পর্নোগ্রাফির প্রভাব

পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে সৃষ্ট মনোসামাজিক প্রভাবসমূহ

পর্নোগ্রাফির প্রভাব ব্যক্তিবিশেষের জন্য অন্যদের থেকে ভিন্ন হতে পারে এবং স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া ও যৌন সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। পর্নোগ্রাফির সম্ভাব্য আসক্তি সৃষ্টিকারী প্রভাবসমূহ এখনও অস্পষ্ট। যদিও, কিছু গ্রন্থগত রিভিউ পর্নোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট স্থির ও ভিডিও চিত্রের প্রতি আসক্তি সৃষ্টি হওয়ার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে। তবে, আসলেই এমনটি হয় কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলক প্রমাণের সংখ্যা এখনও খুবই অপ্রতুল।[১][২][৩][৪] গৃহ নির্যাতনধর্ষণ এবং শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের কথা বিবেচনায় রেখেই, এসব অপরাধের উপর পর্নোগ্রাফির সম্ভাব্য প্রভাবের উপর করা একাধিক নিরীক্ষণমূলক গবেষণা এই উপসংহারে উপনীত হয় যে, সমাজে পর্নোগ্রাফির উদারনৈতিক বিমুক্তকরণ হয়ত ধর্ষণ ও অন্যান্য যৌন সহিংসতার হার কমে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। আবার কিছু গবেষণায় দেখা যায়, যৌন অপরাধ কমার উপর পর্নোগ্রাফির কোন প্রভাব নেই অথবা এর সাথে কোন যোগসূত্র নিরূপন করা সম্ভব হয়নি।[৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১]

পর্নোগ্রাফি জড়িত তাদের আইন ভিত্তিক জাতি।

গবেষণায় আপত্তি সম্পাদনা

পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে, এ বিষয়ে জনসাধারণের কড়া মন্তব্য এবং সংবেদনশীলতার কারণে বেশকিছু আপত্তিজনক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।  বিশেষত, পর্নোগ্রাফি ও যৌনতাকে কেন্দ্র করে থাকা সামাজিক নিষিদ্ধতার কারণে এ ব্যাপারে গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপকহারে নিশ্চিতকরণ পক্ষপাত লক্ষ করা যায়। যার ফলে, অধিকাংশ গবেষকই, পর্নোগ্রাফির নেতিবাচক দিক নিয়েই অনুকল্প তৈরি করেন এবং সেই অনুকল্প অনুসারে গবেষণা করেন। তবে খুব কম সংখ্যক গবেষকই পর্নোগ্রাফির সম্ভাব্য উপকারিতা কিংবা ইতিবাচক দিকগুলো অণ্বেষণে উদ্যোগী হন। অধিকন্তু, এই ক্ষেত্রে প্রকাশ হওয়া প্রামাণ্য গবেষণাগুলোর সিংহভাগই, প্রায়শই, আশানুরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়না এবং গবেষণাগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পদ্ধতিগত ত্রুটিতে আক্রান্ত থাকে। ইংল্যান্ডের মিডেলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি পরিবর্তনসূচক বিশ্লেষণে (meta-analysis) দেখা যায়, গবেষক দলটির কাছে, এ ক্ষেত্রে করা যে ৪০,০০০ গবেষণাপত্র পুনর্বিবেচনার জন্য জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে ২৭৬টি অথবা প্রায় ০.৬৯% গবেষণাপত্রই নিম্নমানের হওয়ার কারণে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে গণ্য হয়।[১২]

বিশ্বাসসমূহ সম্পাদনা

 
Effects of Prolonged Consumption of Pornography শীর্ষক গবেষণাপত্রের তথ্যচিত্র ৫।[১৩]
 
Effects of Prolonged Consumption of Pornography শীর্ষক গবেষণাপত্রের তথ্যচিত্র ১০।[১৩]

১৯৮৬ সালে সার্জন জেনারেল ফর দ্যা ইউনাইটেড স্টেটস এর জন্য পরিচালিত Effects of Prolonged Consumption of Pornography, শীর্ষক এক রিভিউতে জিলম্যান উল্লেখ করেন যে, পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক রচনাবলিতে অসামঞ্জস্যতা বিদ্যমান। তবে, সার্বিকভাবে, তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, পর্নোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের ফলে কিছু নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে, এবং যুক্তি দেখান যে, এসব নেতিবাচক প্রভাবসমূহের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী একগামী বিবাহ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যাওয়া এবং প্রজননের আকাঙ্খা শিথিল হয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্ত।[১৩] তিনি নিম্নের বিবৃতির মাধ্যমে  এইসকল সিদ্ধান্তের অনুকল্পিক ভিত্তি প্রদান করেন:

পর্নোগ্রাফিতে যেসব মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, সেগুলো স্পষ্টতই পারিবারিক ধ্যান-ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক এবং এগুলো সম্ভাব্যরূপে সেইসব ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের ক্ষয়সাধন করে, যেগুলো বিবাহ, পরিবার এবং সন্তানদের প্রতি আনুকূল্য দেখায়... পর্নোগ্রাফির চিত্রনাট্যগুলি দুটি সদ্য পরিচিত পক্ষের যৌনকার্যে রত হওয়ার ঘটনার উপরেই অধিষ্ঠিত, যারা কোনভাবেই পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত কিংবাপরস্পরের প্রতি সমর্পিত নয়, এবং যাদের একটু পরেই ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে,  কখনই আর দেখা হবে না... পর্নোগ্রাফির ক্ষেত্রে যৌনতৃপ্তি, সহানুভূতি, পরিচর্যা, এবং বিশেষত সম্পর্ক অব্যাহত রাখার জন্য কোনো আবেগপূর্ণ ভালোবাসার টান সৃষ্টি হয় না। যেহেতু, সম্পর্কের অব্যাহতি অবধারিতভাবেই দায়দায়িত্ব, সংযম ও ব্যয়ে রূপ নেবে।[১৪]

যদিও, McKay এবং Dolf এর মত অন্যান্য সমসাময়িক গবেষকগণ জিলম্যানের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন, এবং উল্লেখ করেন যে, ‘‘পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত গবেষণা কার্যের মধ্যে এই তথ্যটি উপেক্ষিত হয়েছে যে, সমসাময়িক সমাজে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক কোনো মানুষ অনেকটা ভালোভাবেই বাস্তব ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য নিরূপন করতে সক্ষম। এধরনের নিম্নমানের যুক্তিই যখন পেশ করার প্রয়োজন পরে, তখন মানব আচরণের একটি অতিসরলীকৃত মডেলই নির্দেশিত হয়, যেটি এই গবেষণা কার্যে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে’’।[১৫] গেইল ডাইনেস, জিলম্যানের ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত গবেষণাটি সংক্ষেপিত করেন, এবং এতে বেশকিছু তথ্য অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন যে, ‘‘পর্নোগ্রাফি যৌনতা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির বিরূপ পরিবর্তন ঘটায়, সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, এটি কম প্রচলিত যৌনাচরণের প্রতি উৎসাহপূর্ণ আকর্ষণ সৃষ্টি করে; অন্তরঙ্গ যৌন সঙ্গীর শারীরিক অবয়ব ও যৌন ক্ষমতার প্রতি অসন্তুষ্টির জন্ম দেয়; ধর্ষণ ও শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের মত অপরাধসমূহকে একটি মামুলি ব্যাপারে পরিণত করে; যৌন নির্যাতনের স্বীকার হওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি অসংবেদনশীল হতে উৎসাহিত করে এবং পুরুষদের মনে এই বিশ্বাস সৃষ্টিতে সহায়তা করে যে, ধর্ষিতরাও অন্য কাউকে ধর্ষণ করতে সক্ষম হবে। উপরন্তু, অভ্যাসগত পর্নোগ্রাফি ভোক্তারাই অনিয়মিত ভোক্তাদের তুলনায়, যৌনতার ক্ষেত্রে অধিক সহানুভূতিহীন এবং নারীদের প্রতি বেশি সহিংস হওয়ার ঝুঁকিতে আছে।’’[১৬][১৭]

অ্যাভেডন ক্যারোল ব্যাখ্যা করেছেন যে, ‘‘জিলম্যানের ভাষ্যমতে, ‘যৌনতার ক্ষেত্রে সহানুভূতিহীন’ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন ‘সমকামিতার প্রতি অধিক সহনশীলতা’; এটি একটি বিশ্বাস যা বলে যে, মাতৃত্বের পাশাপাশি নারীদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পন্থা নির্বাচনের ক্ষমতা থাকা উচিত। উদাহরণস্বরূপ :

  • বিবাহবন্ধনে কম বিশ্বাস;
  • এবং এমন বিশ্বাস যা বলে, নারীরাও যৌনতাকে উপভোগ করতে পারবে এবং শুধুমাত্র স্বামীদের খুশি করা কিংবা গর্ভধারণের উদ্দেশ্য ছাড়াও কেবল আত্মতৃপ্তির জন্যেও যৌনকার্যে অংশ নিতে পারবে।

মোটের উপর, যেগুলো ছিল ঐ সময়ের নারীবাদী দলগুলোর মূল উদ্দেশ্য। জিলম্যান তার গবেষণায়, পর্নোগ্রাফির কারণে নারীবিদ্বেষ কিংবা সহিংস আচরণ বা আচরণের আকাঙ্খার বৃদ্ধি দেখাতে ব্যর্থ হন, যদিও তিনি সত্যিই তা দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘জিলম্যান ও ব্রায়ান্টের করা গবেষণার বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যার প্রতি নজর রেখেই, যুক্তরাষ্ট্র-এর সার্জন জেনারেলের প্রতিবেদনে বলা হয় যে, তাদের করা গবেষণাগুলো, যেগুলোতে ধরে নেয় যে, পুরুষেরা নারীদের তুলনায় অনেক বেশি সহানুভূতিহীন, সেগুলোর একমাত্র নির্ভরযোগ্য আবিষ্কার হলো: পুরুষদের যেই দলটি  পর্নোগ্রাফি দেখেছিল, তাদের এই আচরণ অপেক্ষাকৃত সঠিকভাবে, মানবসমাজে ব্যাপকহারে যৌনচর্চার পরিব্যপ্তিকেই নির্দেশ করে। গবেষণায় নিয়ন্ত্রণ হিসেবে ব্যবহৃত দলের সদস্যরা, যারা পর্নোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো কখনও দেখেন নি, তারা বিশেষ কিছু সম্ভাব্য অপ্রচলিত যৌনাচরণ প্রচলিত হওয়ার বিষয়ের প্রতি তীব্রভাবে অবমূল্যায়ণপ্রবণ ছিলেন।’’ এবং তিনি এই মত ব্যক্ত করেন যে, ‘‘জিলম্যান ও ব্রায়ান্ট তাদের গবেষণায় ছাত্র ছাড়াও অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেন, যাদের অনেকেই গবেষণার জন্য যে পর্নোগ্রাফি দেখতে হবে তা জানার পর গবেষণা ত্যাগ করে চলে যায়। এর এই অর্থ দাড়ায় যে, নিয়ন্ত্রণ হিসেবে ব্যবহৃত দলে, একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জনগোষ্ঠীর লোক ছিল, যেমন, তাদের অনেকেই ছিলেন বোধহয় বয়স্ক, বিবাহিত বা সংসারী পুরুষ। অতএব, এসব লোকের কাছ থেকে পাওয়া ভিন্ন উত্তরগুলো হয়ত, নারীদের প্রতি তাদের ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে, এবং হয়ত পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে সৃষ্ট প্রভাবকে একেবারেই প্রতিফলিত করে না।’’  এতকিছুর পরে গবেষণাটিকে আর নিয়ন্ত্রিত বলা যায় না। শেষ পর্যন্ত, গবেষণাটির হয়ত এই অর্থ দাড়ায় যে, বয়স্ক, বিবাহিত পুরুষেরা হয়ত কমবয়েসী অবিবাহিত অনূঢ় মনোবিজ্ঞানের পুরুষ ছাত্রদের তুলনায় তাদের যৌনসঙ্গীর প্রতি অপেক্ষাকৃত কম দোষগ্রাহী, এবং অবিবাহিত শিক্ষিত যুবকেরা সমাজে নারীদের ভূমিকা ও সমপ্রেমিতাকে আরও উদারনৈতিক দৃষ্টিতে দেখে, এবং সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন যৌনাচরণ সম্পর্কে আরও বাস্তবধর্মী জ্ঞান রাখে।’’[১৮]

