পামরিপোকা

কীটপতঙ্গের প্রজাতি

পামরিপোকা (Dicladispa armigera) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আসা পাতার পোকার একটি প্রজাতি। এই গুবরে পোকাগুলি একটি সুপরিচিত আক্রমণাত্মক কীট, এবং বহু দেশ জুড়ে ফসলের ক্ষতির ক্ষতির জন্য দায়ী। পুরুষ থেকে স্ত্রী অনুপাত ১: ১.২৬ এবং ১: ১.৪৬ এর মধ্যে। [২]

পামরিপোকা
Dicladispa armigera
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: আর্থ্রোপোডা (Arthropoda)
শ্রেণি: ইনসেক্টা (Insecta)
বর্গ: কোলিওপ্টেরা (Coleoptera)
পরিবার: Chrysomelidae
উপপরিবার: Cassidinae
গণ: Dicladispa
(অলিভার, ১৮০৮)
প্রজাতি: D. armigera
দ্বিপদী নাম
Dicladispa armigera
(অলিভার, ১৮০৮)
প্রতিশব্দ[১]

বিবরণ সম্পাদনা

ডিম সম্পাদনা

স্ত্রী পামরিপোকা সাধারণত পাতার বহিস্ত্বকের নিচের অংশে ডিম সন্নিবেশিত করে। মাঝে মাঝে পাতার উপরের দিকেও ডিম রেখে দেয়। সূক্ষ্ম ডিমগুলি কালো পদার্থে ঢাকা থাকে এবং এককভাবে থাকে। প্রতিটি স্ত্রী পোকা তাদের জীবদ্দশায় গড়ে ১৮ থেকে ১০১ টি ডিম দেয়, গড়ে ৫৫ টি দিয়ে থাকে। ডিম ফোটানোর সময় প্রায় চার দিন।[৩]

শুককীট সম্পাদনা

শুককীট রেখা বরাবর প্রায় ২.৪ মিঃমিঃ লম্বা এবং অঙ্কপৃষ্ঠীয়ভাবে চ্যাপ্টা এবং ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে থাকে। এগুলি পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে পুরোপুরি উপত্বকীয় পর্দায় পরিণত করে। লম্বা সাদা দাগ হিসেবে ভুক্ত অংশগুলি পাতায় লম্বালম্বি ছড়িয়ে থাকে। জন্মের পরপরই শুককীট পাতায় উপত্বকীয় পর্দায় গর্ত করে এবড়োথেবড়ো লম্বালম্বী সাদা দাগ সৃষ্টি করে। ফলে পাতার আগার কাছে ডিমপাড়ার স্থান থেকে পাতার পচন ধরে এবং তা পাতার গোটা ফলকের নিচে অনায়াসে বিস্তৃত হতে পারে। আক্রান্ত পাতা ধীরে ধীরে নেতিয়ে পড়ে ও শুকিয়ে যায়।[৩]

পিউপা সম্পাদনা

D. armigera পিউপা অঙ্কপৃষ্ঠীয়ভাবে চ্যাপ্টা, বাদামী ও উপযুক্তভাবে ৪.৯ মিঃমিঃ লম্বা হয়। পিউপা পর্যায়টি প্রায় ৪ দিন ধরে চলে।[৩]

প্রাপ্তবয়স্ক সম্পাদনা

প্রাপ্তবয়সে এই পোকা খুব ছোট, উজ্জ্বল রঙের নীল-কালো একটি গুবরে পোকা। এটি ৫.৫ মিমি লম্বা, বর্ম কাঁটাযুক্ত হহয়। স্ত্রী পোকা গড়ে ৫৫ টি একক ডিম পাড়ে যেগুলি ধানের পাতার উল্টো পিঠের উপরিত্বকের নিচে কিছুটা ঢুকানো থাকে। উচ্চতর তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্র আবহাওয়া এদের বৃদ্ধির অনুকূল। এর জীবনচক্র ১৩-২০ দিন এবং গড়ে ১৬.৫ দিন। এদের দ্বারা সর্বাধিক আক্রান্ত হয় কচি ধানগাছ এবং তাতে প্রাপ্তবয়স্ক পোকা ও লার্ভা উভয়ই থাকে।[৪]

বিতরণ সম্পাদনা

পামরিপোকা বাংলাদেশ, ভারত এবং লাওসে ব্যপকভাবে দেখা যায়। এছাড়া ভুটান, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং পাপুয়া নিউ গিনিতেও দেখা যায়, তবে অতটা ব্যপকভাবে নয়।[৫]

সঙ্গমের আচরণ সম্পাদনা

মানুষের মিথস্ক্রিয়া সম্পাদনা

জৈবিক নিয়ন্ত্রণ সম্পাদনা

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Dicladispa armigera (Olivier, 1808) in GBIF Secretariat (2019). GBIF Backbone Taxonomy. Checklist dataset https://doi.org/10.15468/39omei accessed via https://www.gbif.org/species/5876256 on 2019-12-16.
  2. Sharma, Rupesh; Ram, Lakhi (২০১৪)। "Survival and development of rice hispa, Dicladispa armigera (Olivier) (Coleoptera: chrysomelidae) on different rice cultivars": 76। আইএসএসএন 0367-8245ডিওআই:10.5958/j.0976-058x.48.1.014 
  3. Acharya, S. L. P. (1967). Life history bionomics and morphology of rice hispa, Hispa armigera Oliver. Masters Thesis. Retrieved from http://krishikosh.egranth.ac.in/displaybitstream?handle=1/5810084179
  4. "পামরিপোকা"http://bn.banglapedia.org  |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  5. "Dicladispa armigera (rice hispa)"www.cabi.org। ২০১৯-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৮