পূর্ব তিমুরের খেলাধুলা

পূর্ব তিমুর তুলনামূলকভাবে নতুন একটি দেশ। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হওয়ার ফলে এদেশে পেশাদার পর্যায়ে ক্রীড়াবিষয়ক কার্যক্রম খুবই সীমিত। তবুও তারা একাধিক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।

পূর্ব তিমুরের জনপ্রিয় মোরগ লড়াই , দর্শকদের মনোযোগই জানান দেয় তারা এ খেলাটা কতটা ভালোবাসে ।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদনা

পূর্ব তিমুর বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক খেলাধুলা সমিতির অংশ, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। পূর্ব তিমোরেস অলিম্পিক কমিটি (সিওটিএল) নামে পূর্ব তিমুরকে আইওসি বোর্ড স্বীকৃতি প্রদান করেছে। আইওসি পূর্ব তিমুরের চার সদস্যের একটি প্রতীকী দলকে ২০০০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসে "স্বতন্ত্র অলিম্পিক অ্যাথলেট" হিসেবে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।[১] পরবর্তীতে ফেদারেসাও তিমর-লেস্তে দে আতলেতিসমো হিসেবে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনে (আইএএএফ) যোগদান করে। ফেদারেসাও দে ব্যাডমিন্টন দে তিমর-লেস্তে এপ্রিল ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে (আইবিএফ) যোগদান করে। ইউনিয়ন সাইক্লিস্ট ইন্টারন্যাশনালে পূর্ব তিমুর সাইক্লিং ফেডারেশন হিসেবে যোগদান করে। আন্তর্জাতিক ভারোত্তোলন ফেডারেশনে কনফেদারেসাও দে দেসপোর্তিভো দে তিমর-লেস্তে নামে যোগদান করে। পূর্ব তিমুর আন্তর্জাতিক টেবিল-টেনিস ফেডারেশনেরও (আইটিটিএফ) একটি সদস্য। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে, ফিফায় পূর্ব তিমুরের জাতীয় ফুটবল দল যোগদান করে। ২০১৩ সালে, পূর্ব তিমুরের জাতীয় বাস্কেটবল দল ফিবাতে যোগদান করে।

আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীটায় অংশগ্রহণ সম্পাদনা

ইতিমধ্যে পূর্ব তিমুর একাধিক আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। যদিও ক্রীড়াবিদরা এপর্যন্ত কোন পদক জয়লাভ করতে পারেননি, পূর্ব তিমুরের ক্রীড়াবিদরা ২০০৩ সালে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত ২০০৩ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গেমসে দক্ষিণ- পূর্ব এশীয় ক্রীড়াবিদদের সাথে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পেয়েছিল। ২০০৩ সালের ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত এশিয়ান প্যারালিম্পিকস গেমসেও পূর্ব তিমুর একটি ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করতে সমর্থ হয়েছিল। এথেন্সে অনুষ্ঠিত ২০০৪ অলিম্পিক গেমসে ছয়জন ক্রীড়াবিদ তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিল; যেগুলো হচ্ছে: অ্যাথলেটিকস, ভারোত্তোলন এবং বক্সিং। ২০০৫ সালে, পূর্ব তিমুর আরনিসে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গেমসে তিনটি পদক জয়লাভ করেছিল। পূর্ব তিমুর প্রথম লসোফনি গেমসে প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল, যেখানে মহিলা ভলিবল দল ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করেছিল; উক্ত প্রতিযোগিতা তিনটি দলের মধ্যে হয়েছিল এবং পূর্ব তিনটি ম্যাচেই হেরেছিল। ৩০শে অক্টোবর ২০০৮ সালে, পূর্ব তিমুর এক ফুটবল ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ২–২ ড্র করে প্রথম আন্তর্জাতিক পয়েন্ট অর্জন করেছিল।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Summer Olympics 2000 East Timor's tiny team gets warm welcome"ESPN Internet Ventures। ১৮ অক্টোবর ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০০৯ 
  2. "World's worst soccer team thrilled to get first tie"Reuters। ৩০ অক্টোবর ২০০৮। ২ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। With 2–2 finish vs. Cambodia, East Timor finally has reason to celebrate