পুঠিয়া ইউনিয়ন

রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন

পুঠিয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১][২]

পুঠিয়া
ইউনিয়ন
পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলারাজশাহী জেলা
উপজেলাপুঠিয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
আয়তন
 • মোট১৭ বর্গকিমি (৭ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)
 • মোট২০,৮৬৯
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,২০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

পুঠিয়া ইউনিয়নের ইতিহাস সম্পাদনা

১ নং পুঠিয়া ইউপির ১৯৬২ সালে স্থাপিত করা হয়। প্রস্তুতকালে এটি একটি টিনের ছাউনি বিশিষ্ট চৌচালা ভবন ছিল। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলা কালে পাকিস্তানি পাকবাহিনী ও দেশীয় রাজাকার এর যোগ সারসে ভবনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতা পরবর্তি এটিকে তিন কক্ষ বিষিষ্ট একটি ছাদের ঘর তৈরি করা হয়। যা একতলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স ভবনে উন্নিত করা হয়।

প্রত্ততাত্তিক নিদর্শন সম্পাদনা

হাওয়াখানা সম্পাদনা

কীভাবে যাওয়া যায়ঃ ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কে তারাপুর মোড় হতে দক্ষিণ দিকে হেঁটে অথবা রিক্সা ভ্যানে করে যাওয়া যায়।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ঢাকা রাজশাহী মহাসড়কের তারাপুর মোড় হতে দক্ষিণে তারাপুর গ্রামে হাওয়াখানা অবস্থিত।হাওয়াখানার চারপার্শ্বে দিঘী। এটি একটি সুন্দর তেতলা ভবন। ১ম তলা পানির মধ্যে। ২য় ও ৩য় তলা পানির উপরে। পুঠিয়ার রাজাগণ গ্রীস্মকালে হাওয়খানায় শরীর ও মন ঠান্ডা করতেন।

ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পাদনা

পুঠিয়া ইউনিয়নে সাধারনত দুই ভাষার মানুষ বসবাস করে।

  1. বাংলা
  2. আদিবাসি বা পাহাড়ী ভাষাঃ যা সাঁওতালি ভাষা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পাদনা

রাজশাহী জেলা শহর থেকে,রাজশাহী ঢাকা মহাশড়ক বেয়ে পূর্ব দিকে ৩১ কি:মি: এ পুঠিয়া উপজেলার প্রান কেন্দ্র ১ নং পুঠিয়া ইউনিয়নে সহজেই যাতায়াত করা যায়। রাজশাহী জেলা শহর থেকে মাত্র ২৫ টাকা গাড়ি ভাড়ায় রাত দিন ২৪ ঘণ্টা যাতায়াত করা যায়।

অত্র ইউপিতে মোট

কাঁচা রাস্তা ৬৫ কিলোমিটার

পাকা রাস্তা ১০ কিলোমিটার

কালভাট ১৪৮টি

শিক্ষা সম্পাদনা

মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯টি

  • কান্দ্রা দাখিল মাদ্রাসা
  • কান্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • দৈপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • তারাপুর এবতে দায়ী মাদ্রাসা
  • কান্দ্রা হাফিজিয়া মাদ্রাস
  • কান্দ্রা এবতেদায়ি মাদ্রাসা
  • কান্দ্রা কারবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শিক্ষার হার ৬৫%

লোক সংখ্যা সম্পাদনা

মৌজা ৯ টি গ্রামঃ ০৫টি

লোক সংখ্যাঃ ২০৮৬৯জন

পুরুষ ১০৮৮৯ জন

মহিলা ৯৯৮০জন

হত দরিদ্র লোক ১০৩ জন

ভোটার সংখ্যা ১০২২০জন পুরুষ ৫০৫০জন নারী ৫১৭০জন।

কৃষি বিষয়ক তথ্য সম্পাদনা

মোট জমিঃ ১৫,০০০বিঘা। প্রধান ফসলঃ ধান, গম, আখ, আম, কলা, পেঁপেঁ, পেয়াজ, রসুন, পেয়ারা ইত্যাদি।

খাল ও নদী সম্পাদনা

পুঠিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণে নারদ নদ নামে একিটি নদির সন্ধান পাওয়া গিয়াছে। যাহা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বর্তমান সরকারের নদী খননসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তা পুন সংস্কার করা শুরু হয়েছে এবং চলমান আছে কিছ। যাহা ইউনিয়নের ৫, ৬, ও ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের যথাক্রমে কান্দ্রা ও বারইপাড়া গ্রামের উপর দিয়ে নারদ নদটি বয়ে চলেছে।

হাট বাজার সম্পাদনা

রাজশাহী জেলার অন্তর্গত পুঠিয়া উপজেলার ১ নং পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদটি পুঠিয়া পৌরসভার চর্তুদিক দিকে বেস্ট্রিত। অত্র ইউপির অভ্যান্তরে কোন হাট এর অস্তিত্ত্ব না থাকলেও বেশ কিছু ছোট ছোট বাজার এর অবস্থান লক্ষ করা যায়। যেমন কান্দ্রা, দুদুর মোড় বাজার, মাদ্রাসা মোড় বাজার, পিরগাছা বাজার, তারাপুর বাজার, হাতেমের মোড়, তাহেরের মোড়সহ বেশ কিছু বাাজার লক্ষনিয়।

কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পাদনা

১। ধনঞ্জয়পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক

২। তারাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক

৩। কান্দ্রা কমিউনিটি ক্লিনিক

৪। বারইপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক

এছাড়া ১টি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আছে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহ সম্পাদনা

মসজিদ  : ৪২ টি মন্দির  : ০১ টি গীর্জা  : ধনঞ্জয়পাড়া গ্রামে একটি ছোট গির্জা রয়েছে। গোরস্থানঃ ৭ টি

পেশাজীবি সংগঠন সম্পাদনা

১। রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ০১নং পুঠিয়া ইউনিয়নের গন্ডগোহালী গ্রাম এ পেশাজীবি সংগঠন হিসাবে আনছার ভিডিপি ক্লাব আছে। যার সদস্য সংখ্যা ২৫ জন।

এনজিও সম্পাদনা

এনজিও সমূহের নামের তালিকা ১। আশা ২। প্রশিকা ৩। ব্র্যাক ৪। গ্রামিন ব্যাংক ৫। টি এম এস এস ৬। বুরো বাংলাদেশ ৭। পদক্ষেপ (এরা সবাই ক্ষুদ্র ঋণ বিতরন করে।)

৮। এস বি এম এস এস (ভিজিডি মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।) ৯। আলো (স্বাস্থ্য অধিকার প্রকল্প নিয়ে কাজকরে।)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "পুঠিয়া ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৪ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২০ 
  2. "পুঠিয়া উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০২০