পেদ্রো আলমোদোবার

স্পেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, ও চিত্রনাট্যকার

পেদ্রো আলমোদোবার কাবেয়েরো (স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈpeðɾo almoˈðoβaɾ kaβaˈʝeɾo]; জন্ম: ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯) হলেন একজন স্পেনীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক ও অভিনেতা। ফ্রঁসোয়া স্পেন যুগ পরবর্তী সময়ে তিনি লা মোভিদা মাদ্রিয়েনা চলচ্চিত্র পরিচালনা ও চিত্রনাট্য রচনা করে প্রথম পরিচিতি অর্জন করেন। এই সময়কালে তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোতে যৌনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতার চিত্রায়ন ঘটে। ১৯৮৬ সালে তিনি তার ছোট ভাই অগাস্তিন আলমোদোভারের সাথে নিজের প্রযোজনা কোম্পানি, এল দেসেও, গঠন করেন। ল অব ডিজায়ার (১৯৮৭) চলচ্চিত্রের পর থেকে তার সকল চলচ্চিত্রগুলো এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্মিত হয়।

পেদ্রো আলমোদোবার
Pedro Almodóvar
২০১৭ সালে সেজার পুরস্কারে আলমোদোবার
জন্ম
পেদ্রো আলমোদোবার কাবেয়েরো

(1949-09-25) ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ (বয়স ৭৪)
চুদাদ রিয়াল, স্পেন
জাতীয়তাস্পেনীয়
পেশাপরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, অভিনেতা
কর্মজীবন১৯৭৪-বর্তমান
ওয়েবসাইটpedroalmodovar.es

আলমোদোভারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে সফল স্পেনীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি এবং তার চলচ্চিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী দর্শকদের আকৃষ্ট করে এবং তা কাল্ট সংস্কৃতিতে পরিণত হয়। তিনি দুটি একাডেমি পুরস্কার, পাঁচটি বাফটা পুরস্কার, ছয়টি ইউরোপীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, নয়টি গয়া পুরস্কার এবং কান চলচ্চিত্র উৎসব হতে চারটি পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ফরাসি লেজিওঁ দনর সম্মাননা লাভ করেন এবং পরে ১৯৯৯ সালে স্পেনীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শিল্পকলা স্বর্ণ পদক লাভ করেন। ২০০১ সালে তিনি আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের বিদেশি সম্মানসূচক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।[১] শিল্পকলায় তার অবদানের জন্য তিনি ২০০৯ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি[২] এবং ২০১৬ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] ২০১৩ সালে তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য সম্মানসূচক ইউরোপীয় চলচ্চিত্র একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[৪] ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি সভাপতি নির্বাচিত হন।[৫]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আলমোদোবারের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র দোলোর ই গ্লোরিয়া ২০১৯ সালের ২২শে মার্চ মুক্তি পায়। এটি পরিবেশনা করে সনি পিকচার্স রিলিজিং[৬] চলচ্চিত্রটি ২০১৯ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাল্ম দরের জন্য প্রতিযোগিতা করে,[৭][৮] এবং ৯২তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেন থেকে নিবেদন করা হয়।[৯][১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Book of Members, 1780-2010: Chapter A" (পিডিএফ)। American Academy of Arts and Sciences। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "Ten honorary degrees awarded at Commencement"হার্ভার্ড গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ৪ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. মার্টিনেজ, লুইস (২৯ মার্চ ২০১৬)। "Pedro Almodóvar, doctor honoris causa por Oxford"এলমুন্দো (স্পেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "Winners 2013"ইউরোপীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। European Film Academy। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. "Pedro Almodóvar President of the Jury of the 70th Festival de Cannes"কান। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. মারি দে লা ফেন্তে, আন্না (ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮)। "Sony Pictures to Release Pedro Almodovar's 'Pain & Glory' (EXCLUSIVE)"ভ্যারাইটি। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  7. "Bong Joon-ho's Parasite Wins the Palme d'Or at Cannes"ভ্যারাইটি। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  8. "Bong Joon-ho's Parasite wins Palme d'Or at Cannes film festival"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  9. জিমেনেস, জেসুস (৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "'Dolor y gloria', de Pedro Almodóvar, representará a España en los Oscar 2020"আরটিভিই (Spanish ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  10. জোন্স, বেঞ্জামিন (৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Oscars: Spain Picks Pedro Almodovar's 'Pain and Glory' for International Feature Category"দ্য হলিউড রিপোর্টার। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা