প্রায়র জোন্স

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

প্রায়র আরস্কিন ওয়াভার্লি জোন্স (ইংরেজি: Prior Jones; জন্ম: ৬ জুন, ১৯১৭ - মৃত্যু: ২১ নভেম্বর, ১৯৯১) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রিন্সেস টাউনে জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৫১-৫২ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে নয় টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করেন প্রায়র জোন্স

প্রায়র জোন্স
১৯৫০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে প্রায়র জোন্স
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপ্রায়র আরস্কিন ওয়াভার্লি জোন্স
জন্ম(১৯১৭-০৬-০৬)৬ জুন ১৯১৭
প্রিন্সেস টাউন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
মৃত্যু২১ নভেম্বর ১৯৯১(1991-11-21) (বয়স ৭৪)
পোর্ট অব স্পেন, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৭)
২১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৩০ নভেম্বর ১৯৫১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৬১
রানের সংখ্যা ৪৭ ৭৭৫
ব্যাটিং গড় ৫.২২ ১৪.০৯
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ১০* ৬০*
বল করেছে ১,৮৪২ -
উইকেট ২৫ ১৬৯
বোলিং গড় ৩০.০৩ ২৬.৮১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৮৫ ৭/২৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/০ ৩৩/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে খেলেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন সম্পাদনা

১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ঐ টেস্টে ১২ জন ক্রিকেটারের একযোগে অভিষেক ঘটেছিল। ক্লাইড ওয়ালকট, রবার্ট ক্রিস্টিয়ানি, উইলফ্রেড ফার্গুসন, বার্কলি গ্যাসকিন, জন গডার্ড ও প্রায়র জোন্স - এ সাতজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবং জিম লেকার, মরিস ট্রেমলেট, ডেনিস ব্রুকস, উইনস্টন প্লেসজেরাল্ড স্মিথসন - এ পাঁচজন ইংল্যান্ডের ছিলেন। ২১ জানুয়ারি, ১৯৪৮ তারিখে ব্রিজটাউনে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ৪/৫৪ পান। টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল।[১]

এরপর পরবর্তী শীতকালে ভারত সফরেও সফলতা পান। বোম্বেতে ৫/৮৫ পান যা তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।[২] ১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। ঐ সফরে সকলেই তার কাছ থেকে বড়কিছু আশা করলেও মাত্র দুই টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন তিনি। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ৩০ নভেম্বর, ১৯৫১ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৫০-৫১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

ঘরোয়া ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে সিলনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলায় সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ১০/৬২ (৪/৩৯ ও ৬/২৩)।[৩] ১৯৫০ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেরা বোলিং করেন ৭/২৯।[৪] ১৯৫০-এর দশকে ত্রিনিদাদে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে অল-রাউন্ডার জেরি গোমেজ, উইকেট-রক্ষক সিম্পসন গুইলেনরাল্ফ লিগল, স্পিন বোলার সনি রামাদিন ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেফ্রি স্টলমেয়ারের সাথে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফর করেন।

খেলার ধরন সম্পাদনা

উইকেটের উভয় পার্শ্ব থেকেই বলকে ঘোরাতে পারতেন। বিশ্বযুদ্ধের কারণে তার খেলোয়াড়ী জীবন থেকে বিশের দশক কেটে যায়। ত্রিশের দশকে সনি রামাদিনআল্ফ ভ্যালেন্টাইনের কাছ থেকে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হন তিনি। নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে সফলতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও দক্ষ ফিল্ডার হিসেবেও তার সুনাম ছিল।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

কুইন্স রয়্যাল কলেজে অধ্যয়ন করেন। স্থানীয় ক্লাব ম্যাপলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৪০-এর দশকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে ফুটবল খেলায় অংশ নেন। তন্মধ্যে ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত দলটির অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।[৫] ক্রীড়া ও জনসেবায় অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো হামিং বার্ড স্বর্ণপদক লাভ করেন তিনি।[৬]

৭৪ বছর বয়সে ২১ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে প্রায়র জোন্সের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা