পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)
পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের একটি কমিউনিস্ট পার্টি। পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি বিভক্ত হয়ে ১৯৬৬ সালে এই দলটির উত্থান ঘটে। সুখেন্দু দস্তিদার ইপিসিপি (এম-এল) এর সাধারণ সম্পাদক হন।[১] শুরুতে এই দলের প্রধান নেতৃত্বে ছিলেন সুখেন্দু দস্তিদার, মোহাম্মদ তোয়াহা এবং আবদুল হক।[২]
পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) | |
---|---|
সংক্ষেপে | সিপিইপি |
সাধারণ সম্পাদক | সুখেন্দু দস্তিদার |
প্রতিষ্ঠাতা | সুখেন্দু দস্তিদার |
প্রতিষ্ঠা | ১৯৬৬ |
বিভক্তি | পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, ১ম কংগ্রেস |
ভাবাদর্শ | সাম্যবাদ মার্কসবাদ–লেনিনবাদ মাও সেতুং চিন্তাধারা |
রাজনৈতিক অবস্থান | বামপন্থী |
আনুষ্ঠানিক রঙ | লাল |
পাকিস্তানের রাজনীতি |
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে দুটি পৃথক ইপিসিপি (এম-এল) গঠিত হয়েছিল, একটি তোয়াহার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ইপিসিপি (এম-এল) যা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) নাম গ্রহণ করে এবং অন্যটির নেতৃত্বে আবদুল হকের নেতৃত্বে বিবর্তিত হয়েছিল।[৩] মোহাম্মদ তোয়াহার দল চারু মজুমদারের শ্রেণিশত্রু খতমের আদর্শের নিন্দা করেছিল।[৪]
গঠনের ইতিহাস
সম্পাদনাবদরউদ্দিন উমরের মতে, ১৯৪৭ এর পরবর্তী প্রথম দিকে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্টপন্থী ব্যক্তিবর্গ প্রাথমিকভাবে পূর্ব পাকিস্তান যুবলীগে যোগ দেন।[৫] পরবর্তীতে আবদুল হক, সুখেন্দু দস্তিদার ও মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে ১৯৬৭ সালে গড়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল)।[৬] ১৯৬৭ সালে ১-৩ অক্টোবর ১ম কংগ্রেসে মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, মাও সেতুং এর চিন্তাধারাকে আদর্শিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার, কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১ম কংগ্রেসে ৯ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। সদস্যবৃন্দ ছিলেন,
- সুখেন্দু দস্তিদার—সাধারণ সম্পাদক,
- মোহাম্মদ তোয়াহা - সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য,
- আবদুল হক- সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য,
- দেবেন শিকদার - সদস্য,
- অজয় ভট্টাচার্য - সদস্য,
- আলাউদ্দিন আহামেদ- সদস্য,
- শরদিন্দু দস্তিদার - সদস্য,
- নজরুল ইসলাম- সদস্য,এবং
- হাবিবুর রহমান - সদস্য।
উক্ত প্রথম কংগ্রেসে সর্বপ্রথম ‘স্বাধীন সার্বভৌম জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা রাষ্ট্র কায়েম’-এর প্রস্তাব দেবেন শিকদার উপস্থাপন করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।[৭]
ভাঙ্গন
সম্পাদনা১৯৭২ সনের শুরুতে পার্টিতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। সুখেন্দু দস্তিদার ও মোহাম্মদ তোয়াহা নেতৃত্বে একটি অংশ সংগঠিত হয়। অন্য অংশের নেতৃত্ব দিতে থাকেন আবদুল হক, শরদিন্দু দস্তিদার, অজয় ভট্টাচার্য এবং হেমন্ত সরকার।[২]
১৯৭৮ সালে হকের দল বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) নামটি গ্রহণ করে।[৮]
উল্লেখযোগ্য সদস্যবৃন্দ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Amin, Md. Nurul (জুলাই ১৯৮৬)। "Maoism in Bangladesh: The Case of the East Bengal Sarbohara Party"। Asian Survey। University of California Press। 26 (7): 759–773। জেস্টোর 2644210। ডিওআই:10.2307/2644210।
- ↑ ক খ হোসেন, আমজাদ (১৯৮৯)। "পূর্ব বাংলায় নকশাল আন্দোলনের প্রভাব"। নকশালবাড়ি আন্দোলনের প্রামাণ্য তথ্য সংকলন (প্রথম প্রকাশ সংস্করণ)। পৃষ্ঠা ১৮৮–১৯২।
- ↑ Rashiduzzaman, M. (ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। "Bangladesh 1978: Search for a Political Party"। Asian Survey। University of California Press। 19 (2): 191–197। জেস্টোর 2643785। ডিওআই:10.2307/2643785।
- ↑ Alim, Syed Fattahul (১ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Has Left Politics any Future?"। Forum। 6 (2)। দ্য ডেইলি স্টার। ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৬।
- ↑ বদরুদ্দিন ওমর পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, তৃতীয় খন্ড ১৯৮৪, পৃষ্ঠা নং ২১৪-২১৫
- ↑ ইসলাম, এমাদ উল্লাহ শহিদুল (২০১৩-১২-২২)। "সম্পাদকীয়-আপসহীন সংগ্রামের এক প্রতিচ্ছবি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড।
- ↑ প্রতিনিধি, জেলা (২০১২-০১-০৯)। "ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী দেবেন সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০৬।
- ↑ সালেহ আতহার খান (২০১২)। "হক, আবদুল২"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |