ফজুরা

একজন মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী, গায়ক

নূর ফজুরা শরীফুদ্দিন (নূর ফজুরা বিনতে শরীফুদ্দিন; জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩) হচ্ছেন একজন মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী, গায়িকা, টিভি উপস্থাপক, ভিজে এবং একজন উদ্যোক্তা। তিনি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি ছোট অভিনয় চরিত্রে অভিনয় করে মালয়েশিয়ার বিনোদন শিল্পে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি "টিনস ওয়ার্ল্ড" নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠান এ উপস্থিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে, তিনি "বিকাড়া হটি"তে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে তার চলচ্চিত্র কর্মজীবন শুরু করেন, যেটি তাকে অধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে এবং একটি পুরস্কারে মনোনীত হয়ে সাহায্য করে। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে, তিনি গোল এবং জিঙ্কু চলচ্চিত্রে বুবলি-উদ্যমী নেতৃত্বের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ফজুরা
২০১১ সালে ফজুরা
জন্ম
নূর ফজুরা বিনতে শরীফুদ্দিন

(1983-09-27) ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ (বয়স ৪০)
জাতীয়তামালয়েশিয়া
অন্যান্য নামফাজ, জুরা, ফজুরা, ফজবুলাস
মাতৃশিক্ষায়তনফ্যাশন ডিজাইন কলেজ
পেশাঅভিনেত্রী, গায়িকা, মডেল, টেলিভিশন উপস্থাপক, এমটিভি ভিজে, উদ্যোক্তা
কর্মজীবন২০০২–বর্তমান
উচ্চতা৫ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার)
পিতা-মাতাশরীফুদ্দিন বিন আদনান (বাবা)
ফাদিল্লাহ বিনতে নাসির (মা)
ওয়েবসাইটwww.facinguptofazura.com

বেশ কয়েকটি বিনোদন এবং ফ্যাশন ম্যাগাজিন অনুযায়ী ফজুরা "মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অভিনেত্রী এবং সেলিব্রিটি" হিসেবে বিবেচিত হন এবং প্রায়ই এই পত্রিকাগুলোর দ্বারা "স্টাইলিশ" এবং "হট" তালিকায় তিনি উপস্থিত হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত, তিনি ১০টি বৈশিষ্ট্যযুক্ত চলচ্চিত্র, অগণিত হিট টিভি সিরিজ এবং নাটকগুলির পাশাপাশি বেশ কিছু টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন। "মহারাজা লওক মেগা" নামে একটি কমেডি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি একজন বিচারক হিসেবে হাজির হয়েছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

নূর ফজুরা বিনতে শরীফুদ্দিন ১৯৮৩ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় পেহাং প্রদেশের পেকান জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি তার তিন ভাইয়ের জন্য একমাত্র বোন এবং তার পিতা-মাতার একমাত্র কন্যা। তিনি তার পরিবারের একমাত্র কন্যা। ফজুরার মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তিনি তার মাতৃভূমিতে সিকোলাহ মেনেন্জা দাতুক মাহমুদ ম্যাটে যোগদিন করেন। পরবর্তীতে তিনি একটি ফ্যাশন ডিজাইনিং কলেজে ভর্তি হন এবং কিছু মাস পর সেখান থেকে চলে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, "কারণ কোর্সের মধ্যে আমার আগ্রহ কিছুদিনের মধ্যেই হ্রাস পায়"। এবং বেশ কিছু অফার তাকে এই কাজ করতে প্রলোভন দেখিয়েছিল। তিনি সেখান থেকে একটিকে ধরেন এবং নিজেকে বলেছিলেন যে, "আমি যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই আমি শুরু করব। একটি কাজ করো এবং সেটা সম্পর্কে ভুলে যাও। অন্তত আমি এটা করেছি"। পরবর্তীতে তিনি আবিষ্কৃত হন এবং একটি চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক, দাতিন রসনানী জমিল দ্বারা একটি বড় কাজ করতে সুযোগ পান।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

২০০৭ সালের প্রথম দিকে, ফজুরা সিঙ্গাপুর আইডল মৌসুম ২ এর বিজয়ী, হাদি মির্জার সাথে সাথে সংযুক্ত হন, তারা উভয়ে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর সাউথ ক্লাবের এমটিভি হিপ-হপ পার্টিতে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেন। সূত্র মতে, তিনি (মির্জা) তার (ফজুরা) প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। তারা প্রেমের মধ্যে পাগল হয়ে গিয়েছিল এবং তারা উভয়ে দৈনিক ফোনে কথোপকথন করতেন।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ""Saya dilahirkan di Pekan Pahang" (I was born in Pekan Pahang)"Fazura's Twitter post dated 13 October 2012। Fazura's verified Twitter account। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  2. "Quoted from The Star's 15th paragraph line – 'the only girl and the third of four siblings." (22 October 2014)। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা