পদ্মা নদীর মাঝি (চলচ্চিত্র)

গৌতম ঘোষ পরিচালিত ১৯৯৩ সালের বাংলা চলচ্চিত্র

পদ্মানদীর মাঝি ১৯৯৩ সালের একটি বাংলা ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথভাবে নির্মিত চলচ্চিত্র। বাঙালি কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন।[১][২] এতে অভিনয় করেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, চম্পা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত প্রমূখ।

পদ্মা নদীর মাঝি
ডিভিডি কভার পদ্মানদীর মাঝি.
পরিচালকগৌতম ঘোষ
প্রযোজকপশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন
চিত্রনাট্যকারগৌতম ঘোষ
উৎসমানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক 
পদ্মা নদীর মাঝি
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারগৌতম ঘোষ
আলাউদ্দীন আলী
চিত্রগ্রাহকগৌতম ঘোষ
সম্পাদকমলয় ব্যানার্জি
পরিবেশকভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন
মুক্তি১৬ মে ১৯৯৩ (ভারত)
স্থিতিকাল১২৬ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভারত
ভাষাবাংলা

কাহিনী সংক্ষেপ সম্পাদনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না-অভাব-অভিযোগ — যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র‍্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি।

অভিনয়ে সম্পাদনা

পুরস্কার সম্পাদনা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত)
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Padma Nadir Majhi (Boatman of the River Padma) (ইংরেজি ভাষায়), সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "Padma Nadir Majhi | Hollywood.com"archive.is। ২৫ জানুয়ারি ২০১৩। Archived from the original on ২৫ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা