পেন ইন্টারন্যাশনাল
পেন ইন্টারন্যাশনাল বা পি ই এন ইন্টারন্যাশনাল (২০১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল পেন নামে পরিচিত ছিল) [১] হলো লেখকদের একটি বৈশ্বিক বেসরকারি সংস্থা, যেটি ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে নোবেলজয়ী ইংরেজ কবি জন গ্যাল্সওয়ার্দির প্রচেষ্টায় লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [২] বিশ্বের সর্বত্র লেখকদের পারস্পরিক শখ্যতার এবং বুদ্ধিভিত্তিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়ার উদ্দেশ্য প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। সারা বিশ্বে ১০০ টিরও বেশি দেশে সংস্থাটির স্বশাসিত আন্তর্জাতিক পেন (পি ই এন) কেন্দ্র রয়েছে।
![]() | |
নীতিবাক্য | Poets (কবি), Essayists(প্রাবন্ধিক) এবং Novelists (ঔপন্যাসিক) |
---|---|
গঠিত | ১৯২১ |
ধরন | এনজিও |
উদ্দেশ্য | সাহিত্যের প্রচার এবং বিশ্বব্যাপী মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা |
সদরদপ্তর | লন্ডন |
যে অঞ্চলে কাজ করে | আন্তর্জাতিক |
প্রেসিডেন্ট | বুরহান সোনমেজ |
ওয়েবসাইট | www |
পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বিশ্ব সংস্কৃতির বিকাশে সাহিত্যের ভূমিকার উপর জোর দেওয়া; মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা এবং স্বাধীন মতামতের জন্য হয়রানি, কারাদন্ড বা প্রাণ হানির ঘটনা ঘটলে নিহত লেখকদের পক্ষে প্রতিবাদী শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা সংগঠনটির লক্ষ্য।
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রথম পেন ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ৫ই অক্টোবর ফ্লোরেন্সের এক রেস্তেরায় [৩] যে সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্যাথরিন এমি ডসন স্কট,জন গ্যালসওয়ার্দি। জন গ্যালসওয়ার্দি প্রথম সভাপতি হন। প্রাথমিক সদস্যরা ছিলেন - জোসেফ কনরাড , এলিজাবেথ ক্রেগ , জর্জ বার্নার্ড শ' এবং এইচজি ওয়েলস।
পেন ইন্টারন্যাশনাল মূলত, কবি (Poets), প্রাবন্ধিক (Essayists), ঔপন্যাসিক (Novelists) দের নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তাই আদ্যক্ষর নিয়ে সংস্থার নাম পেন ক্লাব (PEN Club) রাখা হয়েছিল। পরে অবশ্য কবি (Poets), নাট্যকার (Playwrights), সম্পাদক (Editors), প্রাবন্ধিক (Essayists), ঔপন্যাসিক (Novelists) যুক্ত হন এবং এদের সাথে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও ঐতিহাসিক সাহিত্যের সঙ্গে যুক্তরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।।
সংগঠনের স্থিরীকৃত লক্ষ্যগুলি নিম্নরূপ:
- পারস্পরিক বৌদ্ধিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া প্রচার করা।
- বিশ্ব সংস্কৃতির বিকাশে সাহিত্যের ভূমিকার উপর জোর দেওয়া এবং লেখকদের একটি বিশ্বগোষ্ঠী তৈরি করা।
- মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা এবং আধুনিক বিশ্বে স্বাধীন মতামতের জন্য হয়রানি, কারাদন্ড বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে নিহত লেখকদের পক্ষে প্রতিবাদী শক্তিশালী ভূমিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করা তথা সাহিত্যকে রক্ষা করা।
স্মৃতিসৌধসম্পাদনা
সদস্যরাসম্পাদনা
- হোমরো আরিদজিস
- জোসেফ কনরাড
- এলিজাবেথ ক্রেগ
- জর্জ বার্নার্ড শ'
- এইচজি ওয়েলস
- হেনরিক বোল
প্রেসিডেন্টসম্পাদনা
পেন ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট | ||
---|---|---|
জন গ্যালসওয়ার্দি | ১৯২১-১৯৩২ | |
এইচ জি ওয়েলস | ১৯৩২-১৯৩৫ | |
জুলস রোমেনস | ১৯৩৬-১৯৩৯ | |
যুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতি কমিটি: ডেনিস সাউরাত, ফ্রাঙ্কোইস মারিয়াক, থর্নটন ওয়াইল্ডার, হু শিহ | ১৯৪১-১৯৪৬ | |
ই.এম. ফরস্টার | ১৯৪৬-১৮৪৭ | |
মরিস মেটারলিঙ্ক | ১৯৪৭-১৯৪৯ | |
বেনেদেত্তো ক্রোস | ১৯৪৯-১৯৫৩ | |
চার্লস ল্যাংব্রিজ মরগান | ১৯৫৪-১৯৫৬ | |
আন্দ্রে চ্যামসন | ১৯৫৭-১৯৫৯ | |
আলবার্তো মোরাভিয়া | ১৯৬০-১৯৬২ | |
ভিক্টর ই. ভ্যান ভ্রিসল্যান্ড | ১৯৬৩-১৯৬৫ | |
আর্থার মিলার | ১৯৬৬-১৯৬৯ | |
পিয়ের ইমানুয়েল | ১৯৭০-১৯৭১ | |
হেনরিক বোল | ১৯৭২-১৯৭৩ | |
ভিএস প্রিচেট | ১৯৭৪-১৯৭৬ | |
মারিও ভার্গাস লোসা | ১৯৭৭-১৯৭৯ | |
প্রতি Wästberg | ১৯৭৯-১৯৮৬ | |
ফ্রান্সিস কিং | ১৯৮৬-১৯৮৯ | |
রেনে ট্যাভার্নিয়ার | মে-নভেম্বর ১৯৮৯ | |
Per Wästberg (অন্তবর্তীকালীন) | নভেম্বর ১৯৮৯ - মে ১৯৯০ | |
জিওর্গি কনরাড | ১৯৯০-১৯৯৩ | |
রোনাল্ড হারউড | ১৯৯৩-১৯৯৭ | |
হোমরো আরিদজিস | ১৯৯৭-২০০৩ | |
জিরি গ্রুসা | ২০০৩-২০০৯ | |
জন রালসটন শৌল | ২০০৯-২০১৫ | |
জেনিফার ক্লিমেন্ট | ২০১৫-২০২১ | |
বুরহান সনমেজ | ২০২১- |
আরো দেখুনসম্পাদনা
- কারাবন্দী লেখকের দিন
- ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন এক্সচেঞ্জ
- বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১৪৫টিও বেশি কেন্দ্র আছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রগুলি হল-
- ইংরেজি পেন - লন্ডনে অবস্থিত পেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্র
- পেন আমেরিকা - নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত।
- পেন কানাডা - কানাডার টরন্টোতে অবস্থিত।
- সিডনি পেন – অস্ট্রেলিয়ার তিনটি পেন কেন্দ্রের মধ্যে একটি, সিডনিতে অবস্থিত।
- পেন সেন্টার জার্মানি - ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত।
- হাঙ্গেরিয়ান পেন ক্লাব - ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত।
- পেন ইউক্রেন - ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত।
- পেন অল ইন্ডিয়া সেন্টার - ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে বর্তমানে মুম্বাইতে প্রতিষ্ঠিত।[৪]
- পেন সাহিত্য পুরস্কার - সারা বিশ্বের পেন কেন্দ্রগুলির দ্বারা এবং একযোগে পুরস্কৃত।
- তিউনিসিয়া মনিটরিং গ্রুপ
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "Our History"। PEN International। ১০ নভেম্বর ১৯৯৫। ১৬ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Robert Halsband (১০ জানুয়ারি ১৯৬৮)। "LeRoi Jones Sentence – Free Preview"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ "The First International Club of Writers", by C. A. Dawson Scott, in The Literary Digest International Book Review (November, 1923) p. 47
- ↑ "Pen International"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৩।
গ্রন্থপঞ্জিসম্পাদনা
- Mauthner, Martin (২০০৭)। German Writers in French Exile, 1933–1940 (1st publ. সংস্করণ)। Valentine Mitchell। আইএসবিএন 978-0-85303-540-4।.