স্বাভাবিক যৌনক্রিয়া ও আসক্তি সম্পাদনা

পুরুষদের মধ্যে, পর্নোগ্রাফির যে সবচেয়ে তাৎক্ষণিক প্রভাবটি দেখা যায় তা হলো, ‘‘হস্তমৈথুনের কারণে একই দিনে মোট যৌন নিষ্ক্রমনের সংখ্যায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি’’ এবং ‘‘অধিকাংশই [এই] অভিজ্ঞতাটিকে পরিমিতরূপে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, উপভোগ্য এবং মোটামুটিভাবে আনন্দদায়ক হিসেবেই পেয়ে থাকেন। যদিও, অনেকেই বিতৃষ্ণ, লজ্জিত এবং অভিঘানিত হওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।’’[১৯]

পর্নোগ্রাফি আসক্তি হলো পর্নোগ্রাফি সংশিষ্ট ভোগ্যপণ্যের অমোঘ ও পুনরাবৃত্তিক ব্যবহার দ্বারা সূচিত একটি অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপিত[২০] আচরণগত আসক্তি যার ফলে আসক্ত ব্যক্তি নেতিবাচক শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতির স্বীকার হওয়া সত্ত্বেও পর্নোগ্রাফির ব্যবহার চালিয়ে যান।[২১][২২] ডিএসএম-৫ এ প্রথমদিকে পর্নোগ্রাফি আসক্তিকে হাইপারসেক্সুয়ালিটি ডিজর্ডারের অন্তর্গত একটি উপশ্রেণি হিসেবে নির্ধারণের প্রস্তাবনা করা হলেও, পরবর্তিতে তা বাতিল করা হয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয় যে, ‘‘এ ধরনের আচরণসমূহকে মানসিক রোগ হিসেবে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ের মানদন্ড প্রতিষ্ঠাকরণ ও চিকিৎসার গতিপথ নির্ধারণের জন্য দলগত-রিভিউ হওয়া গবেষণার পরিমাণ [খুবই] অপ্রতুল।’’[২০][২৩] পক্ষান্তরে, কিছু মনোবিজ্ঞানী প্রস্তাবনা করেন যে, যেকোন মানিয়ে নেয়ার সমস্যাজনিত যৌন উপসর্গই বরং কোন অন্তর্নিহিত ডিজর্ডারের প্রতিনিধিত্ব করে। উদাহরণস্বরূপ, সেটি হতে পারে বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তা যা কেবলই যৌনতা সংশিষ্ট সমস্যার আকারে বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে কিংবা আবার এও হতে পারে যে, প্রকৃতপক্ষে কোন রোগই নেই এবং আচরণটি আসলেই মানিয়ে নেয়ার সমস্যাজনিত নয়। এই মনোবিজ্ঞানীরা কেবল রাসায়নিক নির্ভরতাকেই আসক্তি বলে মনে করেন এবং অন্যান্য আচরণগত আসক্তির ধারণাকে স্বীকৃতি দেন না। তারা বিশ্বাস করেন যে, এধরনের ধ্যান-ধারণা ও রোগনির্ণয় প্রকারান্তরে অপবাদস্বরূপ এবং একইসাথে অসহায়ক।[২৪][২৫]

