পার্সি হাউয়ার্ড নিউবি সিবিই (২৫ জুন, ১৯১৮ - ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭) ছিলেন একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও বিবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি প্রথম ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ী। তিনি তার রচিত সামথিং টু আনসার ফর বইয়ের জন্য ১৯৬৯ সালে বুকার পুরস্কারের প্রথম আয়োজনে এই পুরস্কার লাভ করেন।[১]

পি. এইচ. নিউবি
স্থানীয় নাম
Percy Howard Newby
জন্মপার্সি হাউয়ার্ড নিউবি
(1918-06-25) ২৫ জুন ১৯১৮ (বয়স ১০৫)
ক্রোবরো, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭(1997-09-06) (বয়স ৭৯)
গারসিংটন, যুক্তরাজ্য
সমাধিস্থলগারসিংটন চার্চ, অক্সফোর্ডশায়ার
পেশাসাহিত্যিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ভাষাইংরেজি
জাতীয়তাব্রিটিশ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসেন্ট পল কলেজ অফ এডুকেশন
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিসামথিং টু আনসার ফর
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারম্যান বুকার পুরস্কার
সক্রিয় বছর১৯৪৬-১৯৯৫
ওয়েবসাইট
phnewby.net

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

নিউবি ১৯১৮ সালের ২৫ জুন সাসেক্সের ক্রোবরোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ওরচেস্টারশায়ারের হেনলি ক্যাসল গ্রামার স্কুল এবং চেল্টেনহামের সেন্ট পল কলেজ অফ এডুকেশনে পড়াশুনা করেন। ১৯৩৯ সালের অক্টোবরে তিনি রয়্যাল আর্মি মেডিকেল কর্পস-এর হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেন। তার ইউনিটকে যুদ্ধের শেষের দিকে ফিরিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে তাকে মধ্য প্রাচ্যে পাঠানো হয় এবং তিনি মিশরের মরুভূমিতে নিয়োজিত ছিলেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

নিউবি ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে সেনা বাহিনীর কাজে ইস্তফা দেন এবং ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত কিং ফুয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। মিশরীয় সম্পাদক মুরসি সাদ এল-দিন তার একজন ছাত্র ছিলেন।[২]

১৯৪৯ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি বিবিসিতে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি বিবিসিতে বেতার প্রযোজক হিসেবে যোগদান করেন এবং পরে ক্রমান্বয়ে থার্ড প্রোগ্রাম ও বিবিসি বেতার ৩ এর সমন্বয়ক, অনুষ্ঠান পরিচালক, ও সবশেষে বিবিসি বেতারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। বিবিসি বেতার ৩ এ থাকাকালীন নিউবি বিতর্কিত অনুষ্ঠানসূচি পরিবর্তন করে ধ্রুপদী সঙ্গীত পরিবেশনার করতেন।[২]

বিবিসি বেতারের ব্যবস্থাপক পরিচালক হিসেবে তার কাজের জন্য তাকে অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার সম্মান প্রদান করা হয়।[২]

সাহিত্যজীবন সম্পাদনা

নিউবির প্রথম উপন্যাস অ্যা জার্নি টু দ্য ইন্টেরিয়র ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি পরে ইংল্যান্ডে চলে আসেন এবং সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। একই বছর তিনি সাহিত্যে আটলান্টিক পুরস্কার এবং দুই বছর পরে সমারসেট মম পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে জন লেহমান কিশোর রোমাঞ্চকর গল্প দ্য স্পিরিট অফ জেম প্রকাশ করে। বইটিতে কেইথ ভনের আঁকা ৪১ লাইন চিত্র ও রঙ্গির মোড়ক ছিল।[২] ১৯৬৮ সালে তার সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাস সামথিং টু আনসার ফর প্রকাশিত হয়। এই বইয়ের জন্য তিনি ১৯৬৯ সালে বুকার পুরস্কার এর প্রথম আয়োজনে পুরস্কৃত হন।[৩]

সাহিত্যিক, বন্ধু ও সহকর্মী অ্যান্থনি থয়াইট তার মৃত্যুর স্মরনে বলেন, "পি. এইচ. নিউবি ছিলেন শতাব্দীর (বিংশ) দ্বিতীয়ার্ধের অন্যতম সেরা ইংরেজ ঔপন্যাসিক।"[২]

প্রকাশিত গ্রন্থ সম্পাদনা

উপন্যাস সম্পাদনা

  • অ্যা জার্নি টু দ্য ইন্টেরিয়র (১৯৪৫)
  • দ্য স্পিরিট অফ জেম (১৯৪৭)[৪]
  • এজেন্টস্‌ অ্যান্ড উইটনেসেস (১৯৪৭)
  • ম্যারিনার ড্যান্সেস (১৯৪৮)
  • দ্য লুট রানারস্‌ (১৯৪৯)
  • দ্য স্নো পাস্তুর (১৯৪৯)
  • দ্য ইয়ং মে মুন (১৯৫০)
  • অ্যা সিজন ইন ইংল্যান্ড (১৯৫১)
  • অ্যা স্টেপ টু সাইলেন্স (১৯৫২)
  • দ্য রিট্রিট (১৯৫৩)
  • পিকনিক অ্যাট সাক্কারা (১৯৫৫)
  • রিভলূশন অ্যান্ড রোজেস (১৯৫৭)
  • টেন মাইলস ফ্রম অ্যানিওয়্যার (১৯৫৮)
  • অ্যা গেস্ট অ্যান্ড হিজ গোয়িং (১৯৬০)
  • দ্য বারবারি লাইট (১৯৬২)
  • ওয়ান অফ দ্য ফাউন্ডারস্‌ (১৯৬৫)
  • সামথিং টু আনসার ফর (১৯৬৮)[৫]
  • অ্যা লট টু আস্ক (১৯৭৩)
  • কিথ (১৯৭৭)
  • ফিলিংস হ্যাভ চেঞ্জ্‌ড (১৯৮১)
  • লার্নিং ইন দ্য উইন্ড (১৯৮৬)
  • কামিং ইন উইথ দ্য টাইড (১৯৯১)
  • সামথিং অ্যাবাউট উইমেন (১৯৯৫)

নন-ফিকশন সম্পাদনা

  • মারিয়া এজওর্থ (১৯৫০)
  • দ্য নভেল, ১৯৪৫-১৯৫০ (১৯৫১)
  • দ্য ইউজেস অফ ব্রডকাস্টিং (১৯৭৮)
  • দ্য ইজিপ্ট স্টোরি (১৯৭৯)
  • ওয়ারিয়র ফ্যারাওস (১৯৮০)
  • সালাদিন ইন হিজ টাইম (১৯৮৩)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. জর্ডিসন, স্যাম (২১ নভেম্বর ২০০৭)। "Looking back at the Booker: PH Newby"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 
  2. থয়াইট, অ্যান্থনি (৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭)। "Obituary: P. H. Newby"দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 
  3. পিপেনব্রিং, ড্যান (২৫ জুলাই ২০১৪)। "An Exhilarating Head Trip"দ্য প্যারিস রিভিউ। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 
  4. "The Spirit of Jem"গুগলবুকস। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 
  5. "Something to Answer For"গুগলবুকস। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা