পাহাড়ি কাশ

বহুবর্ষজীবি পাহাড়ি উদ্ভিদের প্রজাতি

পাহাড়ি কাশ হল বহুবর্ষজীবি পাহাড়ি উদ্ভিদ। এটি ঘাস পরিবারের সদস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম saccharum arundinaceumইংরেজিঃ Pin-reed grass। পরিবার Poaceae।[১]

আবাসস্থল সম্পাদনা

বাংলাদেশ, ভারত, নেপালমিয়ানমার এর আবাসভূমি।[১]

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

পাহাড়ি কাশ মূলত লম্বা কান্ডের ঘাস। উচ্চতা ১০-১৫ ফুট। পাতার রং ধূসর-সবুজ এবং পাতার মাঝখানে সাদা বর্ণের মধ্যশিরা থাকে। এরা গুচ্ছাকারে বা ঝাড় আকারে বেড়ে ওঠে। ঝাড় কোনো বাধা না পেলে চারদিকে বিস্তৃত হয়। পাহাড়ের যেখানে পানি জমে থাকে না সেখানকার শিলা, পাথর ও বালুযুক্ত মাটিতে ভালো জন্মে। তাই পাহাড়ের ঢালে, টিলায় এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়। তবে পাহাড়ি নদীর কাছে এলিয়ে পড়া উপত্যকায় মাঝে মাঝে দেখা মেলে। সমতল এলাকায় এদের উপস্থিতি বিরল।[১]

ফুলের বর্ণনা সম্পাদনা

ইংরেজি অক্টোবর মাসের শুরুতে পাহাড়ি কাশের কাণ্ডের মাঝখান থেকে মঞ্জরি বের হয় এবং তাতে ফুল ধরে। ফুলের মঞ্জরি বেড়ে গিয়ে পাতা থেকে ২-৩ মিটার ওপরে চলে আসে। পাহাড়ি কাশফুলের রং নদীর চরে ফোটা কাশের থেকে আলাদা। পাহাড়ে যখন কাশফুল ফোটে, তখন এই বুনোফুলের চেহারা অনেকটা সবুজাভ মনে হয়। পরবর্তিতে এটি গোলাপি-রুপালি রং ধারণ করে এবং পরিণত বয়সে এর রং কিছুটা ফ্যাকাশে সাদা হয়ে যায়।[১]

বংশ বিস্তার সম্পাদনা

বীজের মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার ঘটে। বাতাসের মাধ্যমে এ ঘাসের বীজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং বীজ থেকে নতুন চারা গজায়। তবে অত্যধিক আহরণের ফলে বর্তমানে পাহাড়ি কাশের পরিমাণ কমে যাচ্ছে।[১]

ব্যবহার সম্পাদনা

কাশফুলের এ প্রজাতিটি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর কাছে অনেক জনপ্রিয়। তারা এটি দিয়ে ঝাড়ু, ঘরের বেড়া, চাল ও ঝুড়ি তৈরি করে। পাহাড়ে ভূমিক্ষয় রোধে এটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।[১]

বাংলাদেশে পাহাড়ি কাশ সম্পাদনা

ঘাস জাতীয় এই উদ্ভিদটি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজারচট্টগ্রাম এলাকার পাহাড়ে বেশি দেখা যায়।[১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা