ফখরুদ্দিন বর্ধমানী

ফখরুদ্দিন ইবনে ফুলান আল-হানাফী আল-বুর্দওয়ানি (আরবি: فخر الدين بن فلان الحنفي البردواني ; d 1199 AH / 1785 CE), অথবা সংক্ষিপ্তভাবে ফখরুদ্দিন বর্ধমানী, অষ্টাদশ খ্রীষ্টিয় শতকের একজন আলেমে দ্বীন ছিলেন।[১] আব্দুল হাই লখনবীর মতে, তিনি তার সময়ে মন্তেক (ইসলামী যুক্তিবিদ্যা) এবং হেকমত ক্ষেত্রের একজন নেতৃস্থানীয় পণ্ডিত ছিলেন।[২]


ফখরুদ্দিন বর্ধমানী

ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম
মৃত্যু১১৯৯ হিজরি (১৭৮৫ খ্রীঃ)
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নি
শিক্ষালয়হানাফি
মুসলিম নেতা
শিক্ষকমোহম্মদ বরকত ইলাহাবাদী

জীবনী সম্পাদনা

ফখরুদ্দিন সাহেব বর্ধমানের জিলু গ্রামের একটি বাঙ্গালী মুসলিম খান্দানে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি শৈশব কাটান। পরবর্তীতে তিনি উচ্চতর ইসলামী তালিমের জন্য বাংলা ত্যাগ করে হিন্দুস্তান আগমন করেন। বর্ধমানী সাহেব মোহম্মদ বরকত এলাহাবাদীর একজন শাগরেদ এবং হানাফী মযহবের অনুসারী হয়েছিলেন।

পড়াশুনা শেষ করার পর, তিনি বাংলায় ফিরে আসেন যেখানে তিনি ইসলামী তালিম, যুক্তিবিদ্যা এবং হেকমত শেখানো শুরু করেন। তিনি একজন জাহেদ ছিলেন বলে জানা যায়। যখনই তাঁর চাকর অসুস্থ হয়ে পড়ত বা অন্য কোন অজুহাত পেত, তখনই বর্ধমানী সাহেব নিজ মাথার ওপর খাবার রেখে তাঁর শাগরেদদের কাছে নিয়ে আসতেন। তার জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার প্রভাব লক্ষ্য করে। ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্সির গভর্নর-জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস তাকে দেখতে চেয়ে অবশেষে তা করতে সক্ষম হন। যাইহোক, আল্লামা ফখরুদ্দিন বর্ধমানী সাহেব খুশি হননি এবং হেস্টিংসের উপহারগুলো গ্রহণ করেননি।[৩]

আল্লামা ফখরুদ্দিন বর্ধমানী সাহেব ১১৯৯ হিজরিতে (১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে) ইন্তেকাল করেন।

আরও দেখুন সম্পাদনা

আরও পড়া সম্পাদনা

  • বহর-ই-জখখার

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "فخر الدين بن فلان البردواني"তরজম (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২২ 
  2. আব্দুল হাই লখনবী (১৯৪৭)। নুজহতুল খওয়াতির। মতবয়তে দায়েরাতুল মা'আরেফ আল-ওসমানিয়া। পৃষ্ঠা ২২১-২২২। 
  3. মহম্মদ হিফজুর রহমান কুমিল্লায়ী (২০১৮)। "الشيخ الفاضل فخر الدين بن فلان البردواني" [শায়খে ফাজেল ফখরুদ্দিন ইবনে ফুলান আল-বুর্দওয়ানী]। كتاب البدور المضية في تراجم الحنفية (আরবি ভাষায়)। দারুস সালেহ।