তবে, তা সত্ত্বেও, ক্লিনিকাল গবেষণায় কিছু আপাত-অকল্পনীয় প্রতিবেদন পাওয়া গেছে যেগুলো বলে যে, যেসব পুরুষ প্রচুর পরিমানে পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের যৌন উত্তেজিত হতে ক্রমশ পূর্বের তুলনায় বেশি উত্তেজনার ও আরও বেশি আক্রমনাত্নক পর্ন দেখার প্রয়োজন পরে।[২৬] অধিকন্তু, ২০১৬ সালে করা দুটি স্নায়ুবিজ্ঞান রিভিউ ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি ব্যবহারকারীদের মস্তিষ্কে আসক্তি সংশ্লিষ্ট ভৌত পরিবর্তন ঘটার প্রমাণ পায়। মস্তিষ্কে ঘটা এসব পরিবর্তনকে পারিতোষিকের প্রতি সংবেদনহীনতা, অকার্যকর দুশ্চিন্তা সাড়াদান ও আবেগপ্রবণতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।[২] ২০১৬ সালে করা আরও একাধিক রিভিউ প্রস্তাবনা করে যে, ইন্টারনেটে করা বিভিন্ন আচরণ যেমন, আইপি ব্যবহারকেও, সম্ভাব্য আসক্তিকর হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং সমস্যাপ্রবণ আইপি ব্যবহারকেও একধরনের ‘ইন্টারনেট ব্যবহার ডিজর্ডার’ হিসেবে  গণ্য করা যেতে পারে।[২][৩][৪]

যৌন সহিংসতা সম্পাদনা

নিয়ন্ত্রিত গবেষণাসমূহ সম্পাদনা

একটি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা, আলোচ্য আচরণসমূহ বা পরিবেশিয় নিয়ামকসমূহ এবং স্বাস্থ্যের উপর সেসব আচরণের প্রভাবসমূহকে, পরীক্ষাগারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সম্পন্ন পরীক্ষার ফলাফল হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। যেখানে গবেষণাকৃত আচরণসমূহ ব্যতীত বাদবাকি সব প্রভাবসৃষ্টিকারী নিয়ামককে ভিন্ন নিয়ামকের সংস্পর্শ পাওয়া অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বিভিন্ন দলসমূহের মধ্যে ধ্রুব দশায় রাখা হয়। যেহেতু, গবেষণাকালে মনে করা হয় যে, ব্যবহৃত দলগুলোর মধ্যে, কার্যকরী পার্থক্য ঠিক ততটুকুই যতটুকু পরীক্ষণমূলক পার্থক্য তাদের উপর আরোপ করা হয়েছে; সেহেতু, গবেষকদের কাছে সম্ভাব্য পরীক্ষণীয় শর্ত ও তার ফলে সৃষ্ট হওয়া স্বাস্থ্য পরিণতির সাথে পরিসংখ্যানগতভাবে উল্লেখযোগ্য যোগসূত্রের ভিত্তিতে যাদৃচ্ছিক কার্যকারণ সম্পর্ক আরোপের যথেষ্ট সুযোগ থাকে। অতঃপর, যদি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষণ সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভবও হয় তবুও, এতে উচ্চমাত্রার অন্তর্নিহিত যথার্থতা থাকে। তা সত্ত্বেও, এধরনের গবেষণাগুলো সাধারণত, বাস্তব দুনিয়ার পরিবেশ ও পরীক্ষাগারের সাজানো কৃত্রিম পরিবেশের মধ্যে পার্থক্য থাকার কারণে সন্দেহজনক বহিরাগত যথার্থতার শিকার হয়। এবং এর ফলস্বরূপ যে বিশ্বাস জন্মলাভ করে তা আলোচ্য বিষয়বস্তুর বাইরে আর প্রয়োগ করা যায় না।[২৭]

পর্নোগ্রাফি ও যৌন আক্রমণাত্নক মনোভাবের মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র থাকার বিষয়টি একাধিক পরিবর্তনসূচক বিশ্লেষণের অালোচ্য বিষয় ছিল।[২৮] ‘৯০ এর দশকে করা পরিবর্তনসূচক বিশ্লেষণসমূহের ভিত্তিতে গবেষকদের নিকট এই প্রস্তাবনা করা হয় যে, অ-পরীক্ষামূলক গবেষণাগুলোতে হয়ত পর্নোগ্রাফি দেখা এবং ধর্ষণ সমর্থনকারী মনোবৃত্তির মধ্যে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।[২৯] তারপরও , হাল্ড, ম্যালামুথ ও ইউয়েনের (২০১২) করা একটি পরিবর্তনসূচক বিশ্লেষণে প্রস্তাবনা করা হয় যে, সহিংস পর্নোগ্রাফি দেখা এবং ধর্ষণ সমর্থনকারী মনোবৃত্তির মধ্যে, পুরুষদের বিশেষ কিছু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে, সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষত, যখন, সমণ্বয়কারী চলকগুলোকে, বিবেচনায় ধরা হয়।[২৮]

২০১৫ সালে করা একটি পরিবর্তনসূচক বিশ্লেষণে বেরিয়ে আসে যে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রে ও সারা বিশ্বে, পুরুষ ও নারীদের মধ্যে [করা], আড়াআড়িভাবে বিভক্ত ও দীর্ঘমেয়াদী উভয় ধরনের গবেষণাতেই [পর্নোগ্রাফি] ভোগের সাথে যৌন আক্রমণাত্নক মনোভাবের সম্পর্ক নির্ণীত হয়েছে।’’  এক্ষেত্রে শারীরিক মারমুখীতার চেয়ে বরং মৌখিক আগ্রাসনই দৃঢ়ভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও উভয়ের পরিমানই ছিল উল্লেখযোগ্য। গবেষণার ফলাফলের এই সর্বব্যাপী সাধারণ প্যাটার্ন  নির্দেশ করে যে, পর্নোগ্রাফিতে দেখানো সহিংস বিষয়বস্তু হয়ত এক্ষেত্রে একটি বর্ধনকারী নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।[৩০]

