পূর্ববঙ্গ ও আসাম আইন পরিষদ

পূর্ববঙ্গ ও আসাম আইন পরিষদ[১] ছিলো ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ পূর্ববঙ্গ এবং আসামের আইন পরিষদ যা বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতকে নিয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিলো। এর সদরদপ্তর প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকার গভর্নমেন্ট হাউসে অবস্থিত ছিলো। এর পদাধিকারী প্রধান ছিলেন পূর্ব বাংলা ও আসামের লেফটেন্যান্ট গভর্নর।[২]

পূর্ববঙ্গ ও আসাম আইন পরিষদ
প্রতীক বা লোগো
ধরন
ধরন
ইতিহাস
শুরু১৮ ডিসেম্বর ১৯০৬ (1906-12-18)
বিলুপ্তি১৮ মার্চ ১৯১২ (1912-03-19)
পূর্বসূরীবঙ্গীয় আইন পরিষদ
উত্তরসূরীআসাম আইন পরিষদ
বঙ্গীয় আইন পরিষদ
আসন৪১
সভাস্থল
Old Highcourt Bhaban (1).JPG
পূর্ববঙ্গ ও আসামের রাজধানী ঢাকার গভর্মেন্ট হাউস (বর্তমান নাম পুরাতন হাইকোর্ট ভবন)

সংবিধানসম্পাদনা

ভারতীয় পরিষদ আইন ১৮৯২-এর অধীনে প্রথম আইন পরিষদ গঠিত হয়েছিল। লেফটেন্যান্ট গভর্নর জেলা বোর্ড, পৌরসভা, জমিদার ও চেম্বার অফ কমার্সের সুপারিশ থেকে সদস্যদের সুপারিশ করেন। মনোনীতদের নিয়োগের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ভারতের ভাইসরয়ের সম্মতি প্রয়োজন ছিলো। পরিষদের বাজেট নিয়ে আলোচনা করার ও সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার অধিকার ছিল, কিন্তু ভোট দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য ছিলেন ইউরোপীয়, সংখ্যালঘু ছিল স্থানীয় ভারতীয় প্রজা।[৩]

মোর্লে-মিন্টো সংস্কারসম্পাদনা

জন মোর্লে ও লর্ড মিন্টো কর্তৃক প্রণীত ভারতীয় পরিষদ আইন ১৯০৯, আংশিকভাবে নির্বাচিত আইন পরিষদের সূচনা করেছিল। এই সংস্কারের ফলে দেশীয় বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি পায়। এই সংস্কারে ভোটের অধিকার পেয়েছিলো জমির মালিকরা। ইতিবাচক পদক্ষেপের অংশ হিসাবে মুসলিমদের একটি পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর অধিকার দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় পরিষদ আইন, ১৮৬১, ১৮৯২ ও ১৯০৯ এর বিধানগুলোর অধীনে আইন ও প্রবিধান তৈরির উদ্দেশ্যে আইনসভা পরিষদ একত্রিত হয়েছিল। এটি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কার্যনির্বাহী পরিষদকে পরামর্শ দেয়।[৪][৩]

সদস্যপদসম্পাদনা

মোর্লে-মিন্টো সংস্কারের পর পরিষদে ৪১ জন সদস্য অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর ধারনাটি নিম্নলিখিতটিতে চিত্রিত করা হয়েছে।[৫]

ভৌগোলিক অন্তর্ভুক্তিসম্পাদনা

বৃহৎ জনসংখ্যার কারণে পরিষদে পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে বেশি আসন ছিল। ঔপনিবেশিক আসাম, যা ভারতের আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যগুলো নিয়ে গঠিত ছিলো; সেগুলো স্বল্প জনসংখ্যার কারণে ৪১ সদস্যের কাউন্সিলে ৫টি আসন পায়।

আরো দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Hamlet Bareh (২০০১)। Encyclopaedia of North-East India: Assam। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 271। আইএসবিএন 978-81-7099-789-4 
  2. "The Parliament of Assam, India"Commonwealth Parliamentary Association। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Bengal Legislative Council"Banglapedia 
  4. Ilbert, Sir Courtenay Peregrine (1907). "Appendix II: Constitution of the Legislative Councils under the Regulations of November 1909", in The Government of India. Clarendon Press. pp. 432-5.
  5. J. H. Broomfield (১৯৬৮)। Elite Conflict in a Plural Society: Twentieth-century Bengal। University of California Press। পৃষ্ঠা 38। GGKEY:PGQKZ3RNLLG।