প্রবেশদ্বার:তুরস্ক
ম্যারহাবা! তুরস্ক প্রবেশদ্বারে স্বাগতম
তুরস্ক (/ˈtɜːrki/ (ⓘ); তুর্কি: Türkiye), সরকারী নাম প্রজাতন্ত্রী তুরস্ক (Turkish: ⓘ), পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া (তুর্কি: Antalya আন্তালিয়া) বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত। তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল অবস্থিত। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে --- মার্মারা সাগর, এবং বসফরাস প্রণালী ও দার্দানেল প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজীয় সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে।
তুরস্ক মোটামুটি চতুর্ভুজাকৃতির। এর পশ্চিমে এজীয় সাগর ও গ্রিস; উত্তর-পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া ও স্বায়ত্বশাসিত আজারবাইজানি প্রজাতন্ত্র নাখচিভান; পূর্বে ইরান; দক্ষিণে ইরাক, সিরিয়া ও ভূমধ্যসাগর। তুরস্কের রয়েছে বিস্তৃত উপকূল, যা দেশটির সীমান্তের তিন-চতুর্থাংশ গঠন করেছে।
তুরস্কের ভূমিরূপ বিচিত্র। দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমে আছে উর্বর সমভূমি। পশ্চিমে আছে উঁচু, অনুর্বর মালভূমি। পূর্বে আছে সুউচ্চ পর্বতমালা। দেশের অভ্যন্তরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হলেও ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু মৃদু।
ইউরোপ সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। গোটা মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপের মানুষদের চলাচলের সেতু হিসেবে কাজ করেছে। নানা বিচিত্র প্রভাবের থেকে তুরস্কের একটি নিজস্ব পরিচয়ের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, চারুকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও অনেক অতীত ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ধরে রাখা হয়েছে। তবে তুরস্ক বর্তমানে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানকার অধিকাংশ লোকের ধর্ম ইসলাম এবং মুখের ভাষা তুর্কি ভাষা।
বহু শতাব্দী ধরে তুরস্ক ছিল মূলত কৃষিপ্রধান একটি দেশ। বর্তমানে কৃষিখামার তুরস্কের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এবং দেশের শ্রমশক্তির ৩৪% এই কাজে নিয়োজিত। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুরস্কে শিল্প ও সেবাখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বিশেষত অর্থসংস্থান, পরিবহন, এবং পেশাদারী ও সরকারী সেবায়। অন্যদিকে কৃষির ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। টেক্সটাইল ও বস্ত্র শিল্প দেশের রপ্তানির প্রধান উৎস।
অর্থনৈতিক রূপান্তরের সাথে সাথে নগরায়নের হারও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তুরস্কের ৭৫% জনগণ শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালেও মাত্র ২১% শহরে বাস করত। জনসংখ্যার ৯০% তুরস্কের এশীয় অংশে বাস করে। বাকী ১০% ইউরোপীয় অংশে বাস করে।
তুরস্কের ইতিহাস দীর্ঘ ও ঘটনাবহুল। প্রাচীনকাল থেকে বহু বিচিত্র জাতি ও সংস্কৃতির লোক এলাকাটি দখল করেছে। ১৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের দিকে এখানে হিটাইটদের বাস ছিল। তাদের সময়েই এখানে প্রথম বড় শহর গড়ে ওঠে। এরপর এখানে ফ্রিজীয়, গ্রিক, পারসিক, রোমান এবং আরবদের আগমন ঘটে। মধ্য এশিয়ার যাযাবর তুর্কি জাতির লোকেরা ১১শ শতকে দেশটি দখল করে এবং এখানে সেলজুক রাজবংশের পত্তন করে। তাদের শাসনের মাধ্যমেই এই অঞ্চলের জনগণ তুর্কি ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে মিশে যায়। ১৩শ শতকে মোঙ্গলদের আক্রমণে সেলজুক রাজবংশের পতন ঘটে। ১৩ শতকের শেষ দিকে এখানে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পত্তন হয়। এরা পরবর্তী ৬০০ বছর তুরস্ক শাসন করে এবং আনাতোলিয়া ছাড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্য, পূর্ব ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার এক বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সাম্রাজ্যটির পতন ঘটে।