এই সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক রচনাবলির প্রথমদিককার রিভিউতে Ferguson ও Hartley (২০০৯) যুক্তি দেখান যে, ‘‘পর্নোগ্রাফি যে যৌন আক্রমণাত্নক আচরণে অবদান রাখে, এই ধারণা পরিত্যাগ করার এখনই উপযুক্ত সময়।’’[৩১] তারা দাবি করেন যে, কিছু লেখক ইতিবাচক আবিষ্কারগুলোকে দৃষ্টিগোচর করলেও একইসাথে অকার্যকর আবিষ্কারগুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন না; যা মূলত নির্বাচনমূলক পক্ষপাতিত্ব হিসেবেই প্রকট হয়। Ferguson ও Hartley এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত গবেষণাগুলিও পর্নোগ্রাফি ও যৌন সহিংসতার মধ্যে কোন যোগসূত্র সমর্থনে সক্ষম হয়নি।

মহামারী সংক্রান্ত গবেষণা সম্পাদনা

একটি মহামারীসংক্রান্ত গবেষণা পরিসংখ্যানগত তথ্য মাধ্যমে বাস্তব বিশ্বের ঘটনা পর্যবেক্ষণ মাধ্যমে প্রদত্ত আচরণ বা পরিবেশগত শর্তাবলী, এবং শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য মধ্যে অ্যাসোসিয়েশন বর্ণনা করে। এপিডেমিয়োলিক স্টাডিজের সাধারণত উচ্চ মাত্রার বহিরাগত বৈধতা থাকে, যেমনটি তারা পরীক্ষাগারের বাইরে থাকা ঘটনাগুলিকে যথাযথভাবে বর্ণনা করে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বৈধতা নিচু পর্যায়ে রয়েছে, যেহেতু তারা আচরণবিধি বা অবস্থার মধ্যে দৃঢ় এবং প্রভাব সম্পর্ক স্থাপন করে না অধ্যয়ন, এবং স্বাস্থ্য পরিমাপ দেখা যায়।[২৭]

ডেনমার্কের অপরাধবিষয়ক বেরল কচিিনস্কির ডেনমার্কের পর্নোগ্রাফি এবং যৌন অপরাধ বিষয়ে গবেষণা (1970), একটি বৈজ্ঞানিক রিপোর্ট যা অযৌক্তিকতা ও অশ্লীল রচনা সম্পর্কিত রাষ্ট্রপতি কমিশনের আদেশে পাওয়া গেছে যে, ডেনমার্কের পর্নোগ্রাফি বৈধকরণের ফলে যৌন অপরাধের বৃদ্ধি ঘটেনি ।[৩২] তারপর থেকে, অনেক অন্যান্য পরীক্ষায় পরিচালিত হয়েছে, 1995 সালে তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত পর্নোগ্রাফির সামাজিক প্রভাবগুলিতে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বার্ল কচিিনস্কির খোঁজে সমর্থন বা বিরোধিতা করা হয়েছিল। তার জীবনকে প্রকাশ করা হয়েছিল "আইন, পর্নোগ্রাফি, এবং অপরাধ: ড্যানিশ অভিজ্ঞতা (1999)। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিল্টন ডায়মন্ড পাওয়া গেছে যে, 1969 সালে যৌনতাবিষয়ক সামগ্রী নিষিদ্ধ করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার পরে শিশু যৌন নির্যাতনের রিপোর্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।[৩৩]

কিছু গবেষক দাবি করেন যে পর্নোগ্রাফি এবং যৌন অপরাধ হ্রাসের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে,[৫][৬][৮][৯][১০][১১] including Diamond (author of a review from 2009).[৭] The effects of Pornography: An International Perspective was an epidemiological study which found that the massive growth of the pornography industry in the United States between 1975 and 1995 was accompanied by a substantial decrease in the number of sexual assaults per capita, and reported similar results for Japan.[৩৪] এই প্রকৃতির ফলাফল রবার্ট পিটারস, মিডিয়াইলে নৈতিকতার সভাপতির দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, এই ফলাফলগুলি আরও বেশি বিশ্লেষণ করেছে যে, পর্নোগ্রাফির বর্ধিত বিস্তার ব্যতীত অন্যান্য বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে: "আরো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা হল যে যদি কোনও পতন ঘটে" জঙ্গি ধর্ষণ, "এটি কমিউনিটি এবং স্কুল ভিত্তিক প্রোগ্রাম, মিডিয়া কভারেজ, আক্রমনাত্মক আইন প্রয়োগকারী, ডিএনএ প্রমাণ, দীর্ঘ জেলখানায়, এবং আরও অনেকের মাধ্যমে ধর্ষণের উপর জোরদার করার জন্য একটি অসাধারণ প্রচেষ্টার ফল।"[৩৫]

১৯৮৬ সালে, নীল এম. মালামুথ কর্তৃক মহামারী সংক্রান্ত গবেষণার একটি পর্যালোচনা পাওয়া যায় যে পুরুষদের দ্বারা প্রাপ্ত অশ্লীল বস্তুর পরিমাণ ইতিবাচকভাবে ডিগ্রির সাথে সম্পৃক্ত ছিল যার ফলে তারা যৌন হামলা সমর্থন করেছিল।[৩৬]

