প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক
প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক একটি পদ যাতে আসীন ব্যক্তি কিছু রাষ্ট্র যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক আইন কার্যকর করার দায়িত্বে ছিলেন। প্রশাসকের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ নির্বাহী ক্ষমতা থাকে। সামরিক অভ্যুত্থানের পর সাধারণত সামরিক অফিসাররা এই পদ লাভ করেন। একই সাথে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ গ্রহণের উদাহরণও রয়েছে।
বাংলাদেশসম্পাদনা
বাংলাদেশে এই পদ লাভকারী ব্যক্তিরা হলেন:
- মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (১৯৭৫): একটি সামরিক অভ্যুথান সংঘটিত করার পর চার দিন এই পদে ছিলেন। এরপর কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত আরেকটি অভ্যুত্থানের পর নিহত হন।
- বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম (১৯৭৫–৭৬): বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় এই পদে ছিলেন।
- মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৭৬-৭৯): সামরিক আইন উঠিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।
- লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ (১৯৮২): ১৯৮২-১৯৮৬ পর্যন্ত সামরিক আইন জারিকৃত সময়ে এই পদে ছিলেন।
পাকিস্তানসম্পাদনা
পাকিস্তানে এই পদ লাভকারী ব্যক্তিরা হলেন:
- ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান (১৯৫৭–৫৮): পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জার অধীনে এই পদে ছিলেন।
- জেনারেল ইয়াহিয়া খান (১৯৬৮-৬৯): রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অধীনে এই পদে ছিলেন।
- জুলফিকার আলী ভুট্টো (১৯৭১-৭৩): বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পাকিস্তানে এই পদে থাকা প্রথম বেসামরিক ব্যক্তি।
- জেনারেল মুহাম্মদ জিয়াউল হক (১৯৭৭–৭৯): প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর রাষ্ট্রপতি ফজলে ইলাহি চৌধুরীর অধীনে এই পদে ছিলেন।
- জেনারেল পারভেজ মোশাররফ (১৯৯৯-২০০১): রাষ্ট্রপতি রফিক তারারের অধীনে এই পদে ছিলেন।[১]
ইন্দোনেশিয়াসম্পাদনা
ইন্দোনেশিয়ায় সেনাপ্রধান সুহার্তো সংক্ষিপ্তকাল এই পদে ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ক্ষমতা দখল করেন এবং রাষ্ট্রপতি সুকর্ণকে ১৯৬৭ সালে পদত্যাগে বাধ্য করেন। সুকর্ণও তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে সামরিক আইন জারি করেছিলেন।
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "A coup in Thailand"। Dawn। ২৩ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৪।