পৃথিবীর গোলার্ধ
পৃথিবীর গোলার্ধ শব্দ যুগল ভূগোল এবং মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যায় ব্যবহৃত হয়; এর দ্বারা পৃথিবীকে দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়। গোলার্ধ শব্দটির উত্পত্তি প্রাচীন গ্রীক শব্দ "ἡμισφαίριον" হতে, যা প্রাচীন ল্যাটিন শব্দ "hēmisphairion"-কে নির্দেশ করে; এর অর্থ 'একটি গোলকের অর্ধেক' ("half of a sphere")।
অক্ষাংশ বা দ্রাঘিমাংশ চিহ্নিতকরণের দ্বারা এই জাতীয় বিভাগগুলি সবচেয়ে সাধারণভাবে প্রদর্শন করা হয়:[১]
- উত্তর–দক্ষিণ
- উত্তর গোলার্ধ : নিরক্ষরেখার উত্তরের অর্ধাংশ,
- দক্ষিণ গোলার্ধ : নিরক্ষরেখার দক্ষিণের অর্ধাংশ।
- পূর্ব–পশ্চিম
- পূর্ব গোলার্ধ : মূল মধ্যরেখার পূর্বে এবং ১৮০তম দ্রাঘিমার পশ্চিমে অবস্থিত অর্ধাংশ,
- পশ্চিম গোলার্ধ : মূল মধ্যরেখার পশ্চিমে এবং ১৮০তম দ্রাঘিমার পূর্বে অবস্থিত অর্ধাংশ।
পূর্ব – পশ্চিমে বিভক্তিকে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখা হয়, এর ফলে এদেরকে দুইটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গোলার্ধে বিভক্ত করা যায়।
যাইহোক, অন্যান্য বিভক্তিগুলির মধ্যে এই গ্রহটিকে তার প্রধান গঠনকারী ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়:
- জল–স্থল[২]
- জল গোলার্ধ : পৃথিবীর সম্ভাব্য জলীয় আধারের অর্ধাংশ,
- স্থল গোলার্ধ : পৃথিবীর সম্ভাব্য স্থল আধারের অর্ধাংশ।
সূর্যের উদয়াস্ত অনুসারে পৃথিবীকে দিন এবং রাত - এই দুই গোলার্ধে বিভক্ত করা যেতে পারে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Hemisphere"। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Boggs, S. W. (১৯৪৫)। "This Hemisphere"। Journal of Geography। ৪৪: ৩৪৫–৩৫৫। ডিওআই:10.1080/00221344508986498। অজানা প্যারামিটার
|ইস্যু=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে পৃথিবীর গোলার্ধ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।