সম্বন্ধযুক্ত ও মানসিক প্রভাবসমূহ সম্পাদনা

সার্বজনীন প্রভাব সম্পাদনা

বিজ্ঞানীগণ দাবি করেন যে অতিমাত্রায় পর্নোগ্রাফি দেখা অস্বাস্থ্যকর হতে পারে, যদি ব্যক্তিগত ও সামাজিক কারণে কোন ব্যক্তির জন্য এটি সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে, যার মধ্যে অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ বিনিময়ের পরিবর্তে পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে অতিমাত্রায় সময় ব্যয় করা অন্তর্ভুক্ত। ব্যক্তিবিশেষ তাদের অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে নিজ সামাজিক জীবনে অবনতিস্বরূপ মানসিক অবসাদ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, পেশাজীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, নিম্নমূখী উৎপাদনশীলতা, অথবা অর্থনৈতিক সমস্যার স্বীকার হতে পারেন।[৩৭] পর্নোগ্রাফিতে অতিমাত্রায় আসক্তগণ অধিকহারে একাকিত্ব অনুভব করেন এবং যৌন অভিজ্ঞতাবিহীন পর্ন ভোক্তারা পর্নোগ্রাফিতে প্রদর্শিত ব্যক্তিবর্গের সাথে নিজেদের শরীর ও যৌন ক্ষমতার তুলনা করে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন।[৩৮]

হ্যালিফ্যাক্সে ইস্টওয়াইন্ড হেলথ এসোসিয়েটসের দুজন সাইকোথেরাপিস্ট তাদের ডাক্তারি অভিজ্ঞতা থেকে বলেন যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা অতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি দেখার কারণে নিজ সঙ্গীদের সঙ্গে তাদের আবেগজনিত বিচ্ছেদ ঘটতে থাকে, এমনকি যদি সেই ব্যক্তিগণ আবেগী ঘনিষ্ঠতা কামনা করে থাকেন তারপরও।[২৬] ২০১৪ সালের American Psychological Association (APA)-র একটি প্রতিবেদনে, কারস্টেন ওয়্যার বলেন, "এটি পরিষ্কার নয় যে পর্নোগ্রাফি সেই তথাকথিত প্রবাদের মুরগি নাকি ডিম। কোন ব্যক্তি কি একারণেই এর দিকে ঝুকেন যে তিনি তার সম্পর্কের প্রতি সন্তুষ্ট নন? নাকি নারীরা নিজেরাই যৌনতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন যখন তারা আবিষ্কার করেন তাদের সঙ্গী প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র তারকাদের সঙ্গেই তাদের উপযুক্ত সময়গুলো কাটাচ্ছে?"[২৩]

স্কুলগামী বাচ্চাদের উপর প্রভাব সম্পাদনা

যুক্তরাজ্যে, স্কুলশিক্ষকদের সংগঠন, Association of Teachers and Lecturers এই অভিমত ব্যক্ত করে যে, স্কুলগামী বাচ্চাদেরও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন আছে, এবং কোন আচরণটি যুক্তিসংগত এবং কোনটি গ্রহণযোগ্য নয় সে সম্পর্কে তাদের সতর্ক করারও প্রয়োজন রয়েছে।[৩৯]

পর্নোগ্রাফিতে অভিনয়কারীদের উপর প্রভাব সম্পাদনা

পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রে অরক্ষিত যৌনকর্মে (সাধারণত কনডমবিহীন পায়ুসঙ্গম) জড়িত থাকার কারণে পর্নোগ্রাফিক অভিনেতা/অভিনেত্রীগণ আশঙ্কাজনক হারে যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হন। এলএ বোর্ড অব পাবলিক হেলথের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০-০১ এ ৮২৫ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর মাঝে ৭.৭% নারী এবং ৫.৫% পুরুষ ক্ল্যামিডিয়ায় আক্রান্ত এবং সর্বোমোট ২% গনেরিয়ায় আক্রান্ত। এই আক্রমণের হার পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকের রোগীদের তুলনায় অনেক বেশি, যা হল ৪.০% এবং ০.৭% প্রায়। ২০০৩ এর জানুয়ারী হতে ২০০৫ এর মার্চ এর মধ্যে প্রায় ৯৭৬ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর যৌনবাহিত রোগের ডাক্তারি পরীক্ষায় ১১৫৩টি পজেটিভ ফলাফল আসে, যার মধ্যে ৭২২ জন (৬২.৬%) ক্ল্যামিডিয়ায়, ৩৫৫ জন (৩০.৮%) গনেরিয়ায় এবং ১২৬ জন (১০.৯%) উভয়রোগে আক্রান্ত হিসেবে ধরা পড়েন। তবে সিফিলিস, হার্পিস ভাইরাস, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি বা হেপাটাইটিস সি, ট্রাইকোমোনাল সংক্রমণ এবং মুখ-ত্বকীয় সংস্পর্শের ফলে সংক্রমিত অন্যান্য রোগের সংক্রমণের আশঙ্কা ও ঝুকির ব্যাপারে সেভাবে কিছু জানা যায় নি।[৪০] এলএ পাবলিক হেলথের এই উপাত্ত পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সূত্র কর্তৃক সমালোচিত হয়েছে, যাতে বলা হয় পজেটিভ ফলাফল প্রাপ্ত অধিকাংশ ব্যক্তিই কখনোই পর্নো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেনি এবং মূলত তাদের যৌনরোগ চিকিৎসার আগপর্যন্ত তারা চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে বহিষ্কৃত ছিল। হার্পিসের মত অনিরাময়যোগ্য রোগগুলো এক্ষেত্রে জটিল অবস্থা প্রদর্শন করে: অভিনেত্রী ক্লোয়ির বক্তব্য অনুসারে, "অল্পদিন এই ব্যবসায় কাজ করার পরপরই আপনি হার্পিসে আক্রান্ত হবেন; (মূলত) প্রত্যেকেই হার্পিসে আক্রান্ত হয়।"[৪১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