১৯২৩ সালে উসমানীয় সাম্রাজ্যের তুর্কিভাষী এলাকা আনাতোলিয়া ও পূর্ব থ্রাস নিয়ে মুস্তাফা কেমাল (পরবর্তীতে কেমাল আতাতুর্ক)-এর নেতৃত্বে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৩৮ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতাতুর্ক তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি একটি শক্তিশালী, আধুনিক ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে তুরস্কের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সরকারের মূলনীতিগুলি কেমালবাদ নামে পরিচিত এবং এগুলি পরবর্তী সমস্ত তুরস্ক সরকারের জন্য নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করেছে। আতাতুর্কের একটি বিতর্কিত মূলনীতি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। কেমালের কট্টর অনুসারীরা মনে করেন ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে ধর্মের স্থান নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলির ধর্মীয় ইস্যু এড়িয়ে চলা উচিত।
১৯৫০-এর দশক থেকে রাজনীতিতে ধর্মের ভূমিকা তুরস্কের একটি বিতর্কিত ইস্যু। তুরস্কের সামরিক বাহিনী নিজেদেরকে কেমালবাদের রক্ষী বলে মনে করে এবং তারা ১৯৬০, ১৯৭১, ১৯৮০ এবং ১৯৯৭ সালে মোট চারবার তুরস্কের রাজনীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতার স্বার্থে হস্তক্ষেপ করেছে।
বাছাইকৃত নিবন্ধ -
আঙ্কারা (তুর্কি: Ankara; /ˈæŋkərə/ ANG-kə-rə, /[অসমর্থিত ইনপুট: 'USalso']ˈɑːŋ-/ AHNG-kə-rə; তুর্কি: [ˈaŋkaɾa] (ⓘ)) ঐতিহাসিকভাবে আঞ্চিরা ও অ্যাঙ্গোরা নামে পরিচিত, এটি তুরস্কের রাজধানী। আনাতোলিয়ার মধ্য অংশে অবস্থিত এই শহরের জনসংখ্যা সদরে ৫১ লাখ ও আঙ্কারা প্রদেশে ৫৭ লাখ, ইস্তাম্বুলের পরে এটি তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
গালাতিয়ার প্রাচীন সেল্টিক রাজ্যে (২৮০–৬৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), ও পরবর্তীতে একই নামের রোমান প্রদেশের (২৫ খ্রিস্টপূর্ব–৭ম শতাব্দী) রাজধানী হিসেবে শাসিত এই শহর অনেক পুরানো যেখানে বিভিন্ন হাট্টীয়, হিট্টীয়, লিডীয়, ফ্রিজীয়, গালাতীয়, গ্রিক, পারসিক, রোমান, বাইজেন্টাইন ও উসমানীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। শহরটিকে প্রথমে উসমানীয়রা আনাতোলিয়া এয়ালেত (১৩৯৩–১৫শ শতাব্দীর শেষের দিকে) এবং তারপর আঙ্কারা এয়ালেত (১৮২৭–১৮৬৪) ও আঙ্কারা ভিলায়েতের (১৮৬৭-১৯২২) রাজধানী করে তোলে। আঙ্কারার ঐতিহাসিক কেন্দ্র হলো একটি পাথুরে পাহাড়, এটি ১৫০ মিটার (৫০০ ফুট) উঁচু সাকারিয়া নদীর একটি উপনদী আঙ্কারা নদীর বাম তীরের উপরে অবস্থিত। পাহাড়টি আঙ্কারা কেল্লার ধ্বংসাবশেষের অবশেষ দ্বারা সাজানো। এর কিছু বহির্ভাগ টিকে থাকলেও শহর জুড়ে রোমান ও উসমানীয় স্থাপত্যের সুসংরক্ষিত উদাহরণ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো মনুমেন্টাম আঞ্চিরানামকে তুলে ধরা ২০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের রোমের অগাস্টাসের মন্দির, এর শিলালিপিতে রেস গেস্টাই ডিভি অউগুস্তি লেখা আছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)সাধারণ চিত্র
- ... আনাতকাবির (চিত্রে) একটি "ধর্মনিরপেক্ষ তীর্থস্থান"?
