ফটিকচাঁদ (চলচ্চিত্র)
ফটিকচাঁদ হচ্ছে সত্যজিৎ রায়ের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে সন্দীপ রায় পরিচালিত একটি বাংলা শিশুতোষ চলচ্চিত্র।[১][২] সত্যজিৎ রায়ের জীবদ্দশাতেই এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনায় তার পুত্র সন্দীপ রায়ের অভিষেক হয়। এটি ১৯৮৩ সালে মুক্তি পায়।[৩][৪][৫] চলচ্চিত্রটি ১৯৮৪ সালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম পুরস্কার লাভ করে।[৬][৭][৮]
ফটিকচাঁদ | |
---|---|
পরিচালক | সন্দীপ রায় |
উৎস | সত্যজিৎ রায় কর্তৃক ফটিকচাঁদ |
শ্রেষ্ঠাংশে | নিচে দেখুন |
সুরকার | সত্যজিৎ রায় |
চিত্রগ্রাহক | সৌমেন্দু রায় |
সম্পাদক | দুলাল দত্ত |
মুক্তি | ১৯৮৩ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
কাহিনি-সংক্ষেপ
সম্পাদনা১২ বছর বয়সী বাবলু সান্যাল নামের কলকাতার এক ছেলেকে স্কুল থেকে ফেরার সময় একটি দল গুণ্ডা অপহরণ করে। কিন্তু পথে তাদের একটি গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটে এবং বাবলু তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। চালক ও আরও একজন অপহরণকারী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপর দুই অপহরণকারী শ্যামলাল ও রঘু বাবলুকে অচেতন অবস্থায় দেখে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়। হারুন আল রশিদ নামের সার্কাসে খেলা দেখানো একজন ভবঘুরে ব্যক্তি তাকে বাঁচায়। বাবলু নিজের আসল নাম মনে করতে না পারায় নিজেকে ফটিক চন্দ্র পাল হিসেবে পরিচয় দেয়। এদিকে বাবলুর বাবা শরদিন্দু সান্যাল তার ছেলের সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি বিশাল পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে কাগজপত্রে বিজ্ঞাপন দেন। শ্যামলাল এবং রঘু হঠাৎ বাবলুকে হারুনের সাথে আবিষ্কার করে তাদের আক্রমণ করে কিন্তু হারুন বাবলুকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বাবলু ও হারুনের মধ্যে বন্ধুত্ব-ভালোবাসার আবেগময় বন্ধনের গল্প নিয়ে ছবিটি চলছে। অবশেষে বাবলু ওরফে ফটিক তার স্মৃতি ফিরে পায়। হারুনের সহায়তায় তার বাড়িতে ফিরে আসে। বাবলুর বাবা হারুনের কাছে পুরস্কারের টাকা প্রস্তাব করলেও, সে "ভাই"য়ের যত্ন নেওয়ার জন্য টাকা নিতে অস্বীকার করে।[১][৯]
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- হারুন চরিত্রে কামু মুখোপাধ্যায়
- ফটিক বা বাবলু চরিত্রে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়
- শ্যামলালের চরিত্রে বিপ্লব চ্যাটার্জি
- সরদিন্দু সান্যালের চরিত্রে হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়
- কৌশিক ব্যানার্জী
- রঘু চরিত্রে কমল দেব
- জ্যোতিষীর ভূমিকায় কার্তিক চট্টোপাধ্যায়
- পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় তরুণ মিত্র
- ভীষ্ম গুহঠাকুরতা
- আল্পনা গুপ্ত
- অশোক মুখোপাধ্যায়
- রমেশ মুখোপাধ্যায়
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ Satyajit Ray (১৫ জানুয়ারি ১৯৮৩)। Phatik Chand। আইএসবিএন 9788122204209। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Film review: Phatikchand"। indiatoday.in। ২০১৮-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Sandip Ray's debut film was Phatik Chand"। The Times of India। ৯ ডিসেম্বর ২০১৪। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "PHATIKCHAND (1983)"। bfi.org.uk। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Looking for a new Feluda: Sandip Ray"। hindustantimes.com। ৪ জানুয়ারি ২০১২। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Chatterjee, Jagyaseni (১৭ জুন ২০১৬)। "Taking the story forward"। The Hindu। ২০১৮-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Bloodline Triumphs"। ৩ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Sandip Ray"। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ Ray, Satyajit (১৫ জানুয়ারি ১৯৮৩)। Phatik Chand। আইএসবিএন 9788122204209। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ফটিকচাঁদ (ইংরেজি)