উদ্ধৃতি সম্পাদনা

  1. Kraus, Shane W; Voon, Valerie; Potenza, Marc N (২০১৫-০৯-২২)। "Neurobiology of Compulsive Sexual Behavior: Emerging Science"Neuropsychopharmacology41 (1): 385–386। আইএসএসএন 0893-133Xডিওআই:10.1038/npp.2015.300পিএমআইডি 26657963পিএমসি 4677151  
  2. Kraus, Shane W.; Voon, Valerie; Potenza, Marc N. (২০১৬-০২-১৯)। "Should compulsive sexual behavior be considered an addiction?"Addiction। In press: n/a–n/a। আইএসএসএন 0965-2140ডিওআই:10.1111/add.13297 
  3. Kühn, S.; Gallinat, J.। Neurobiology, BT - International Review of, সম্পাদক। Neurobiological Basis of Hypersexuality। Academic Press। 
  4. Brand, Matthias; Young, Kimberly; Laier, Christian; Wölfling, Klaus; Potenza, Marc N.। "Integrating psychological and neurobiological considerations regarding the development and maintenance of specific Internet-use disorders: An Interaction of Person-Affect-Cognition-Execution (I-PACE) model"Neuroscience & Biobehavioral Reviewsডিওআই:10.1016/j.neubiorev.2016.08.033 
  5. Pornography, Sex Crime, and Public Policy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে by Berl Kutchinsky.
  6. Kutchinsky, Berl (Summer ১৯৭৩)। "The Effect of Easy Availability of Pornography on the Incidence of Sex Crimes: The Danish Experience"Journal of Social Issues29 (3): 163–181। ডিওআই:10.1111/j.1540-4560.1973.tb00094.x। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪ 
  7. Diamond, Milton (সেপ্টেম্বর–অক্টোবর ২০০৯)। "Pornography, public acceptance and sex related crime: A review"International Journal of Law and Psychiatry32 (5): 304–314। ডিওআই:10.1016/j.ijlp.2009.06.004। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৪  |সাময়িকী= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  8. Pornography and Sexual Representation: A Reference Guide, Volume 3 (book) by Joseph W. Slade.
  9. Studies on Pornography and Sex Crimes in Denmark (1970) by Berl Kutchinsky.
  10. Kendall, Todd D. (জুলাই ২০০৭)। "Pornography, rape and the internet" (পিডিএফ)। ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৪ 
  11. D'Amato, Anthony (২৩ জুন ২০০৬)। "Porn Up, Rape Down"। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০০৬ 
  12. Fidgen, Jo (২০১৩-০৬-২৫)। "Do we know whether pornography harms people?"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৯-১৮ 
  13. Zillmann, Dolf। "Effects of Prolonged Consumption of Pornography"National Institutes of Health 
  14. Zillmann, pages 16-17
  15. McKay, H.B.; Dolff, D.J (১৯৮৪)। 'The Impact of Pornography: An Analysis of Research and Summary of Findings'; Working Papers on Pornography and Prostitution Report No. 3। Department of Justice, Canada। 
  16. Dines, Gail (২০১০)। Pornland : how porn has hijacked our sexuality। Boston: Beacon Press। আইএসবিএন 0807044520 
  17. Bryant, editors, D. Zillmann, J. (১৯৮৯)। Pornography : research advances and policy considerations। Hillsdale (New Jersey): Lawrence Erlbaum Associates। আইএসবিএন 0805806156 
  18. Carol, Avedon (১৯৯৪)। Nudes, Prudes and Attitudes: Pornography and Censorship। Gloucester: New Clarion Press। পৃষ্ঠা 69 
  19. Marvin Browna, Donald M. Amorosoa & Edward E. Warea (২০১০)। "Behavioral Effects of Viewing Pornography"The Journal of Social Psychology98 (2): 235–245। ডিওআই:10.1080/00224545.1976.9923394reporting at least one ejaculation 
  20. American Psychiatric Association (২০১৩)। Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (Fifth সংস্করণ)। Arlington, VA: American Psychiatric Publishing। পৃষ্ঠা 481, 797–798। আইএসবিএন 978-0-89042-555-8Thus, groups of repetitive behaviors, which some term behavioral addictions, with such subcategories as "sex addiction," "exercise addiction," or "shopping addiction," are not included because at this time there is insufficient peer-reviewed evidence to establish the diagnostic criteria and course descriptions needed to identify these behaviors as mental disorders. 
  21. Stein, Dan J.; Hollander, Eric; Rothbaum, Barbara Olasov (৩১ আগস্ট ২০০৯)। Textbook of Anxiety Disorders। American Psychiatric Pub। পৃষ্ঠা 359–। আইএসবিএন 978-1-58562-254-2। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১০ 
  22. Parashar A, Varma A (এপ্রিল ২০০৭)। "Behavior and substance addictions: is the world ready for a new category in the DSM-V?"CNS Spectr12 (4): 257; author reply 258–9। পিএমআইডি 17503551 
  23. Kirsten Weir, Is pornography addictive? APA Monitor, April 2014, Vol 45, No. 4. Print version: page 46.
  24. The British Psychological Society, "Response to the American Psychiatric Association: DSM-5 Development", 2001 [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে
  25. Ley, David J. (২০১৪-০৭-১০)। The Myth of Sex Addiction (ইংরেজি ভাষায়)। Rowman & Littlefield। আইএসবিএন 9781442213050 
  26. Cuthbertson, Richard (২ জানুয়ারি ২০১৫)। "Internet porn 'rewiring' young brains, Halifax therapists say"CBC NewsCBC News। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৫ 
  27. *Mitchell, M. and Jolley, J. (2001). Research Design Explained (4th Ed) New York:Harcourt.
    • Brewer, M. (2000). Research Design and Issues of Validity. In Reis, H. and Judd, C. (eds.) Handbook of Research Methods in Social and Personality Psychology. Cambridge:Cambridge University Press.
    • Shadish, W., Cook, T., and Campbell, D. (2002). Experimental and Quasi-Experimental Designs for Generilized Causal Inference Boston:Houghton Mifflin.
    • Levine, G. and Parkinson, S. (1994). Experimental Methods in Psychology. Hillsdale, NJ:Lawrence Erlbaum.
    • Liebert, R. M. & Liebert, L. L. (1995). Science and behavior: An introduction to methods of psychological research. Englewood Cliffs, NJ: Prentice Hall.
  28. Hald, Gert Martin; Malamuth, Neil; Yuen, Carlin (২০০০)। "Pornography and Attitudes Supporting Violence Against Women: Revisiting the Relationship in Nonexperimental Studies" (PDF)UCLA Division of Social Sciences। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৩ 
    • Kingstona, Drew; Malamuthb, Neil; Fedoroffc, Paul; Marshalld, William (২৪ মার্চ ২০০৯)। "The Importance of Individual Differences in Pornography Use: Theoretical Perspectives and Implications for Treating Sexual Offenders"। The Journal of Sex Research46 (=2–3): 216। ডিওআই:10.1080/00224490902747701 
  29. Allen, Mike; D'Alessio, Dave; Brezgel, Keri (১৭ মার্চ ২০০৬) [1995]। "A Meta-Analysis Summarizing the Effects of Pornography II Aggression After Exposure"। Human Communication Research22 (2): 258–283। ডিওআই:10.1111/j.1468-2958.1995.tb00368.x 
  30. Wright, Paul J.; Tokunaga, Robert S.; Kraus, Ashley (২০১৫-১২-০১)। "A Meta-Analysis of Pornography Consumption and Actual Acts of Sexual Aggression in General Population Studies"Journal of Communication (ইংরেজি ভাষায়): n/a–n/a। আইএসএসএন 1460-2466ডিওআই:10.1111/jcom.12201 
  31. Ferguson, Christopher J., The pleasure is momentary...the expense damnable? The influence of pornography on rape and sexual assault. (পিডিএফ) 
  32. {{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=[[Berl Kutchinsky |ইউআরএল=http://home20.inet.tele.dk/gorzelak/dps/anmeldelser/barbano_kutchinsky.html |সংগ্রহের-তারিখ=৫ জুলাই ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20071030030642/http://home20.inet.tele.dk/gorzelak/dps/anmeldelser/barbano_kutchinsky.html |আর্কাইভের-তারিখ=৩০ অক্টোবর ২০০৭ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}
  33. The Effects of Pornography: An International Perspective ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে University of Hawaii Porn 101: Eroticism, Pornography, and the First Amendment: Milton Diamond Ph.D.
  34. Diamond, Milton। "The effects of Pornography: An International Perspective"University of Hawaii System। ১৫ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৭ 
  35. Peters, Robert (৪ আগস্ট ২০০৬)। "'Could it be that pornography prevents rape?'"ObscenityCrimes.org। ২০০৬-১০-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  |কর্ম= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  36. Malamuth, Neil M. (আগস্ট ৪, ১৯৮৬)। Do Sexually Violent Media Indirectly Contribute to Antisocial Behavior?। Public Health Service of United States। পৃষ্ঠা 38। 
  37. Twohig, M. P.; Crosby, J. M. (২০১০)। "Acceptance and Commitment Therapy as a Treatment for Problematic Internet Pornography Viewing"Behavior Therapy41 (3): 285–295। ডিওআই:10.1016/j.beth.2009.06.002পিএমআইডি 20569778 
  38. Watson, Mary Ann, and Randyl D. Smith. "Positive Porn: Educational, Medical, And Clinical Uses." American Journal Of Sexuality Education 7.2 (2012): 122-145. DOI10.1080/15546128.2012.680861
  39. Sellgren, Katherine (২৬ মার্চ ২০১৩)। "BBC News - Pupils 'should be taught about risks of pornography'"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৪ 
  40. Grudzen, Corita R.; Kerndt, Peter R. (জুন ১৯, ২০০৭)। "The Adult Film Industry: Time to Regulate?"PLoS MedicinePublic Library of Science, U.S. National Library of Medicineপিএমসি 1892037 । আগস্ট ৬, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  41. Martin Amis (মার্চ ১৭, ২০০১)। "A rough trade"। London: guardian.co.uk। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১০, ২০০৯ 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • Kutchinsky, Berl (১৯৭০)। Studies on Pornography and sex crimes in Denmark। Denmark: New Social Science Monographs। 
  • Kutchinsky, Berl (১৯৯৯)। Law, pornography, and crime: The Danish experience। Oslo, Norway: Pax Forlag। 
  • Hald, Gert Martin (২০০৭)। Pornography Consumption - a study of prevalence rates, consumption patterns, and effects। Aarhus Universitet, Denmark: Psykologisk Institut। 

গবেষণাপত্র সম্পাদনা

  • Hald, Gert Martin; Malamuth, Neil (২০০৮)। "Self-Perceived Effects of Pornography Consumption"। Sexual Addiction & Compulsivity: the Journal of Treatment & Prevention19: 99। ডিওআই:10.1080/10720162.2012.660431 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা