পশ্চিমবঙ্গে খ্রিস্টধর্ম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে খ্রিস্টধর্ম হল একটি সংখ্যালঘু ধর্মবিশ্বাস। ২০০১ সালের জনগণনা অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী খ্রিস্টানদের সংখ্যা ৫১৫,১৫০ (মোট জনসংখ্যার ০.৬%)।[১] তফসিলি উপজাতিগুলির মধ্যে খ্রিস্টান জনসংখ্যার হার ৬.১%।[২] মাদার টেরিজা কলকাতায় খ্রিস্টধর্ম প্রচারে নিবেদিত থাকলেও খ্রিস্টধর্ম এখানে সংখ্যালঘু ধর্মবিশ্বাসই রয়ে গেছে।

ব্যান্ডেল গির্জা, ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত পুরনো গির্জাটির স্থলে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে পুনর্নির্মিত।

ইতিহাস সম্পাদনা

পশ্চিমবঙ্গে খ্রিস্টধর্মের আগমন ঘটেছিল খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে। এই শতাব্দীতেই পর্তুগিজেরা হুগলি জেলার ব্যান্ডেলে একটি বসতি স্থাপন করেছিল। ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দে তারা ব্যান্ডেল গির্জা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই গির্জাটিই সম্ভবত পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গির্জা।[৩] ১৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হুগলি লুণ্ঠনের সময় এই গির্জাটি ভষ্মীভূত হয়। ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে গির্জাটি আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।

ব্যাপটিস্ট মিশনারি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম কেরি ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতে এসেছিলেন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বিরুদ্ধাচারণ শুরু করলে তিনি শ্রীরামপুরের ড্যানিশ উপনিবেশে ধর্মপ্রচারক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি বাংলা (১৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে সম্পূর্ণ) ও সংস্কৃতে (১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে সম্পূর্ণ) বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন। তিনি কৃষ্ণ পাল নামে এক বাঙালিকে সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করেছিলেন। কৃষ্ণ পাল ধর্মান্তরিত হওয়ার পর জাতিভেদ প্রথা অস্বীকার করেছিলেন। ১৮১৮ খ্রিষ্টাব্দে মিনিস্ট্রির কাজে স্থানীয় ধর্মান্তরিতদের প্রশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে তিনি শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সম্প্রদায় সম্পাদনা

 
সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, কলকাতা

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল, কলকাতা হল চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার অধীনস্থ কলকাতা ডায়োসিসের (১৮১৩) প্রধান কেন্দ্র। কলকাতা রোমান ক্যাথলিক আর্চডায়োসিস (১৮৩৪) হল পশ্চিমবঙ্গের রোমান ক্যাথলিক যাজকপ্রদেশ (ইকলেসিয়াস্টিক্যাল প্রভিন্স)।

অন্যান্য সম্প্রদায়গুলি হল:[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Portalbox

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২০ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ 
  2. http://censusindia.gov.in/Tables_Published/SCST/dh_st_westbengal.pdf
  3. Roma Bradnock, Footprint India, Footprint Travel Guides, 2004, আইএসবিএন ১-৯০৪৭৭৭-০০-৭, p. 584.
  4. World Christian Encyclopedia , Second edition, 2001 Volume 1, p. 368-371