- ... ফিফার স্বীকৃতি অনুযায়ী দ্রাহশান আরদা ফুটবল ম্যাচ পরিচালনাকারী বিশ্বের প্রথম নারী রেফারি?
- ... হাসেকি সুলতান কমপ্লেক্স অটোম্যান স্থাপত্যবিদ মিমার সিনানের নকশায় নির্মিত প্রথম মসজিদ?
- ... আমবেরিন জামানকে রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান “... সাংবাদিকের ছদ্মবেশে একজন জঙ্গি” অভিহিত করেছিলেন?
- ... তুর্কি জাতীয়তাবাদের জনক হিসেবে অভিহিত জিয়া গোকাল্প উসমানীয়বাদ ও ইসলামবাদ উভয়কেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?
- ... ২৫১ সেন্টিমিটার (৮ ফু ৩ ইঞ্চি) উচ্চতাবিশিষ্ট সুলতান কোসেনকে সবচেয়ে লম্বা জীবিত পুরুষ হিসেবে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়?
- ... আর্থার কোনান ডয়েল রচিত শার্লক হোমসের প্রতি দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ এতো অনুরক্ত ছিলেন যে তিনি ডয়েলকে নিশানে মাজেদি পদকে ভূষিত করেছিলেন?
বাছাইকৃত চিত্র
বাছাইকৃত জীবনী -
মুস্তাফা ইসমত ইনোনু (তুর্কি উচ্চারণ: [isˈmet ˈinøny]; ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ – ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩) ছিলেন একজন তুর্কি জেনারেল ও রাজনীতিবিদ। মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের মৃত্যুর পর ১৯৩৮ সালের ১১ নভেম্বর তিনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতি হন। ১৯৫০ সালের ২২ মে পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এসময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপল'স পার্টি পরাজিত হয়। এছাড়াও তিনি ১৯২২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত চীফ অব দ্য জেনারেল স্টাফ ছিলেন। ১৯২৩ সাল থেকে ১৯২৪ সাল, ১৯২৫ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল এবং ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত তিন মেয়াদে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে দাপ্তরিক খেতাব মিল্লি সেফ (জাতীয় প্রধান) প্রদান করা হয়েছিল।
১৯৩৪ সালে পদবী আইন চালু হওয়ার পর তিনি ইনোনু পদবী গ্রহণ করেন। এর কারণ ইতিপূর্বে ১৯১৯ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত চলমান গ্রীক-তুর্কি যুদ্ধে তিনি ইনোনুতে তুর্কি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এসকল যুদ্ধ ইনোনুর প্রথম যুদ্ধ ও ইনোনুর দ্বিতীয় যুদ্ধ হিসেবে পরিচিতি পায়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)বাছাইকৃত ভিডিও -
"প্রবেশদ্বার:তুরস্ক/বাছাইকৃত ভিডিও/৫" নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই।
বাছাইকৃত উক্তি -
"প্রবেশদ্বার:তুরস্ক/উক্তি/আর্কাইভ/৩" নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই।
স্বীকৃত বিষয়বস্তু
প্রদেশ
বিষয়বস্তু
বিষয়শ্রেণী
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার
উইকিপ্রকল্প
তুর্কি উইকিপিডিয়া
এখানে উইকিপিডিয়া, একটি মুক্ত বিশ্বকোষের তুর্কি সংস্করণ রয়েছে। |
উইকিমিডিয়া
প্রবেশদ্বার