বিজ্ঞান হল এমন এক ধরণের জ্ঞান যা পর্যবেক্ষণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরীক্ষণ এবং কোন বিষয়ের ব্যাখ্যা বা ঘটনার ভবিষ্যৎবাণীর কারণ দেখানোর ক্ষেত্রে যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে গঠিত হয়। পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ এবং সূক্ষ্ণতর কারণ ব্যাখ্যন, এ সবই বিজ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানের জগতে নিয়মানুবর্তিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আবশ্যক। এ ধরণের পদ্ধতির মথ্যে প্রথমেই আসে প্রস্তাবিত প্রকল্পকে উপযুক্ত পরীক্ষণ এবং যুক্তির মাধ্যমে সত্যায়িতকরণ। এ ধরণের সত্যায়িত প্রকল্প সময়ের প্রয়োজনে এক সময় সত্যের মানদন্ড হিসেবে পরিগণিত হয় এবং কালক্রমে একটি সূত্রের মর্যাদা পায়; তবে বিজ্ঞানে কোন কিছুই অপরিবর্তনীয় নয়। পরবর্তীতে অধিক নির্ভরযোগ্য তত্ত্ব এই প্রতাষ্ঠিত তত্ত্বকেও নাকচ করে দিতে পারে। এভাবেই এগিয়ে চলে বিজ্ঞান।
তারা (ইংরেজি: Star) প্লাজমা দশাস্থিত অতি উজ্জ্বল এবং সুবৃহৎ গোলাকার বস্তুপিণ্ড। উচ্চ তাপে তারা নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগত নিজের জ্বালানী উৎপন্ন করে। নিউক্লীয় সংযোজন থেকে উদ্ভুত তাপ ও চাপ মহাকর্ষীয় সঙ্কোচনকে ঠেকিয়ে রাখে। জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে একটি তারার মৃত্যু হয়ে শ্বেত বামন অথবা নিউট্রন তারা আবার কখনো কৃষ্ণ বিবরের সৃষ্টি হয়। পৃথিবী হতে সবচেয়ে কাছের তারা হচ্ছে সূর্য। তারা জ্বলজ্বল করার কারণ হচ্ছে, এর কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তা তারার পুরো অভ্যন্তরভাগ পার হয়ে বহিঃপৃষ্ঠ থেকে বিকিরিত হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম অপেক্ষা ভারী প্রায় সকল মৌলই তারার কেন্দ্রে প্রথমবারের মত উৎপন্ন হয়েছিল।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তারার বর্ণালি, দীপন ক্ষমতা বা গতি পর্যবেক্ষণ করে এর ভর, বয়স, রাসায়নিক গঠন এবং অন্যান্য অনেক ধর্মই বলে দিতে পারেন। তারাটির সর্বমোট ভরই মূলত তার বিবর্তন এবং চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে দেয়। অন্যান্য ধর্মগুলো নির্ণয় করা হয় বিবর্তনমূলক ইতিহাসের মাধ্যমে যার মধ্যে রয়েছে ব্যাস, ঘূর্ণন, চাপ এবং তাপমাত্রা। অনেকগুলো তারার তাপমাত্রাকে তাদের দীপন ক্ষমতার বিপরীতে একটি লেখচিত্রে স্থাপন করলে যে চিত্র পাওয়া যায় তাকে হের্টস্স্প্রুং-রাসেল চিত্র বলা হয়। এই চিত্রের মাধ্যমেই তারার বিবর্তনের বর্তমান দশা এবং এর বয়স নির্ণয় করা যায়। বিস্তারিত...
সুশ্রুত ( সংস্কৃত : सुश्रुत) প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসক এবং সুশ্রুত সংহিতা গ্রন্থটির মূল লেখক হিসাবে পরিচিত। মহাভারত, প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য, তাকে বিশ্বমিত্রের পুত্র হিসাবে উপস্থাপন করেছে, যা সুশ্রুত সংহিতার বর্তমান সংযোজনের সাথে মিলে যায়। কুঞ্জলাল ভিসাগ্রত্ন মতামত দিয়েছেন যে এই অনুমান করা ঠিক যে সুশ্রুত যেই বংশের নাম ছিল সেটা তেই বিশ্বমিত্র ছিলেন। তিনি " অস্ত্রোপচারের জনক " ও "প্লাস্টিক সার্জারির জনক" হিসাবে পরিচিত।
সুশ্রুত সংহিতা চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেঁচে থাকা প্রাচীনতম গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি এবং এটি আয়ুর্বেদের মূল পাঠ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই গ্রন্থটি সাধারণ চিকিৎসার সমস্ত দিককেই সম্বোধন করেছে, তবে অনুবাদক জি. ডি. সিংহল সুশ্রুতকে কাজের জন্য শল্যচিকিৎসার বিশদ বিবরণ হিসাবে "অস্ত্রোপচারের জনক" বলে অভিহিত করেছেন। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
... মানুষের লৈঙ্গিক পার্থক্য বিষয়ক গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ও নারীর প্রতি ঘন মিলিলিটার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ যথাক্রমে প্রায় ৫২ ও ৪৬ লক্ষ?
... ভেসপুলা ফ্লাভিসেপস নামক বোলতার শুককীট জাপানে একটি অন্যতম জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার হিসেবে স্বীকৃত?
... গবেষণায় দেখা গেছে ডলফিন ও হাতিরাও তাদের নিজেদের আলাদাভাবে পরিচয় দিতে সাংকেতিক নাম ব্যবহার করে?