পাঠাগার ঢিবি বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের তাহেরপুর সড়ক থেকে ১৫০ মিটার উত্তরে মিঠাপুকুর মৌজায় অবস্থিত।[১]

পাঠাগার ঢিবি
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা
জেলাঝিনাইদহ জেলা
উপজেলাকালীগঞ্জ উপজেলা
আয়তন
 • মোট.১৮ বর্গকিমি (০.০৭ বর্গমাইল)
মাত্রা
 • দৈর্ঘ্য.০১৫ কিলোমিটার (০.০০৯ মাইল)
 • প্রস্থ.০১২ কিলোমিটার (০.০০৭ মাইল)

ইতিহাস সম্পাদনা

 
পাঠাগার মসজিদ

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯৩ সালে খনন কাজ চালিয়ে এই ঢিবিতে একটি প্রাচীন মসজিদ আবিষ্কার করে।[২] মসজিদের উপরের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর আবিস্কৃত মসজিদটির ১.৭০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত দেওয়াল সংস্কার করে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা অনুমান করেন মসজিদটি সুলতানী আমলে নির্মিত।[৩][৪]

নামকরণ সম্পাদনা

জনশ্রুতি আছে সুলতানী আমলে এই ঢিবিটি একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ছিল। সেই সময় এখানে লেখাপড়া, কোরআন ও হাদিসের পাঠদান হতো। এছাড়া পড়ার জন্য এখানে বিভিন্ন রকমের বইপত্র পাওয়া যেত। এজন্য স্থানটি পাঠাগার ঢিবি নামে পরিচিত ছিল।[৫]

বিবরণ সম্পাদনা

আয়তাকৃতির পাঠাগার ঢিবিটির দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার ও প্রস্থ ১২ মিটার। খননের ফলে আবিস্কৃত মসজিদটি তুলনামূলকভাবে ছোট ও বর্গাকৃতির। মসজিদটির প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ৬.৯ মিটার এবং দেয়ালের পুরুত্ব ১.৩৮ মিটার।[৬] মসজিদের চার কোণায় রয়েছে অষ্টভুজাকৃতির টাওয়ার, যার নিচে দিগন্ত রেখাকৃতির বাঁধন রয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে একটি করে তিনটি প্রবেশপথ রয়েছে। সবকটি প্রবেশ পথের প্রান্ত সীমা জ্যামিতিক নকশা সংবলিত সমকোনী ফ্রেম দিয়ে বাঁধানো। পশ্চিম পাশে দেয়ালে একটি অর্ধাবৃত্তাকৃতির মেহরাব রয়েছে। মেহরাবের ভিতর দিকে পোড়ামাটির নকশা আঁকা আছে।[৭] মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট ও লাল ইটের তৈরি। এর পাশে রয়েছে একটি বড় দিঘি, যার নাম পিঠেগড়া পুকুর।[৩]


আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বৃহত্তর যশোর জেলার প্রাচীনতম মসজিদ সমুহ"যশোর.ইনফো। ২১ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. আব্দুর রহমান মিল্টন (৩০ এপ্রিল ২০১৬)। "গড়ে উঠতে পারে পর্যটন কেন্দ্র : বিলুপ্ত নগরী বারোবাজারে প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদ"। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. মুস্তাফিজ মামুন (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)। "প্রাচীন শহর মোহাম্মদাবাদ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. জাহিদুর রহমান তারিক (ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫)। "ঝিনাইদহের ঐতিহ্য বারোবাজার পাঠাগার মসজিদ !!"সময়ের বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "ঝিনাইদহ জেলার ঐতিহ্য"যশোর ইনফো। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. শফিকুল আলম। "বারোবাজার"বাংলাপিডিয়া। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ 
  7. "ঝিনাইদহের ঐতিহ্য বারোবাজার পাঠাগার মসজিদ !!"জনতার কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা