পাকিস্তানের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী

পাকিস্তানের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী (উর্দু: آئین پاکستان میں دوسری ترمیم‎‎) পাকিস্তানের সংবিধানের একটি অংশ যা ১৯৭৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়।[১] পাকিস্তানের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাত্র ৫ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়। এতে আহ্‌মদীয়া বা কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়।[১] এটি একটি কেন্দ্রীভূত নাগরিক রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠার পথও তৈরি করেছিল।

প্রেক্ষাপট সম্পাদনা

ধারা ৩০ সম্পাদনা

পাকিস্তানের সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর ৩০ অনুচ্ছেদের অধীনে পাকিস্তানের নাগরিকদের সনাক্তকরণ এবং পরিসংখ্যানগত ডাটাবেস বজায় রাখার জন্য একটি শর্ত আরোপ করে, দা হলো প্রতিটি ব্যক্তির একটি রাষ্ট্র দ্বারা ইস্যু করা আইডি কার্ড থাকতে হবে। এটি পাকিস্তানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইসি) সিস্টেমের ভিত্তি স্থাপন করে।[২]

ধারা ২৬০(৩) সম্পাদনা

সংবিধান এবং সমস্ত আইন এবং অন্যান্য আইনী উপকরণে, বিষয় বা প্রেক্ষাপট পরিপন্থী কিছু না থাকলে, - (ক) "মুসলিম" অর্থ এমন একজন ব্যক্তি যিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস করেন এবং তার প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নবুওয়াতের চূড়ান্ততায় বিশ্বাস করেন, তিনি শেষ নবী এবং তারপর কোনো ব্যক্তিকে একজন নবী বা ধর্মীয় সংস্কারক হিসেবে বিশ্বাস করেন না বা স্বীকৃতি দেন না। (খ) "অমুসলিম" অর্থ এমন একজন ব্যক্তি যিনি মুসলিম নন; খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ বা পার্সি সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তি, কাদিয়ানি সম্প্রদায় বা লাহোরি গ্রুপের একজন ব্যক্তি (যারা নিজেদেরকে আহমদিয়া বা অন্য নামে পরিচয় দেন), অথবা একজন বাহাই, এবং তফসিলি বর্ণের যে কোনো ব্যক্তি।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Government of Pakistan, (GoPAK)। "Second Amendment"Ministry of Law and Justice। The Electronic Government of Pakistan। 
  2. "Technology in the Service of Development: The NADRA Story"Center for Global Development (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১১