ফয়েজ আহমদ (বীর উত্তম)

বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা

শহীদ ফয়েজ আহমেদ (জন্ম: ১৯৪০ - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। [১]

ফয়েজ আহমেদ
জন্ম১৯৪০
মৃত্যু১৯৭১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর উত্তম

জন্ম ও শিক্ষাজীবনসম্পাদনা

ফয়েজ আহমদ ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার অলকা গ্রামে। তার পিতার নাম জাবেদ আলী। তিনি ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন। তার স্ত্রীর নাম জাহানারা বেগম।

কর্মজীবনসম্পাদনা

ফয়েজ আহমদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সুবেদার ছিলেন। যশোর সেনানিবাসে কর্মরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তারা নিজ রেজিমেন্ট পাকিস্তানিদের হাতেই আক্রান্ত হন। এরপর তিনি ভারতে যান।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকাসম্পাদনা

১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বড় দল সিলেট শহরের উপকণ্ঠে এমসি কলেজসংলগ্ন পাকিস্তানি বাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরোধের মুখোমুখি পালটা অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দলে ছিল প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের চারটি কোম্পানি—ব্রাভো, ডেলটা, আলফা ও চার্লি। এছাড়াও তাদের সাথে গণবাহিনীর বেশ কিছু সদস্য ছিল। ব্রাভো কোম্পানিতেই ছিলেন ফয়েজ আহমদ। প্রথমে পাকিস্তানিদের ওপর আক্রমণ করে ডেলটা কোম্পানি। মর্টার সহযোগে পাকিস্তানিরাও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। কিন্তু অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের গোলা শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তারা কয়েকটি মেশিনগান, হালকা মেশিনগান প্রভৃতি হালকা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পাকিস্তানিদের দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করতে থাকেন। পরে মিত্রবাহিনীর বিমান আকাশ থেকে পাকিস্তানি অবস্থানের ওপর হামলা চালায়। উভমুখী আক্রমণে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

সেদিনের ওই যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাদের অন্তত শতাধিক সেনা নিহত এবং অসংখ্য আহত হয় বলে জানা যায়। এদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি কোম্পানি — ব্রাভো ও ডেলটা থেকে ২০ জন সদস্য শহীদ এবং ২৪-২৫ জন আহত হন। ফয়েজ আহমদ সাহস, দক্ষতা ও রণকৌশল প্রদর্শন করে শহীদ হন।[২]

পুরস্কার ও সম্মাননাসম্পাদনা

পাদটীকাসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ২০-০৪-২০১১"। ২০১৪-০৮-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৪-০৫ 
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খণ্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ২৭। আইএসবিএন 9789849025375 

বহি:সংযোগসম্পাদনা