ্ভাবন করেছিলেন। এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রফেসর সুজাত আলীর দল কায়দ-ই-আজম মুহম্মদ আলী জিন্নাহকে তার বোনের মোহস্তম্মা ফাতেমা জিন্নাহের নামকরণের জন্য অনুরোধ জানায়। ক্যয়েড তার নাম ব্যবহারের অনুমোদন দেন । ফাতেমা জিন্নাহ মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন, লাহোর অক্টোবর ১৯৪৮ সালে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর প্রথম ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেন । এবং ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। [২]
গঙ্গা রাম হাসপাতাল
সম্পাদনালাহোর (শাহরা-ই-কায়দ-ইয়াজম) এবং পাঞ্জাব আসনের প্রধান ধমনী নিকটবর্তী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল, এফজেএমইউ এর শিক্ষণ হাসপাতাল এটি । ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ঘিরে হাসপাতালটি শহরটির পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে তাদের সেবা সরবরাহ করে । বিশেষত লাহোরের সন্নিহিত জেলায় সেবা প্রদান করে। হাসপাতালের রোগী ধারণক্ষমতা ৭০০, তবে গড় সংখ্যা প্রায় ৮০০ছড়িয়ে পড়েছে ।
প্রবেশিকা
সম্পাদনাফাতেমা জিন্নাহ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি বছর ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে। ৫০% আসন ফেডারেল সরকারের জন্য সংরক্ষিত এবং সিন্ধ, কেপি কে, বেলুচিস্তান, ফাতা, পাটা, এজে কে এবং উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের এই আসনগুলোতে ভর্তি হয়। ২৩ টি আসন বন্ধুত্বপূর্ণ ও ইসলামী দেশগুলোর জন্য পিটিএপি (পাকিস্তান টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রাম) হিসাবে সংরক্ষিত।
ফাতেমা জিন্নাহ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিও জে কেএএটি (যৌথ কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা) পরিচালনা করে থাকে ।
উত্তর আমেরিকায় এখানের প্রাক্তন ছাত্রদের একটি শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। এর প্রাক্তন ছাত্রদের উত্তর আমেরিকা উইং বার্ষিক সভার আয়োজন করে ।[৩] এবং ছাত্র, গবেষক এবং ফ্যাকাল্টি সাহায্য প্রকল্পের মধ্যে নিযুক্ত করা হয়।
অধিভুক্ত
সম্পাদনাএটি পাকিস্তানের প্রাচীনতম মেডিকেল ডিগ্রি প্রদানের একটি প্রতিষ্ঠান - পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই অনুমোদন দেয়া হয় । এবং এটি পাকিস্তান মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এবং কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এবং সার্জনস পাকিস্তান কর্তৃক স্বীকৃত। [৪][৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Chaudhry, Asif (৩০ জুন ২০১৫)। "From FJMC to FJMU, principal to acting VC"। Dawn.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Official website of the Fatima Jinnah Medical College"। Fjmc.edu.pk। ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "FJMC Alumni Association of North America"। Fjmcna.net। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ [১] [অকার্যকর সংযোগ]