ফরিদা মোমান্দ (জন্ম ১৯ জানুয়ারি, ১৯৬৫) একজন আফগান রাজনীতিবিদ। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। তিনি আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফরিদা মোমান্দ
২০১১ সালে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিনা কালজুরান্ডের সঙ্গে ফরিদা মোমান্দ (ডানে)
আফগানিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২০১৫-২০১৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১৯৬৫ (বয়স ৫৮–৫৯)
পেশাচিকিৎসক

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

মোমান্দ ১৯৬৫ সালে নানগারহার প্রদেশের মোমান্দ দারা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। জাতিসত্ত্বায় তিনি পশতুন বংশধর। তিনি রাবিয়া বালখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনে বিএ ডিগ্রী অর্জরন করেন।[১]

ক্যারিয়ার সম্পাদনা

মোমান্দ পেশায় একজন মেডিকেল চিকিৎসক এবং বেশ কয়েকটি সরকারী হাসপাতালে কাজ করেছেন। তিনি কাবুল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।[১] তার স্বামী উত্তর জোটের মুখপাত্র ছিলেন, যিনি তালিবানকে ক্ষমতাচ্যুক করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন।১৯৯৬ সালে তালিবান কাবুল দখল করে নিলে, তার মৃত্যুর হুমকি দেয়া হয় এবং এই কারণেই তারা পাকিস্তান পালিয়ে যায়।[১][২] কাবুল স্বাধীন হলে ২০০১ সালের নভেম্বরে তারা ফিরে আসেন।[২] মোমান্দ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন এবং ডিন হিসেবে নিযুক্ত হন। মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব করতে তিনি নির্বাচিত হন।

২০০৫ সালের সংসদীয় নির্বাচনে মোমান্দ কাবুল প্রদেশের ৪০০ এরও বেশি প্রার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন।[৩] ২০০৯ সালের প্রাদেশিক নির্বাচন এবং ২০১০ সালের সংসদীয় নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন।[১]

২০১৫ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হন।[৪][৫] মন্ত্রী হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য আহবান জানান,[৬] স্কলারশিপ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নারীদের পক্ষে কথা বলেন[৭], এবং কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জেন্ডার স্টাডিস এবং নারীর গবেষণায় প্রথম কর্মসূচির সূচনা করেন।[৮][৯]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

মোমান্দ হাবিব রায়দের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের পরিবারে পাঁচটি সন্তান রয়েছে।[২][৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Mohmand, Farida Mrs. Prof."। Who is who in Afghanistan?। 
  2. Laughlin, Meg (২৬ নভেম্বর ২০১০)। "For Afghan women, talks with Taliban threaten newfound freedom"Tampa Bay Times। ৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. Biswas, Soutik। "Photojournal: Afghan family's voting day"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. "Four Women Were Just Approved to Join the Cabinet of Afghanistan's Unity Government"। Feminist Newswire। ২০ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "National Unity Government's 16 Cabinet Ministers Sworn in"। Office of the President, Islamic Republic of Afghanistan। ২১ এপ্রিল ২০১৫। ১০ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. "Farida Momand calls for transparency in university semesters tests"The Kabul Times। ১৭ আগস্ট ২০১৫। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. "Access to Higher Education to Unleash Potential in Afghan Women"। US AID। ২৯ জুন ২০১৬। ১১ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  8. Moosakhail, Zabihullah (১৮ অক্টোবর ২০১৫)। "Kabul University launches its First-Ever Master's Programme in Gender and Women's Studies"। Khaama Press। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  9. "Kabul University Introduces First-Ever Master's Programme in Gender and Women's Studies"। UNDP। ১৭ অক্টোবর ২০১৫। ৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জানুয়ারি ২০১৭