প্রসপার উতসেয়া

জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটার
(প্রোসপার উতসেয়া থেকে পুনর্নির্দেশিত)

প্রসপার উতসেয়া (জন্ম: ২৬ মার্চ, ১৯৮৫) হারারেতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার। ডানহাতি অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলে খেলে থাকেন। ২০০৬ থেকে ২০১০ মেয়াদকালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেন। জিম্বাবুয়ের একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে দ্বিতীয় হ্যাট্রিকলাভকারী বোলারের সম্মাননা লাভ করেছেন।

প্রসপার উতসেয়া
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপ্রসপার উতসেয়া
জন্ম (1985-03-26) ২৬ মার্চ ১৯৮৫ (বয়স ৩৯)
হারারে, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ-ব্রেক
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৬৫)
৬ মে ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮১)
২০ এপ্রিল ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
ওডিআই শার্ট নং৫২
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৯-বর্তমানমাউন্টেইনিয়ার্স
২০০৬-২০০৯ইস্টার্নস
২০০৪-২০০৫মিডল্যান্ডস
২০০৩-২০০৪মনিকাল্যান্ড
২০০১-২০০৩ম্যাশোনাল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫১ ৭৯ ২২৪
রানের সংখ্যা ১০৭ ১,৩১৯ ২,৭২৫ ১,৯৪৩
ব্যাটিং গড় ১৫.২৮ ১৭.৩৫ ২১.৮০ ১৬.০৫
১০০/৫০ ০/০ ০/৪ ১/১৫ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ৪৫ ৬৮* ১১৫* ৬৮*
বল করেছে ৭৫৩ ৮,২২৯ ১৩,৯২৭ ১১,২৫৪
উইকেট ১০ ১২৮ ২১১ ১৯৪
বোলিং গড় ৪১.০০ ৪৬.৪৫ ৩০.১৩ ৪০.৯৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৬০ ৫/৩৬ ৭/৫৬ ৪/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ৪৬/– ৩০/– ৭৩/–
উৎস: CricketArchive; cricinfo, 14 September 2013

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

হারারের হাইফিল্ডের উপকণ্ঠে শহুরে পরিবেশে তার ক্রিকেট জীবন গড়ে ওঠে। কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত চার্চিল বয়েজ হাই স্কুলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়নের বৃত্তি নিয়ে ভর্তি হন। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েই তার ক্রীড়া প্রতিভা লক্ষ্য করা যায়। ১৫ বছর বয়সে ম্যাশোনাল্যান্ড এ ক্রিকেট দলে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। নিজস্ব ১৬তম জন্মদিনের একদিন পূর্বে লোগান কাপের ২য় খেলায় মনিকাল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধ-শতক করেন। এরপর তিনি খুব দ্রুত অনূর্ধ্ব-১৯জিম্বাবুয়ে এ দলে তার উল্লেখযোগ্য বোলিংয়ের কারণে উন্নিত হন।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

জাতীয় দলে বেশ কয়েকজন শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি ও হিথ স্ট্রিকের অধিনায়কত্ব থেকে নাম প্রত্যাহারের পর উতসেয়া দলে নিজ স্থান পাকাপোক্ত করেন।[১] ২০০৪ সালে মনিকাল্যান্ডে যোগ দেন ও পরবর্তীতে সিএফএক্স একাডেমি দলের সদস্য হন। ঐ বছরেরই অক্টোবর মাসে মনিকাল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি তার প্রথম পাঁচ-উইকেট পান (৫/৩২)। দূর্বল জাতীয় দলে নিজ স্থান ধরে রাখাসহ ২০০৬ সালে টেরি ডাফিনের পরিবর্তে অধিনায়ক মনোনীত হন।

২৯ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ে ত্রি-দেশীয় সিরিজের ৩য় খেলায় হ্যাট্রিক করেন উতসেয়া। ৩ জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে এডো ব্রানডেসের[২] পর জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ও বিশ্বের ৩৫তম খেলোয়াড় হিসেবে তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে হ্যাট্রিক করেন। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় কুইন্টন ডি কককে টেন্ডাই চাতারা কট-আউট এবং রিলি রোজোডেভিড মিলারকে এলবিডব্লিউ’র ফাদে ফেলে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন তিনি।[৩] খেলায় তিনি তার নিজস্ব সেরা বোলিং করেন ৫/৩৬। তার ক্রীড়ানৈপুণ্যের ফলে চতুর্থবার ও ১৯৯৯ সালের পর দ্বিতীয়বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল-আউট করতে সক্ষম হয়। স্পিন সহায়ক উইকেটে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন আরেক অফ-স্পিনার জন নিয়াম্বু। তারা দুজনে দশ উইকেটের আটটিই নিজেদের করে নেন।[৪] কিন্ত তার দল জিম্বাবুয়ে খেলায় পরাজিত হয়।

সম্মাননা সম্পাদনা

সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সালে তিনি আইসিসি ওডিআই বোলিং র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৫তম অবস্থানে ছিলেন। আগস্ট, ২০০৬ সালে ক্রিকইনফো'র এক নিবন্ধে তাকে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে স্পিনারদের মধ্যে সর্বনিম্ন ইকোনমি রেট ৩.৮৪ দেখানো হয়েছে। একই সময়ে মুত্তিয়া মুরালিধরনহরভজন সিংয়ের ইকোনমি রেট যথাক্রমে ৩.৮৫ ও ৪.১১ ছিল।

একদিনের আন্তর্জাতিকে ৫-উইকেট প্রাপ্তি সম্পাদনা

নং বোলিং পরিসংখ্যান খেলা নং প্রতিপক্ষ মাঠ শহর সাল ফলাফল
৫/৩৫ ১৫৮   দক্ষিণ আফ্রিকা হারারে স্পোর্টস ক্লাব হারারে ২০১৪ পরাজয়

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Cricinfo interview of August 2006
  2. "3rd ODI: Zimbabwe v England at Harare, Jan 3, 1997"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০০৯ 
  3. "Zimbabwe Triangular Series, 3rd Match: Zimbabwe v South Africa at Harare, Aug 29, 2014"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৪ 
  4. Moonda, Firdose (আগস্ট ২৯, ২০১৪)। "Zimbabwe v South Africa, Tri-series, Harare, SA limp to 231 after Utseya hat-trick"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৯, ২০১৪ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা


পূর্বসূরী
টেরি ডাফিন
জিম্বাবুয়ের একদিনের আন্তর্জাতিক অধিনায়ক
২০০৬-২০১০
উত্তরসূরী
এলটন চিগুম্বুরা