পেট্রাপোল স্থলবন্দর
পেট্রাপোল স্থলবন্দর[১][২] হল ভারত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত একটি স্থল বন্দর। এই স্থল বন্দরটি ভারত তথা এশিয়া এর মধ্যে বৃহত্তম। এই বন্দরটি বনগাঁ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পেট্রাপোল এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। বর্তমানে এই বন্দরে একটি সু-সংহত চেকপোষ্ট গড়ে উঠেছে।[৩] ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি এই স্থলবন্দর দ্বারা সংগঠিত হয়|
পেট্রাপোল স্থলবন্দর | |
---|---|
পেট্রাপোল স্থলবন্দরে যাত্রী পাড়াপার | |
অবস্থান | |
দেশ | ![]() |
অবস্থান | পেট্রাপোল, বনগাঁ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ |
বিস্তারিত | |
পরিচালনা করে | ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ |
মালিক | ভারত সরকার |
পোতাশ্রয়ের ধরন | স্থলবন্দর |
আমদানি দ্রব্য | তৈরি পোশাক, তুলো ন্যাকড়া, ব্রিফকেস, ব্যাগ, পাটের সুতা, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড |
রপ্তানি দ্রব্য | সুতি কাপড়, চ্যাসিস, কাঁচা তুলা, ইস্পাত/লৌহ রাসায়নিক/রঞ্জক, সিন্থেটিক কাপড়, ২/৪-চাকার গাড়ি খাদ্যশস্য |
ট্রাক সংখ্যা | আগমন ৩০০টি (বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে) প্রস্থান ৪০০টি (ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে) |
পরিসংখ্যান | |
বার্ষিক কার্গো টন | ১,০৬,৩৩৪ টন (২০২০-২০২১) |
যাত্রী গমনাগমন | ১,৯৪,৫৩০ জন (২০২০-২০২১) |
এই স্থলবন্দর দ্বারা ২০২০-২০২১ সালে ১,০৬,৩৩৪ টন পণ্য ১,৯৪,৫৩০ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছিল।[৪]
আমদানি-রপ্তানি
সম্পাদনাভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বেশির ভাগ বাণিজ্য এই বন্দরের দ্বারা হয়।এই বন্দর থেকে প্রতি দিন প্রায় ৪০০ টি ট্রাক বাংলাদেশ যায় এবং প্রায় ২৫০-৩০০ টি ট্রাক প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল স্থলবন্দর এর দ্বারা ভারতে প্রবেশ করে।এই স্থলবন্দরের প্রধান আমদানি পণ্য হল পাট ও ইলিশ মাছ।রপ্তানি দ্রব্য হল যন্ত্রপাতি ,গাড়ি , রাসায়নিক দ্রব্য, খনিজ তেল প্রভৃতি।বন্দরটি দিয়ে প্রায় ₹ ৫০০ কোটি (ইউএস$ ৬১.১২ মিলিয়ন) টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য হয়।
সু-সংহত চেকপোষ্ট
সম্পাদনাপেট্রাপোল স্থলবন্দরের পণ্য ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ দিন দিন বাড়ছিল। ফলে সুষ্ঠু ভাবে বন্দর পরিচালনার জন্য একটি নতুন সু-সংহত চেকপোষ্ট নির্মাণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ফলে পেট্রাপোল বন্দরে একটি সু-সংহত চেকপোষ্ট গড়া হয়েছে। এই চেকপোষ্টটি চালু করা হয় ২০১৬ সালে। এখানে মোট ৯০০ টি ট্রাক পণ্য দ্রব্য নিয়ে দাঁড়াতে পাড়বে। এটি নির্মাণে মোট ৪২ একর জমির প্রয়োজন হয়েছে। চেক পোষ্টটিতে ৩০০ জন বিএসএফ নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে আছে। সু-সংহত চেকপোষ্ট এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশ এর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন"। শ্যামল বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১৫-১২-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Petrapole Benapole Logistics (PBL)"। সংগ্রহের তারিখ ১৫-১২-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "পেট্রাপোলে 'সু-সংহত চেকপোস্টের' পরীক্ষামূলক উদ্বোধন"। বংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১৫-১২-২০১৬। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "ICP Petrapole at a Glance"। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২।