পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়

চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার বিদ্যালয়

পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১] ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিই দীর্ঘদিন ছিলো পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে।[২]

পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়
অবস্থান
মানচিত্র

তথ্য
ধরনঅাধা-সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নীতিবাক্যজ্ঞানই মানুষকে মর্যাদার অাসনে প্রতিষ্ঠিত করে
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৪৫; ১৭৯ বছর আগে (1845)
ইআইআইএন১০৪৭১৫ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রধান শিক্ষকমিজানুর রহমান
শ্রেণী৬ষ্ঠ থেকে ১০ম
শিক্ষার্থী সংখ্যা১,০০০ (প্রায়)
ওয়েবসাইটpatiyamodel.edu.bd

অবস্থান সম্পাদনা

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত। এর উত্তর-পূর্ব দিকে উপমহাদেশের বিশ্ববিখ্যাত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পাটিয়া অবস্থিত।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

এই বিদ্যালয়টি ১৮৪৫ সালে দুর্গা কিংকর দত্ত কর্তৃক একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে প্রথমে পটিয়ার ভূর্ষি গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে স্থানীয় জমিদার মীর ইয়াহিয়ার আর্থিক সহায়তায় জুনিয়র ইংরেজি বিদ্যালয়ে পরিণত হয়।[১][৩] বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন দুর্গা কিংকর দত্ত নিজেই। ১৮৫৯ সালে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায়, ফলে এটি উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের পর্যায়ভুক্ত হয় ও ১৮৬৭ সালে সর্বপ্রথম ব্যাচের ছাত্ররা এই বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রাস পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেই বছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে মাত্র একজনই পাস করেছিলেন। তিনি ছিলেন সুচক্রদণ্ডী গ্রামের উমাচরণ খাস্তগীর।[৪] ১৯-শতাব্দীর পূর্ব পর্যন্ত এই বিদ্যালয়টি সারা দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে একমাত্র বিদ্যালয়টি ছিল।

উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পর বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন বিক্রমপুরের রসিকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯০৭ থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন সূর্যকুমার। পটিয়া বিদ্যালয়ে তার শিক্ষকতার সময়কে ‘সূর্যযুগ’ বলা হয়। এ যুগে বিদ্যালয়টির পঠন-পাঠনের মান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়।[১]

একবার সীমিত সংখ্যায় বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পড়াশোনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তবে এখন কেবলমাত্র ছাত্ররাই ভর্তি হতে পারে।

বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা প্রায় এক হাজার দুইশ। আটজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকসহ মোট শিক্ষক রয়েছেন ২১ জন। এই বিদ্যালয়ে পাঠাগারে ১০ হাজার বই রয়েছে। [৪]

প্রধান শিক্ষকগণ সম্পাদনা

  • দুর্গা কিংকর দত্ত (১৮৪৫-১৮৬৪)।
  • রসিক চন্দ্র ব্যানার্জী (১৮৬৪-১৯০৬)।
  • সূর্য কুমার সেন (১৯০৭-১৯৩৫)।
  • মনিন্দ্র লাল কানুনগো (১৯৩৬-১৯৪৫)।
  • প্রফুল্ল কুমার ভট্টাচার্যী (১৯৪৬-১৯৪৯)।
  • রমেশ চন্দ্র গুপ্ত (১৯৫০-১৯৭৪)।
  • আবদুর রশীদ (১৯৭৪-১৯৭৬)।
  • আবুল কাশেম (১৯৭৬-১৯৯১)।
  • নুরুল আবছার (১৯৯২-২০০৬)।
  • তুষার কান্তি দাশ (ভারপ্রাপ্ত) (২০০৬-২০১৬)।
  • মিজানুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত ২০১৬-২০১৮, নিয়মিত ২০১৮-বর্তমান)।
  • সহকারী প্রধান শিক্ষক সাধন চন্দ্র দে

উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী সম্পাদনা

এই প্রতিষ্ঠানের কৃতি শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেনঃ[১]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. তুষার কান্তি দাশ (২০১২)। "পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  2. "শতবর্ষী পটিয়া আদর্শ স্কুলকে সরকারি করার দাবি"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন। ২০ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি করার দাবি"দৈনিক সমকাল অনলাইন। ৯ এপ্রিল ২০১৭। ৩ জুন ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. রাজ্জাক, আবদুর (৩০ অক্টোবর ২০১৬)। "শত কীর্তিমানের জন্ম দিয়েছে যে বিদ্যালয়টি"প্রথম আলো। পটিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা