প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী
প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী (জন্ম ১৬ এপ্রিল ১৮৯৪ - মৃত্যু ৫ জুলাই ১৯৫৭) ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট বিপ্লবী ছিলেন।
প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী | |
---|---|
প্রতুলচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় | |
জন্ম | ১৬ এপ্রিল ১৮৯৪ |
মৃত্যু | ৫ জুলাই ১৯৫৭ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত (১৯৫৭ সাল পর্যন্ত) |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনেরর নায়ক |
রাজনৈতিক দল | স্বাধীনতার পুর্বে অনুশীলন সমিতি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, |
আন্দোলন | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
পিতা-মাতা |
|
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনানারায়ণগঞ্জের চাঁদপুরের নিকটবর্তী চালতাবাড়ি গ্রামে প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে নারায়ণগঞ্জ শাখায় অনুশীলন সমিতিতে বিপ্লবীজীবন শুরু করেন। নিষ্ঠা এবং কর্ম তৎপরতার জোরে নেতারূপে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। ১৯০৮-০৯ সালে বিপ্লবী প্রয়াসকে ব্যাপক করবার জন্য তিনি গৃহত্যাগ করেন।
বিপ্লবী কর্মজীবন
সম্পাদনাঢাকা শাখার অনুশীলন সমিতির প্রধান সংগঠক পুলিন বিহারি দাসকে গ্রেপ্তারের পর প্রতুলচন্দ্র গাঙ্গুলী এবং ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী অনুশীলন সমিতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সমিতি পুনর্গঠিত করেন। ১৯১৪ সালে বরিশাল ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁর বিচার হয় এবং তাঁকে দশ বছর দ্বীপান্তর কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল, যদিও এর আগে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯২৪ সালে পুনরায় গ্রেপ্তার হন। প্রতুল ঢাকা জেলা কংগ্রেস কমিটি, বেঙ্গল কংগ্রেস কমিটি এবং অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হন।[১] ১৯২৯ সালে ঢাকা শহর থেকে বেঙ্গল বিধানসভায় নির্বাচিত হন। ১৯৩০ সালে রাজশাহীতে বেঙ্গল প্রাদেশিক কংগ্রেস সন্মলনে সভাপতিত্ব করেন এবং পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে বিনাবিচারে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত আটক থাকেন। ১৯৩৯ সালে পূর্ববঙ্গ মিউনিসিপ্যাল নির্বাচন কেন্দ্র থেকে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে জেলে অনশন করে স্বাস্থ্য ভঙ্গ হওয়ায় সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে মুক্তি পান। এরপর সুভাষচন্দ্রের অন্তধ্যানের সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে আটক থাকেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় বসবাস করেন এবং ১৯৫৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ PeoplePill। "Pratul Chandra Ganguli: Indian revolutionary (1884-1957) - Biography and Life"। peoplepill.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৮।
- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ২৯২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